শ্রীপুরে কাজলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২২, ০৬: ৩৩
আপডেট : ১৬ জুন ২০২২, ১২: ২৪

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাজলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ জন কর্মচারী নিয়োগে ৩৩ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি। পরীক্ষার আগেই এ অভিযোগ তুলেছিলেন কাজলী গ্রামের এক ব্যক্তি।

গত শুক্রবার প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, অভিযোগ ওঠা ওই চার ব্যক্তি নির্ধারিত চারটি পদে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘স্বচ্ছভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি হয়নি। নিয়োগ বোর্ডে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাউশির মহাপরিচালকের প্রতিনিধি ছিলেন।’ 
গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়টির অফিস সহায়ক, নৈশপ্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশিত হয় শনিবার। নিয়োগ পরীক্ষার এক দিন আগে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মৃত শাহাদত হোসেন মোল্যার ছেলে মো. রোকনুজ্জামানঘুষ লেনদেনের অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানান।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলামের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে চারজন কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। অফিস সহায়ক পদে নিশান বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৭ লাখ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ৮ লাখ, নৈশপ্রহরী পদে ইব্রাহীম জোয়ারদারের কাছ থেকে ৮ লাখ এবং কম্পিউটার অপারেটর পদে হিটলার মণ্ডলের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। শনিবার ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, অভিযোগ ওঠা এই চার ব্যক্তি নির্ধারিত পদে নিয়োগ পেয়েছেন।

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে হিটলার মণ্ডল বলেন, ‘আমি নিজ যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছি। কোনো ঘুষ দিইনি।’ অভিযোগকারী মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি এলাকার অনেকেই জেনে গেছেন। বাড়ির পাশের যে ছেলে নিয়োগ পাচ্ছেন, তাঁরাই বলে বেরিয়েছেন, কত টাকার বিনিময়ে চাকরি পাচ্ছেন। চাকরি পেতে কেউ জমি বন্ধক রেখেছেন, কেউ গরু বিক্রি করেছেন। অর্থ লেনদেন যদি না-ই হয়, তবে আগে থেকেই আমরা কীভাবে জানলাম, কারা চাকরি পাচ্ছেন?’ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,৪টি পদে মোট ১৪ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। প্রতিটি পদে কমপক্ষে তিনজন করে প্রার্থী ছিলেন। তাঁদের মধ্য থেকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ওই চারজনের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়। নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও একজন সদস্য, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকের (ডিজি) একজন প্রতিনিধি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ বি এম নকিবুল হাসানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা কল ধরেননি।

কাগজে-কলমে নিয়োগ বোর্ডে মাউশির ডিজির প্রতিনিধি ছিলেন মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হাসান। তিনি বলেন, ‘ওই দিন আমার পক্ষ থেকে একজন শিক্ষককে পাঠিয়েছিলাম। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি যাঁদের চায়, তাঁরাই নিয়োগ পান। কারণ, বোর্ডে তাঁরাই তিনজন থাকেন। প্রশ্ন সবাই মিলে করলেও তাঁরা (ব্যবস্থাপনা কমিটি) কোনো প্রার্থীকে বিশেষ সুবিধা দিতে চাইলে তা ঠেকানো যায় না।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত