গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
খুলনা জেলার প্রায় সবখানেই খাল ভরাট করে বাড়ি-ঘর বা স্থাপনা নির্মাণ করছেন প্রভাবশালীরা। ইতিমধ্যে জেলার অন্তত ২৫ শতাংশ খাল ভরাট হয়ে বেদখলে চলে গেছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরকারি খাল ও জলাশয় ভরাটের ঘটনা ঘটছে ডুমুরিয়া উপজেলায়। শহরের কাছে থাকায় এ উপজেলার চক আসানখালী, বিলপাবলা, জিলেরডাঙ্গা, ভেলকামারী, উপজেলা সদরের জোয়ারের বিলসহ প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জমি কিনে তা বালি দিয়ে ভরাট করছে। একই সঙ্গে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খাল ভরাট করা হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করেই কৃষি জমিতে একের পর এক গড়ে তোলা হচ্ছে কল কারখানা, আবাসিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা। এতে ক্রমেই কমছে কৃষি জমি, ফলে উৎপাদন কমছে কৃষিপণ্যের। সরকারি খাল জলাশয় ভরাট হলে ভূমি অফিসের এক শ্রেণির কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভূমিহীন সেজে অনেকেই বরাদ্দ নিয়ে বেআইনিভাবে বিক্রি করছে প্রভাবশালীদের কাছে।
কৃষি অধিদপ্তরের হিসেব মতে প্রতিবছর উন্নয়নমূলক কাজ, বসতি, শিল্প কল-কারখানা স্থাপনে আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দখলবাজি ও সরকারি খাল জলাশয় ভরাটের ঘটনা ঘটছে শহর সংলগ্ন ডুমুরিয়া উপজেলায়। জিরোপয়েন্ট থেকে পুরো ডুমুরিয়া বাজার পর্যন্ত সড়কের দুপাশে দখল হয়েছে। যে যার মত ভরাট করে রাস্তা তৈরির ফলে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।
ভেলকামারী বিলের গুটুদিয়া ব্র্যাক হ্যাচারির পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে চলা খালটির উপরে এক প্লট ব্যবসায়ী ছোট একটি কালভার্ট তৈরি করছে। হ্যাচারির দক্ষিণ পাশে অপর এক প্লট ব্যবসায়ী বিলের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা আঁকাবাঁকা খালটির উপরে ইট বিছিয়ে রাস্তা তৈরি করছে। ওই খালটি দোয়ানিয়া খাল থেকে উৎপত্তি যা ভরাট হয়ে যায়। ভূমিহীন হিসেবে এক ব্যক্তি এটি বরাদ্দ নিয়ে ওই প্লট ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছে বলে দাবি তাদের।
স্থানীয়দের অভিমত এসব দখলদারেরা প্রভাবশালী। তাই প্রশাসনকে জানানোর পরও তাদের দখলদারিত্ব বন্ধ হয় না। এক সঙ্গে কয়েক বিঘা জমি ক্রয় করার পর তা ভরাট করে প্লট আকারে তৈরি করছে। এতে নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও তাদের।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সরকারি খাল ভরাট করা বেআইনি। এরূপ যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, কোন অবস্থাতেই কৃষি জমির শ্রেণির পরিবর্তন করা যাবে না। যদি বিশেষ কারণে শ্রেণি পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে তা করতে হবে। কৃষি জমি ভরাট করে দেদারসে আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, খুলনা জেলায় ২২০০ কিলোমিটারের মত সরকারি খাল রয়েছে। এর মধ্যে ৫৬০ কিলোমিটার খাল বা প্রায় ২৫ শতাংশ ভরাট হয়ে বেদখল হয়েছে। এসব খাল উদ্ধার করে সেটি খনন করে জলাধার সৃষ্টি করলে কৃষি পণ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সরকারি খাল ও জলাশয় ভরাট করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, সরকার দুই ধরনের খাস জমি বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে কৃষি ও অকৃষি। কৃষি জমি বরাদ্দ নিয়ে সেটা কেউ বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না। এমন কোথাও হলে তদন্ত করে বরাদ্দ বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা জেলার প্রায় সবখানেই খাল ভরাট করে বাড়ি-ঘর বা স্থাপনা নির্মাণ করছেন প্রভাবশালীরা। ইতিমধ্যে জেলার অন্তত ২৫ শতাংশ খাল ভরাট হয়ে বেদখলে চলে গেছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরকারি খাল ও জলাশয় ভরাটের ঘটনা ঘটছে ডুমুরিয়া উপজেলায়। শহরের কাছে থাকায় এ উপজেলার চক আসানখালী, বিলপাবলা, জিলেরডাঙ্গা, ভেলকামারী, উপজেলা সদরের জোয়ারের বিলসহ প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জমি কিনে তা বালি দিয়ে ভরাট করছে। একই সঙ্গে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খাল ভরাট করা হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করেই কৃষি জমিতে একের পর এক গড়ে তোলা হচ্ছে কল কারখানা, আবাসিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা। এতে ক্রমেই কমছে কৃষি জমি, ফলে উৎপাদন কমছে কৃষিপণ্যের। সরকারি খাল জলাশয় ভরাট হলে ভূমি অফিসের এক শ্রেণির কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভূমিহীন সেজে অনেকেই বরাদ্দ নিয়ে বেআইনিভাবে বিক্রি করছে প্রভাবশালীদের কাছে।
কৃষি অধিদপ্তরের হিসেব মতে প্রতিবছর উন্নয়নমূলক কাজ, বসতি, শিল্প কল-কারখানা স্থাপনে আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দখলবাজি ও সরকারি খাল জলাশয় ভরাটের ঘটনা ঘটছে শহর সংলগ্ন ডুমুরিয়া উপজেলায়। জিরোপয়েন্ট থেকে পুরো ডুমুরিয়া বাজার পর্যন্ত সড়কের দুপাশে দখল হয়েছে। যে যার মত ভরাট করে রাস্তা তৈরির ফলে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।
ভেলকামারী বিলের গুটুদিয়া ব্র্যাক হ্যাচারির পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে চলা খালটির উপরে এক প্লট ব্যবসায়ী ছোট একটি কালভার্ট তৈরি করছে। হ্যাচারির দক্ষিণ পাশে অপর এক প্লট ব্যবসায়ী বিলের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা আঁকাবাঁকা খালটির উপরে ইট বিছিয়ে রাস্তা তৈরি করছে। ওই খালটি দোয়ানিয়া খাল থেকে উৎপত্তি যা ভরাট হয়ে যায়। ভূমিহীন হিসেবে এক ব্যক্তি এটি বরাদ্দ নিয়ে ওই প্লট ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছে বলে দাবি তাদের।
স্থানীয়দের অভিমত এসব দখলদারেরা প্রভাবশালী। তাই প্রশাসনকে জানানোর পরও তাদের দখলদারিত্ব বন্ধ হয় না। এক সঙ্গে কয়েক বিঘা জমি ক্রয় করার পর তা ভরাট করে প্লট আকারে তৈরি করছে। এতে নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও তাদের।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সরকারি খাল ভরাট করা বেআইনি। এরূপ যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, কোন অবস্থাতেই কৃষি জমির শ্রেণির পরিবর্তন করা যাবে না। যদি বিশেষ কারণে শ্রেণি পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে তা করতে হবে। কৃষি জমি ভরাট করে দেদারসে আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, খুলনা জেলায় ২২০০ কিলোমিটারের মত সরকারি খাল রয়েছে। এর মধ্যে ৫৬০ কিলোমিটার খাল বা প্রায় ২৫ শতাংশ ভরাট হয়ে বেদখল হয়েছে। এসব খাল উদ্ধার করে সেটি খনন করে জলাধার সৃষ্টি করলে কৃষি পণ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সরকারি খাল ও জলাশয় ভরাট করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, সরকার দুই ধরনের খাস জমি বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে কৃষি ও অকৃষি। কৃষি জমি বরাদ্দ নিয়ে সেটা কেউ বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না। এমন কোথাও হলে তদন্ত করে বরাদ্দ বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে