আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
হস্ত পরাগায়নের মাধ্যমে তরমুজের ফল ধরানো পদ্ধতি অবলম্বন করেও কাজ হয়নি। গাছে ফল আসেনি। এতে আমতলী উপজেলার অন্তত সাড়ে তিন হাজার তরমুজচাষি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তাঁরা ঘুরছেন। বিপাকে পড়েছেন দাদনে সার বিক্রি করা মহাজনেরা। নিঃস্ব চাষিরা সরকারিভাবে সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।
আমতলী কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আঠারোগাছিয়া, হলদিয়া, সদর, চাওড়া, কুকুয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৫ হাজার তরমুজচাষি এ বছর ৩ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন। চাষিদের নিরলস প্রচেষ্টায় তরমুজগাছ ভালো হয়েছে। কৃষকেরা বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছিলেন। নিম্নমানের বীজ রোপণ ও অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে তরমুজগাছে প্রচুর ফুল এলেও ফল আসেনি। উপজেলার অন্তত ৭০ ভাগ তরমুজখেতের এমন অবস্থায় কৃষি বিভাগ হস্ত পরাগায়নের পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু হস্ত পরাগায়ন পদ্ধতি অবলম্বন করেও কাজ হয়নি। গাছে ফলন না আসায় অন্তত দেড় শ কোটি টাকা লোকসান হবে বলে দাবি কৃষকদের। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তাঁরা ঘুরছেন। দাদন নেওয়া চাষিরা ঋণ পরিশোধের ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া মহা বিপাকে পড়েছেন কৃষকদের দাদনে সার বিক্রি করা মহাজনেরা। অপর দিকে আগাম তরমুজ চাষে বেশ সফলতা পেয়েছেন কয়েক শ চাষি।
গত শনিবার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা, চন্দ্রা, হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাওঘা, কুকুয়ার কৃষ্ণ নগর, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী, গুলিশাখালী, হলদিয়া ও টেপুড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, মাঠ ভরা তরমুজখেত। গাছে তরমুজ নেই। গাছের অধিকাংশ পুড়ে গেছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের টেপুরা গ্রামের কৃষক মো. আবুল কালাম বলেন, ‘ধারদেনা করে তিন একর জমিতে পৌনে দুই লাখ টাকা খরচ করে তরমুজ চাষ করেছিলাম। কিন্তু এক টাকাও বিক্রি করতে পারিনি। হস্ত পরাগায়ন করেও কোনো কাজে আসেনি। কীভাবে ঋণ পরিশোধ করব সেই চিন্তায় ঘুম হারাম? স্ত্রীর ব্যবহৃত গয়না বন্ধক রেখেছি। সরকারি সহযোগিতা পেলে কিছুটা হলেও চাষিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।’
ওই গ্রামের চাষি মজিবর শেখ বলেন, ‘মোর সব শ্যাষ অইয়্যা গ্যাছে। পাবনা মহাজনের গোলে ছয় লাখ টাহা দাদন আনছি। নিজের টাহা খুওয়াইছি। এ্যাহন কি হরমু হেই চিন্তা হরি। ঋণের দায়ে পালাইয়্যা যাইতে অইবে।’
রাসেল ফকির বলেন, ‘পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করে ৯ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলাম, কিন্তু ছয় একর জমিতে কিছুই হয়নি। গাছ পুড়ে গেছে। তিন একর জমিতে কিছু হয়েছে তাতে কী হবে। এ বছর অন্তত চার লাখ টাকা লোকসান হবে।’
সফল তরমুজচাষি ইউপি সদস্য আবু ছালেহ বলেন, ‘টেপুড়া গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক মানুষ তরমুজ চাষ করেছেন। তার মধ্যে ১৫০ অধিক চাষির খেতে তরমুজ হয়নি। গাছ পুড়ে গেছে। ওই চাষিদের নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হবে।’
তরমুজ ব্যবসায়ী মো. সোহেল রানা বলেন, ‘এ বছরের মতন এমন অবস্থা তরমুজচাষিদের কখনো হয়নি। তরমুজচাষিরা পথে বসে গেছেন।’
হলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘হলদিয়া ও উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের অধিকাংশ চাষির খেতে তরমুজ হয়নি। কৃষি অফিসের পরামর্শে পরাগায়ন করেও লাভ হয়নি।’
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, ‘মানসম্মত বীজ রোপণ করতে না পারা ও অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পরাগায়ন ঘটেনি। ফলে গাছে তরমুজ হয়নি। সরকারিভাবে তরমুজের বীজ না সরবরাহ করায় বেসরকারি কোম্পানিগুলো নষ্ট বীজ দিয়ে কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তিনি আরও বলেন, তরমুজ চাষাবাদের উত্তরাঞ্চল আমতলী ও তালতলী। এ অঞ্চলের তরমুজচাষিদের প্রশিক্ষণসহ বীজ সরবরাহ করা গেলে তাঁরা বেশ উপকৃত হবেন।’
হস্ত পরাগায়নের মাধ্যমে তরমুজের ফল ধরানো পদ্ধতি অবলম্বন করেও কাজ হয়নি। গাছে ফল আসেনি। এতে আমতলী উপজেলার অন্তত সাড়ে তিন হাজার তরমুজচাষি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তাঁরা ঘুরছেন। বিপাকে পড়েছেন দাদনে সার বিক্রি করা মহাজনেরা। নিঃস্ব চাষিরা সরকারিভাবে সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।
আমতলী কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আঠারোগাছিয়া, হলদিয়া, সদর, চাওড়া, কুকুয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৫ হাজার তরমুজচাষি এ বছর ৩ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন। চাষিদের নিরলস প্রচেষ্টায় তরমুজগাছ ভালো হয়েছে। কৃষকেরা বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছিলেন। নিম্নমানের বীজ রোপণ ও অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে তরমুজগাছে প্রচুর ফুল এলেও ফল আসেনি। উপজেলার অন্তত ৭০ ভাগ তরমুজখেতের এমন অবস্থায় কৃষি বিভাগ হস্ত পরাগায়নের পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু হস্ত পরাগায়ন পদ্ধতি অবলম্বন করেও কাজ হয়নি। গাছে ফলন না আসায় অন্তত দেড় শ কোটি টাকা লোকসান হবে বলে দাবি কৃষকদের। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তাঁরা ঘুরছেন। দাদন নেওয়া চাষিরা ঋণ পরিশোধের ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া মহা বিপাকে পড়েছেন কৃষকদের দাদনে সার বিক্রি করা মহাজনেরা। অপর দিকে আগাম তরমুজ চাষে বেশ সফলতা পেয়েছেন কয়েক শ চাষি।
গত শনিবার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা, চন্দ্রা, হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাওঘা, কুকুয়ার কৃষ্ণ নগর, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী, গুলিশাখালী, হলদিয়া ও টেপুড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, মাঠ ভরা তরমুজখেত। গাছে তরমুজ নেই। গাছের অধিকাংশ পুড়ে গেছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের টেপুরা গ্রামের কৃষক মো. আবুল কালাম বলেন, ‘ধারদেনা করে তিন একর জমিতে পৌনে দুই লাখ টাকা খরচ করে তরমুজ চাষ করেছিলাম। কিন্তু এক টাকাও বিক্রি করতে পারিনি। হস্ত পরাগায়ন করেও কোনো কাজে আসেনি। কীভাবে ঋণ পরিশোধ করব সেই চিন্তায় ঘুম হারাম? স্ত্রীর ব্যবহৃত গয়না বন্ধক রেখেছি। সরকারি সহযোগিতা পেলে কিছুটা হলেও চাষিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।’
ওই গ্রামের চাষি মজিবর শেখ বলেন, ‘মোর সব শ্যাষ অইয়্যা গ্যাছে। পাবনা মহাজনের গোলে ছয় লাখ টাহা দাদন আনছি। নিজের টাহা খুওয়াইছি। এ্যাহন কি হরমু হেই চিন্তা হরি। ঋণের দায়ে পালাইয়্যা যাইতে অইবে।’
রাসেল ফকির বলেন, ‘পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করে ৯ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলাম, কিন্তু ছয় একর জমিতে কিছুই হয়নি। গাছ পুড়ে গেছে। তিন একর জমিতে কিছু হয়েছে তাতে কী হবে। এ বছর অন্তত চার লাখ টাকা লোকসান হবে।’
সফল তরমুজচাষি ইউপি সদস্য আবু ছালেহ বলেন, ‘টেপুড়া গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক মানুষ তরমুজ চাষ করেছেন। তার মধ্যে ১৫০ অধিক চাষির খেতে তরমুজ হয়নি। গাছ পুড়ে গেছে। ওই চাষিদের নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হবে।’
তরমুজ ব্যবসায়ী মো. সোহেল রানা বলেন, ‘এ বছরের মতন এমন অবস্থা তরমুজচাষিদের কখনো হয়নি। তরমুজচাষিরা পথে বসে গেছেন।’
হলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘হলদিয়া ও উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের অধিকাংশ চাষির খেতে তরমুজ হয়নি। কৃষি অফিসের পরামর্শে পরাগায়ন করেও লাভ হয়নি।’
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, ‘মানসম্মত বীজ রোপণ করতে না পারা ও অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পরাগায়ন ঘটেনি। ফলে গাছে তরমুজ হয়নি। সরকারিভাবে তরমুজের বীজ না সরবরাহ করায় বেসরকারি কোম্পানিগুলো নষ্ট বীজ দিয়ে কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তিনি আরও বলেন, তরমুজ চাষাবাদের উত্তরাঞ্চল আমতলী ও তালতলী। এ অঞ্চলের তরমুজচাষিদের প্রশিক্ষণসহ বীজ সরবরাহ করা গেলে তাঁরা বেশ উপকৃত হবেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে