ইরানে ছয় মাসে ৩৫৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩, ১৩: ২১
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৩, ১৪: ২০

ইরানে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৩৫৪ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার ৩৬ শতাংশ বেশি। গত সোমবার নরওয়েভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএইচআরের মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে গত সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজে ভীতি ছড়াতে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড বাড়ানো হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মারা যান ২২ বছরের তরুণী মাহসা। দেশটির কঠোর হিজাবনীতি না মানার অভিযোগে এর তিন দিন আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মাহসার মৃত্যুতে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক মাস ধরে চলা এই বিক্ষোভে কয়েক শ ব্যক্তি নিহত হন। হাজারো বিক্ষোভকারীকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়।

আইএইচআর বলেছে, এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ৩৫৪ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যেখানে ২০২২ সালের একই সময়ে ২৬১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ইরানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো অসমভাবে প্রভাবিত হয়। সব মৃত্যুদণ্ডের ২০ শতাংশ সুন্নি বালুচ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্য। এ ছাড়া মাদকসংক্রান্ত অভিযোগে ২০৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২৬ শতাংশ বেশি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয় নারী ও দুজন পুরুষকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।

চলতি বছরের শুরুর দিকে আইএইচআর জানিয়েছিল, ইরান ২০২২ সালে ৫২৮টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে, যা ২০১৫ সালের পর থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ সংখ্যা। অন্যদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, ইরান চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশ।

আইএইচআরের পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দাম বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড সামাজিক ভীতি তৈরি এবং আরও প্রতিবাদ-প্রতিরোধ ঠেকাতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত