মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি চান ভোটাররা

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২২, ০৭: ০৩
আপডেট : ১৪ জুন ২০২২, ১৫: ১০

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মহানগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এখনো উন্নয়ন ও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। ওয়ার্ড জুড়ে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। নেই ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সামন্য বৃষ্টিতেই সড়ক তলিয়ে যায়। এসব দুর্ভোগের পাশাপাশি ওয়ার্ডটিতে রয়েছে মাদকের আধিপত্য, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য। ওয়ার্ডটিকে যাঁরা এসব ভোগান্তি থেকে মুক্ত করবেন তাঁদেরই আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর হিসেবে বেছে নিতে চান স্থানীয় ভোটাররা।

১৮ নম্বর ওয়ার্ডটি কুসিকের মুরাদপুর মৌজায়। মহানগরের আদি অধিবাসীদের অধিকাংশই এ ওয়ার্ডে বসবাস করেন। এখানে মোট ভোটার রয়েছেন ৮ হাজার ৭৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ২৩৩ জন ও মহিলা ভোটার ৪ হাজার ৬২৭ জন। কাউন্সিলর পদে এ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ জন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ওয়ার্ডের মুরাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারছি না, কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে স্কুলে আসতে ভোগান্তিতে পড়ছে। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাইনি।’

মুরাদপুর দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দিন জানান, এ ওয়ার্ডের অধিকাংশ সড়কই ভাঙাচোরা, নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন। মুরাদপুর ভূঁইয়া বাড়ির আরেক প্রবীণ বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন মিয়া বলেন, ‘১০ বছরেও এ ওয়ার্ডে কোনো উন্নয়ন হয়নি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়ন হলেও আমরা বঞ্চিতই রয়ে গেছি।’

হজরত পাড়ার বাসিন্দা হেলাল মিয়া বলেন, ‘এ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নিজের স্ত্রী ও ছেলের নামে ঠিকাদারির কাজ করেছেন। তাঁর করা সড়ক ও ড্রেন অল্প দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে। বরাবরের মতো এ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।’

এ ওয়ার্ডের সদ্য বিদায়ী কাউন্সিলর মো. সেলিম খান বলেন, ‘পুরো নগর জুড়েই জলাবদ্ধতার সমস্যা রয়েছে। আশার কথা হলো, এ ওয়ার্ডের উন্নয়নে বরাদ্দ দেওয়া ৩৭ কোটি টাকার মধ্যে ১৪ কোটি টাকার কাজ চলছে। আমি বেশ কিছু উন্নয়নকাজ করেছি। এবার নির্বাচিত হলে বাকি কাজগুলোও শেষ করব।’

কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন

এ ওয়ার্ডের ঘুড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আহাদ বিশ্বাস বলেন, ‘১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা দীর্ঘ ১০ বছরেও সমাধান হয়নি। বছরের পর বছর মানুষ এ ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। আমি ওয়ার্ডবাসীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’

এ ওয়ার্ডের আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (হাসেম) বলেন, ‘এ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সিটি করপোরেশন গঠন হওয়ার পর থেকেই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। এ ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মাদক, চাঁদাবাজ, বেকারত্ব ও জলাবদ্ধতা। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নাজুক। তা ছাড়া পুরো ওয়ার্ড খুবই অপরিচ্ছন্ন। আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করে বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করব। পাশাপাশি জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ নানা উন্নয়নকাজের পরিকল্পনা রয়েছে।’

কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত