সম্পাদকীয়
বেশ কিছুদিন ধরেই হজযাত্রা নিয়ে খবর প্রকাশিত হচ্ছে পত্রিকায়। পঞ্চমবারের মতো নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর পরও সৌদি আরব-নির্ধারিত হজযাত্রীদের কোটা পূরণ হয়নি; অর্থাৎ সৌদি আরব এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশির জন্য হজযাত্রার সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু হজযাত্রীর সংখ্যা আশ্চর্য রকম কম হওয়ায় বারবার নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়াতে হয়েছে। ফলে কোটার ৪৪ হাজার ২৩২টি খালি রেখে বাংলাদেশ সরকার সৌদি আরবকে হজযাত্রীর সংখ্যা জানিয়ে দিয়েছে।
বরাবরই আমরা লক্ষ করে আসছি, পবিত্র হজব্রত পালন করার জন্য অনেক মুসলমান ঈদুল আজহার সময় মক্কা শরিফে যান। প্রতিবারই হজযাত্রীদের ভিড়ে কোটা উপচে পড়ে। এবার কী কারণে হজযাত্রায় অনীহা হলো, তা নিয়ে সমাজতাত্ত্বিক গবেষণা হওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য হজযাত্রীর সংখ্যা কম হওয়ার যে চারটি কারণ খুঁজে বের করেছেন, তা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য। মনে করিয়ে দিই, বলা হচ্ছে হজ প্যাকেজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, জাতীয় নির্বাচনের কারণে হজযাত্রার ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতা, ওমরাহকে হজের বিকল্প মনে করা এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি।
দ্বিতীয় কারণটি ছাড়া বাকি কারণগুলো একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত। বাকি তিনটি কারণের দিকে চোখ রাখলেই আমরা দেখতে পাব, এর পেছনে অন্যায় বাণিজ্যের হাত রয়েছে। ভেবে দেখুন, স্বাভাবিক সময়ে সৌদি আরবে যেতে যে পরিমাণ খরচ হয়, হজের সময় তার থেকে অনেক বেশি টাকা আদায় করা হয়। কেন এ রকম হয়? এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ কেন প্রশ্ন তোলেন না? হজকে ধর্মীয় বিষয় হিসেবে না দেখে শুধুই বাণিজ্যের বিষয় হিসেবে দেখলে এ অঘটন ঘটতেই থাকবে। ধর্মপ্রাণ মানুষ ধর্মীয় আদেশ পালন করার জন্য হজযাত্রা করবেন, এটা জেনে সংশ্লিষ্টরা ইচ্ছেমতো পথখরচ থেকে শুরু করে প্যাকেজ খরচ নিয়ে যাবেন অস্বাভাবিক অবস্থানে—এটা কেন মেনে নিতে হবে? স্বাভাবিক সময়ে সৌদি আরবে যাওয়া-আসার ভাড়া ৮০ হাজার টাকা হলে কী কারণে হজের সময় টিকিটের দাম ২ লাখ টাকা হবে? এর কি কোনো ব্যাখ্যা আছে? প্রায় একই ধরনের প্রশ্ন তোলা যায় রমজানের সময়কার বাজার নিয়ে। কী এক অদ্ভুত কারণে সংযমের মাস নামে পরিচিত মাসটিতেই জিনিসপত্রের দাম চরম অসংযমী হয়ে ওঠে! ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে ভিনদেশি বা ভিনধর্মী মানুষ ষড়যন্ত্র করে দাম বাড়াচ্ছে—এ রকম ছেলেভোলানো কথায় চিড়ে ভিজবে বলে মনে হয় না। হজ প্যাকেজের মূল্য গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে না আনলে হজের পরিবর্তে ওমরাহর দিকেই ঝুঁকবে মানুষ, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
হ্যাঁ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে হজযাত্রার একটি বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখতে হবে। জিনিসপত্রের দাম যাঁরা বাড়াচ্ছেন, তাঁরা ব্যবসায় স্বাভাবিক রীতি চাহিদা ও জোগানের সূত্র মেনে দাম বাড়াচ্ছেন না। এখানে একচ্ছত্র আধিপত্য মুনাফার। এই চরম সিন্ডিকেট কারবারিদের হাতে পড়ে গেছে হজও। তাই দেশের অর্থনীতির পাগলা ঘোড়াটিকে বশে আনতে না পারলে হজযাত্রার এই বাস্তব সমস্যাও কাটবে বলে মনে হয় না।
বেশ কিছুদিন ধরেই হজযাত্রা নিয়ে খবর প্রকাশিত হচ্ছে পত্রিকায়। পঞ্চমবারের মতো নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর পরও সৌদি আরব-নির্ধারিত হজযাত্রীদের কোটা পূরণ হয়নি; অর্থাৎ সৌদি আরব এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশির জন্য হজযাত্রার সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু হজযাত্রীর সংখ্যা আশ্চর্য রকম কম হওয়ায় বারবার নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়াতে হয়েছে। ফলে কোটার ৪৪ হাজার ২৩২টি খালি রেখে বাংলাদেশ সরকার সৌদি আরবকে হজযাত্রীর সংখ্যা জানিয়ে দিয়েছে।
বরাবরই আমরা লক্ষ করে আসছি, পবিত্র হজব্রত পালন করার জন্য অনেক মুসলমান ঈদুল আজহার সময় মক্কা শরিফে যান। প্রতিবারই হজযাত্রীদের ভিড়ে কোটা উপচে পড়ে। এবার কী কারণে হজযাত্রায় অনীহা হলো, তা নিয়ে সমাজতাত্ত্বিক গবেষণা হওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য হজযাত্রীর সংখ্যা কম হওয়ার যে চারটি কারণ খুঁজে বের করেছেন, তা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য। মনে করিয়ে দিই, বলা হচ্ছে হজ প্যাকেজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, জাতীয় নির্বাচনের কারণে হজযাত্রার ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতা, ওমরাহকে হজের বিকল্প মনে করা এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি।
দ্বিতীয় কারণটি ছাড়া বাকি কারণগুলো একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত। বাকি তিনটি কারণের দিকে চোখ রাখলেই আমরা দেখতে পাব, এর পেছনে অন্যায় বাণিজ্যের হাত রয়েছে। ভেবে দেখুন, স্বাভাবিক সময়ে সৌদি আরবে যেতে যে পরিমাণ খরচ হয়, হজের সময় তার থেকে অনেক বেশি টাকা আদায় করা হয়। কেন এ রকম হয়? এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ কেন প্রশ্ন তোলেন না? হজকে ধর্মীয় বিষয় হিসেবে না দেখে শুধুই বাণিজ্যের বিষয় হিসেবে দেখলে এ অঘটন ঘটতেই থাকবে। ধর্মপ্রাণ মানুষ ধর্মীয় আদেশ পালন করার জন্য হজযাত্রা করবেন, এটা জেনে সংশ্লিষ্টরা ইচ্ছেমতো পথখরচ থেকে শুরু করে প্যাকেজ খরচ নিয়ে যাবেন অস্বাভাবিক অবস্থানে—এটা কেন মেনে নিতে হবে? স্বাভাবিক সময়ে সৌদি আরবে যাওয়া-আসার ভাড়া ৮০ হাজার টাকা হলে কী কারণে হজের সময় টিকিটের দাম ২ লাখ টাকা হবে? এর কি কোনো ব্যাখ্যা আছে? প্রায় একই ধরনের প্রশ্ন তোলা যায় রমজানের সময়কার বাজার নিয়ে। কী এক অদ্ভুত কারণে সংযমের মাস নামে পরিচিত মাসটিতেই জিনিসপত্রের দাম চরম অসংযমী হয়ে ওঠে! ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে ভিনদেশি বা ভিনধর্মী মানুষ ষড়যন্ত্র করে দাম বাড়াচ্ছে—এ রকম ছেলেভোলানো কথায় চিড়ে ভিজবে বলে মনে হয় না। হজ প্যাকেজের মূল্য গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে না আনলে হজের পরিবর্তে ওমরাহর দিকেই ঝুঁকবে মানুষ, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
হ্যাঁ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে হজযাত্রার একটি বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখতে হবে। জিনিসপত্রের দাম যাঁরা বাড়াচ্ছেন, তাঁরা ব্যবসায় স্বাভাবিক রীতি চাহিদা ও জোগানের সূত্র মেনে দাম বাড়াচ্ছেন না। এখানে একচ্ছত্র আধিপত্য মুনাফার। এই চরম সিন্ডিকেট কারবারিদের হাতে পড়ে গেছে হজও। তাই দেশের অর্থনীতির পাগলা ঘোড়াটিকে বশে আনতে না পারলে হজযাত্রার এই বাস্তব সমস্যাও কাটবে বলে মনে হয় না।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪