বাপ্পী শাহরিয়ার, চকরিয়া (কক্সবাজার) সাপের মতো আঁকাবাঁকা মাতামুহুরী নদীর স্রোতোধারা ধীরে ধীরে মিইয়ে যাচ্ছে। নদীর বুকে জেগেছে অসংখ্য চর। কোথাও হাঁটুপানি, আবার কোথাও ধু ধু বালুচর। এসব চরের যেদিকেই চোখ যায়, শুধু সবজির খেত। ধু ধু চরে শীতকালীন শাকসবজি চাষে সচ্ছলতা পেয়েছেন শত শত কৃষক।

কক্সবাজারের চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর দুই তীরের কৃষকেরা সচ্ছলতার গল্প শোনান।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মাতামুহুরী নদীর দৈর্ঘ্য ১৪৬ কিলোমিটার। এই উপজেলায় নদীটি ৪০ কিলোমিটার পড়েছে। চকরিয়া পৌরসভা, ভেওলা মানিকচর (বিএম চর), কাকারা, মানিকপুর, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, পশ্চিম বড়ভেওলা, পূর্ব ভেওলা, ফাঁসিয়াখালী, সাহারবিল ও চিরিংগা ইউনিয়নে ৫ হাজার ৯৮৬ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি ও রবি ফসলের আবাদ হয়েছে। উপজেলার প্রায় ৮ হাজার কৃষককে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাতামুহুরী নদীর চরে মাঠের পর মাঠ সবুজ সবজিতে ভরে গেছে। খেত থেকে সবজি আহরণ করে মাঠে স্তূপ করে রাখছেন কৃষকেরা। খেত থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দরদামের পর নগদ টাকায় কিনে ট্রাকে পরিবহন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এ বছর ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মরিচ, আলু, বেগুন, মুলা, পটোল, করলা, ঢ্যাঁড়স ও ধনেপাতাসহ হরেকরকম সবজিতে নদীর দুই তীরের চরে চাষ হয়েছে।

মাইজ কাকারার কৃষক আলী আকবর বলেন, ‘১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি। আরও ১ লাখের বেশি টাকার সবজি বিক্রি হবে।’

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন বলেন, আমরা কৃষকদের যথাযথ সহযোগিতা করে আসছি।