কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর (যশোর)
কেশবপুরে ভূগর্ভের পানি তুলে ঘেরে মাছ চাষ শুরু করছেন মালিকেরা। সেচযন্ত্র বসিয়ে ভূগর্ভের পানি তুলে ঘের ভর্তি করায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ঘের এলাকায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, কদিন পরেই বর্ষাকাল শুরু হচ্ছে। এখনই ভূগর্ভের পানি তুলে ঘের ভর্তি করে রাখায় বর্ষার পানি ধারণের জায়গা কমে যাচ্ছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘেরের পানি উপচে আশপাশের বসতভিটায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা ২৭ বিল পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতারা বলছেন, ‘ভূগর্ভ থেকে ঘেরে পানি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায়, বর্ষার সময় এবার আরও বেশি জলাবদ্ধতার শিকার হবেন এখানকার বাসিন্দারা।
ইতিমধ্যে এসব সেচযন্ত্রের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া দখল হয়ে যাওয়া সরকারি খাল উদ্ধারেও অভিযান চালানোর কথা জানানো হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে ৪ হাজার ৬৫৮টি মাছের ঘের রয়েছে। এসব ঘেরে চাষযোগ্য প্রায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি রয়েছে। ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় সব গ্রাম ও ওয়ার্ডেই ছোট বড় মাছের ঘের রয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় এসব ঘেরের অধিকাংশ মালিকই সেচযন্ত্র বসিয়ে পানি তুলছেন। কেউ কেউ আবার খাল-বিল ও নদ-নদীতে শ্যালো মেশিন বসিয়ে ঘেরে পানি দিচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ ২০০০ সালের দিকে বিলে মাছ চাষের জন্য ঘের তৈরি শুরু করেন। ধীরে ধীরে ঘের মালিকেরা সেতু, কালভার্টের মুখ ভরাটসহ অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ করে ফেলেন। এরপরও তাঁরা মাছ চাষের জন্য শুষ্ক মৌসুমে শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র দিয়ে ভূগর্ভের পানি তুলে বিল ভরাট করেন। ফলে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘেরের পানি উপচে মানুষের বসত বাড়িতে উঠে যায়। এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।
উপজেলা ২৭ বিল পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক বাবর আলী গোলদার বলেন, ‘ঘের মালিকেরা ইতিমধ্যেই ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের পাশাপাশি নদনদী থেকে নোনা পানি সেচের মাধ্যমে ঘেরে দিচ্ছে। ঘের মালিকেরা মৎস্য ঘেরে নোনা পানি ওঠানোয় কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখনই ঘেরে পানি ভর্তি হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ঘেরের পানি উপচে উপজেলার পূর্বাঞ্চলের বাগডাঙ্গা, মনোহরনগরসহ ১৫টি গ্রাম আবারও কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে জনগণ ভোগান্তিতে পড়বে।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, ‘ভূগর্ভ থেকে অবৈধভাবে পানি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাঁজিয়াতে কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে উঠান বৈঠক থেকে। প্রশাসন ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে কেশবপুরে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
উপজেলার জ্যৈষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সজীব সাহা বলেন, ‘কেশবপুরে ৪ হাজার ৬৫৮টি মৎস্য ঘের রয়েছে। এসব ঘেরে চাষযোগ্য প্রায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি রয়েছে। ঘেরে ভূগর্ভের পানি উত্তোলন করে মাছ চাষ করার কোনো সুযোগ নেই।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ‘সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ভূগর্ভের পানি উত্তোলন করে ঘের মালিকেরা মাছ চাষ শুরু করেছেন বলে তথ্য পেয়েছি। যারা অবৈধ এ কাজ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সি আছাদুল্লাহ বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে পানি উত্তোলন করে মাছ চাষসহ কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কেশবপুরে ভূগর্ভের পানি তুলে ঘেরে মাছ চাষ শুরু করছেন মালিকেরা। সেচযন্ত্র বসিয়ে ভূগর্ভের পানি তুলে ঘের ভর্তি করায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ঘের এলাকায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, কদিন পরেই বর্ষাকাল শুরু হচ্ছে। এখনই ভূগর্ভের পানি তুলে ঘের ভর্তি করে রাখায় বর্ষার পানি ধারণের জায়গা কমে যাচ্ছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘেরের পানি উপচে আশপাশের বসতভিটায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা ২৭ বিল পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতারা বলছেন, ‘ভূগর্ভ থেকে ঘেরে পানি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায়, বর্ষার সময় এবার আরও বেশি জলাবদ্ধতার শিকার হবেন এখানকার বাসিন্দারা।
ইতিমধ্যে এসব সেচযন্ত্রের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া দখল হয়ে যাওয়া সরকারি খাল উদ্ধারেও অভিযান চালানোর কথা জানানো হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে ৪ হাজার ৬৫৮টি মাছের ঘের রয়েছে। এসব ঘেরে চাষযোগ্য প্রায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি রয়েছে। ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় সব গ্রাম ও ওয়ার্ডেই ছোট বড় মাছের ঘের রয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় এসব ঘেরের অধিকাংশ মালিকই সেচযন্ত্র বসিয়ে পানি তুলছেন। কেউ কেউ আবার খাল-বিল ও নদ-নদীতে শ্যালো মেশিন বসিয়ে ঘেরে পানি দিচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ ২০০০ সালের দিকে বিলে মাছ চাষের জন্য ঘের তৈরি শুরু করেন। ধীরে ধীরে ঘের মালিকেরা সেতু, কালভার্টের মুখ ভরাটসহ অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ করে ফেলেন। এরপরও তাঁরা মাছ চাষের জন্য শুষ্ক মৌসুমে শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র দিয়ে ভূগর্ভের পানি তুলে বিল ভরাট করেন। ফলে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘেরের পানি উপচে মানুষের বসত বাড়িতে উঠে যায়। এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।
উপজেলা ২৭ বিল পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক বাবর আলী গোলদার বলেন, ‘ঘের মালিকেরা ইতিমধ্যেই ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের পাশাপাশি নদনদী থেকে নোনা পানি সেচের মাধ্যমে ঘেরে দিচ্ছে। ঘের মালিকেরা মৎস্য ঘেরে নোনা পানি ওঠানোয় কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখনই ঘেরে পানি ভর্তি হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ঘেরের পানি উপচে উপজেলার পূর্বাঞ্চলের বাগডাঙ্গা, মনোহরনগরসহ ১৫টি গ্রাম আবারও কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে জনগণ ভোগান্তিতে পড়বে।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, ‘ভূগর্ভ থেকে অবৈধভাবে পানি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাঁজিয়াতে কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে উঠান বৈঠক থেকে। প্রশাসন ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে কেশবপুরে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
উপজেলার জ্যৈষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সজীব সাহা বলেন, ‘কেশবপুরে ৪ হাজার ৬৫৮টি মৎস্য ঘের রয়েছে। এসব ঘেরে চাষযোগ্য প্রায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি রয়েছে। ঘেরে ভূগর্ভের পানি উত্তোলন করে মাছ চাষ করার কোনো সুযোগ নেই।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ‘সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ভূগর্ভের পানি উত্তোলন করে ঘের মালিকেরা মাছ চাষ শুরু করেছেন বলে তথ্য পেয়েছি। যারা অবৈধ এ কাজ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সি আছাদুল্লাহ বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে পানি উত্তোলন করে মাছ চাষসহ কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে