গনেশ দাস, বগুড়া
বগুড়ার শাজাহানপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সন্ত্রাসী সাগর ও তাঁর সহযোগী স্বপনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউকে গতকাল পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ—দুই দলের নেতারাই সাগরের ওপর অতিষ্ঠ ছিল। এদের যৌথ পরিকল্পনাতেই সাগরকে হত্যা করা হয় বলে মনে করছে তারা।
এদিকে সন্ত্রাসী সাগর তালুকদার (৩৫) খুন হওয়ায় স্থানীয় কমপক্ষে ২০ গ্রামের অনেক মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
গতকাল এলাকা ঘুরে জানা যায়, শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর, কাহালু উপজেলার মালঞ্চা, দুর্গাপুর, জামগ্রাম ও মুরইল ইউনিয়নের কিছু অংশের কমপক্ষে ২০ গ্রামের বাসিন্দারা জিম্মি ছিল সাগর ও তাঁর সহযোগীদের হাতে। নানা কাজে তারা চাঁদা আদায় করত।
পুলিশ বলছে, ২০১০ সাল থেকে সাগরের নামে ১৯টি মামলা হয়েছে।
সাগর খুন হওয়ার পর সাবরুলসহ বিভিন্ন গ্রামে মিষ্টি বিতরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নেছার উদ্দিন। তিনি বলেন, রোববার রাত থেকে কাহালুর কয়েকটি গ্রামের কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ সাগরের মৃত্যু নিশ্চিত হতেই সাবরুল এলাকায় লাশ দেখতে গিয়েছিল। তিনি বলেন, এলাকার মানুষ এতটাই খুশি যে গ্রামে গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন বলেন, ‘সাগর আমাকেও হুমকি দিত, আমার ছেলেকে অপহরণ করবে এমন কথাও বলে বেড়াত। তার অত্যাচারে সব দলের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল।’
একই ধরনের মন্তব্য করেছেন শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক হযরত আলী। তিনি বলেন, সাগর ও তাঁর সহযোগীদের অত্যাচারে মানুষ এতটাই অতিষ্ঠ ছিল যে অনেকে সাগরের মৃত্যু কামনা করেছে। খুন হওয়ার পর গ্রামে গ্রামে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ বিএনপি—সবার সঙ্গেই সাগরের বিরোধ ছিল।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগে সাগরের কোনো পদ না থাকলেও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান শাহীনের আস্থাভাজন ছিলেন সাগর। বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে জনবল সরবরাহ ছাড়াও শাহিনের সঙ্গে দেখা যেত সাগরকে। সাবরুল বাজারে সাগরের ব্যক্তিগত অফিসে শাহিনের ছবি টাঙানো অবস্থায় দেখা গেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপিতে ভেড়ার চেষ্টা করছিলেন সাগর। বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত শাজাহানপুর ও কাহালু উপজেলা। স্বেচ্ছাসেবক লীগের পরিচয়ে সাগর এত দিন দাপট দেখালেও ৫ আগস্টের পর সাগর হয়ে পড়েন কোণঠাসা। আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। সাগরের সহযোগীরাও তাঁর কাছ থেকে সরে যেতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সাগর বিএনপিতে ভেড়ার কৌশল খুঁজতে থাকেন। বিএনপিতে ভেড়াতে সহযোগিতা করতে থাকেন সাগরের ভগ্নিপতি কাহালুর দুর্গাপুরের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন। কিন্তু তার আগেই রোববার সন্ধ্যার পর সহযোগী স্বপনসহ খুন হন সাগর। এ সময় মুক্তার নামের আরও একজনের কবজি কেটে নিলেও মুক্তারের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন, ‘মুক্তারের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। সাগরের ভগ্নিপতি জালালকে মুক্তারের বড় ভাই মজনু বলেছেন, মুক্তারের মোটরসাইকেল তাঁর চাচাতো ভাই মাইনুল নিয়ে গেছে এবং মুক্তারকে ডান কবজি কাটা অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু ওই হাসপাতালে মুক্তারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি মুক্তার, তার ভাই মজনু, চাচাতো ভাই মাইনুলের পরিবারের সবাই বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপন করেছে। তিনি বলেন, মুক্তারকে পাওয়া গেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ মর্গের সামনে সাগরের বোন রোখসানা আকতার বর্ষা ও বাবা গোলাম তালুকদার বলেন, সাগর দীর্ঘদিন ধরে পুকুরে মাছ চাষ এবং ইট-বালু সরবরাহের বৈধ ব্যবসা করে আসছিলেন। মিডিয়া সাগরকে সন্ত্রাসী বানিয়েছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম বলেন, সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে সাগর ও স্বপনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা করা হয়নি। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে থানা এবং ডিবি পুলিশ রোববার রাত থেকে কাজ শুরু করেছে।
বগুড়ার শাজাহানপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সন্ত্রাসী সাগর ও তাঁর সহযোগী স্বপনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউকে গতকাল পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ—দুই দলের নেতারাই সাগরের ওপর অতিষ্ঠ ছিল। এদের যৌথ পরিকল্পনাতেই সাগরকে হত্যা করা হয় বলে মনে করছে তারা।
এদিকে সন্ত্রাসী সাগর তালুকদার (৩৫) খুন হওয়ায় স্থানীয় কমপক্ষে ২০ গ্রামের অনেক মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
গতকাল এলাকা ঘুরে জানা যায়, শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর, কাহালু উপজেলার মালঞ্চা, দুর্গাপুর, জামগ্রাম ও মুরইল ইউনিয়নের কিছু অংশের কমপক্ষে ২০ গ্রামের বাসিন্দারা জিম্মি ছিল সাগর ও তাঁর সহযোগীদের হাতে। নানা কাজে তারা চাঁদা আদায় করত।
পুলিশ বলছে, ২০১০ সাল থেকে সাগরের নামে ১৯টি মামলা হয়েছে।
সাগর খুন হওয়ার পর সাবরুলসহ বিভিন্ন গ্রামে মিষ্টি বিতরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নেছার উদ্দিন। তিনি বলেন, রোববার রাত থেকে কাহালুর কয়েকটি গ্রামের কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ সাগরের মৃত্যু নিশ্চিত হতেই সাবরুল এলাকায় লাশ দেখতে গিয়েছিল। তিনি বলেন, এলাকার মানুষ এতটাই খুশি যে গ্রামে গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন বলেন, ‘সাগর আমাকেও হুমকি দিত, আমার ছেলেকে অপহরণ করবে এমন কথাও বলে বেড়াত। তার অত্যাচারে সব দলের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল।’
একই ধরনের মন্তব্য করেছেন শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক হযরত আলী। তিনি বলেন, সাগর ও তাঁর সহযোগীদের অত্যাচারে মানুষ এতটাই অতিষ্ঠ ছিল যে অনেকে সাগরের মৃত্যু কামনা করেছে। খুন হওয়ার পর গ্রামে গ্রামে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ বিএনপি—সবার সঙ্গেই সাগরের বিরোধ ছিল।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগে সাগরের কোনো পদ না থাকলেও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান শাহীনের আস্থাভাজন ছিলেন সাগর। বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে জনবল সরবরাহ ছাড়াও শাহিনের সঙ্গে দেখা যেত সাগরকে। সাবরুল বাজারে সাগরের ব্যক্তিগত অফিসে শাহিনের ছবি টাঙানো অবস্থায় দেখা গেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপিতে ভেড়ার চেষ্টা করছিলেন সাগর। বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত শাজাহানপুর ও কাহালু উপজেলা। স্বেচ্ছাসেবক লীগের পরিচয়ে সাগর এত দিন দাপট দেখালেও ৫ আগস্টের পর সাগর হয়ে পড়েন কোণঠাসা। আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। সাগরের সহযোগীরাও তাঁর কাছ থেকে সরে যেতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সাগর বিএনপিতে ভেড়ার কৌশল খুঁজতে থাকেন। বিএনপিতে ভেড়াতে সহযোগিতা করতে থাকেন সাগরের ভগ্নিপতি কাহালুর দুর্গাপুরের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন। কিন্তু তার আগেই রোববার সন্ধ্যার পর সহযোগী স্বপনসহ খুন হন সাগর। এ সময় মুক্তার নামের আরও একজনের কবজি কেটে নিলেও মুক্তারের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন, ‘মুক্তারের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। সাগরের ভগ্নিপতি জালালকে মুক্তারের বড় ভাই মজনু বলেছেন, মুক্তারের মোটরসাইকেল তাঁর চাচাতো ভাই মাইনুল নিয়ে গেছে এবং মুক্তারকে ডান কবজি কাটা অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু ওই হাসপাতালে মুক্তারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি মুক্তার, তার ভাই মজনু, চাচাতো ভাই মাইনুলের পরিবারের সবাই বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপন করেছে। তিনি বলেন, মুক্তারকে পাওয়া গেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ মর্গের সামনে সাগরের বোন রোখসানা আকতার বর্ষা ও বাবা গোলাম তালুকদার বলেন, সাগর দীর্ঘদিন ধরে পুকুরে মাছ চাষ এবং ইট-বালু সরবরাহের বৈধ ব্যবসা করে আসছিলেন। মিডিয়া সাগরকে সন্ত্রাসী বানিয়েছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম বলেন, সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে সাগর ও স্বপনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা করা হয়নি। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে থানা এবং ডিবি পুলিশ রোববার রাত থেকে কাজ শুরু করেছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪