নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভালো একটা শুরু। এরপর হঠাৎ ছন্দপতন। আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি, বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে গেছে নিমেষেই। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের এই ‘ডমিনো ইফেক্ট’ বা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার উদাহরণ অসংখ্য।
সর্বশেষ ভেঙে পড়ার উদাহরণ ডারবান টেস্টে। চার দিন সমানে সমান লড়া বাংলাদেশ চতুর্থ ইনিংসে টিকতে পারেনি ২০ ওভারও। সেটিও আবার দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনারদের বিপক্ষে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে, সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বয়সভিত্তিক দলের স্পিনাররা বোলিং করলেও সেটি খেলা যেন কঠিন হয়ে যেত মুমিনুলদের! বেশির ভাগ উইকেট বাংলাদেশ দিয়েছে প্রোটিয়া স্পিনারদের নিরীহ বলে, বিষাক্ত টার্নে পরাস্ত হয়ে নয়।
এই যে বিপর্যয়, এটা যতটা না স্কিলের পরীক্ষা, সেটির চেয়ে বেশি ছিল মনস্তাত্ত্বিক খেলা। ক্রিকেট শুধু স্কিলেরই খেলা তো নয়, খেলাটা মনেরও। মনে যদি একবার ভয়ের বাঘটা ঢুকে পড়ে—আত্মবিশ্বাস, দৃঢ় মনোবল দ্রুতই হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। এই মনের বাঘ বাংলাদেশকে আগেও অনেকবার খেয়েছে। ডারবানেও খেল। মুমিনুল হক বিষয়টি তাঁর দল থেকে তাড়াতে চান। শিখতে চান চরম বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়াতে।
পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট শুরুর আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল বললেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি, এই জায়গায় হয়তো আমাদের আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে। এই বিষয়গুলো আমার কাছে মনে হয় ভালোভাবে চিন্তা করতে হবে। এমন বিপর্যয়ে পড়লে আমরা কী করতে পারি, ওই অবস্থা যেন ফিরে না আসে, সেটা করতে হবে।’
বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের চিত্র দেখা গেছে গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে কিংবা জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ টেস্টেও। মুহূর্তেই ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়ার সবচেয়ে বীভৎস রূপটা বাংলাদেশ দেখেছে ২০১৮ সালের অ্যান্টিগা টেস্টে। ওই টেস্টে নিজেদের সর্বনিম্ন ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিলেন তামিমরা। অবশ্য এই ডমিনো ইফেক্টের বিপরীতে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পও আছে বাংলাদেশের। ডারবানে টেস্টেই প্রথম ইনিংসে ১০১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে। গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে মহাকাব্যিক এক জুটিতে বাংলাদেশ পেয়েছিল দুর্দান্ত এক জয়। দেশ-বিদেশে ধারাবাহিক সফল হতে হলে এ ধরনের ঘুরে দাঁড়ানোর অভ্যাস করতেই হবে বাংলাদেশকে, সেটি নিজেও উপলব্ধি করছেন মুমিনুল।
অবশ্য কোনো দলই চায় না নিয়মিত বিপর্যয়ে পড়তে। ব্যাটিং বিপর্যয় রোধে ধারাবাহিক জ্বলে উঠতে হবে ওপরের ব্যাটারদের। এখানেই একটা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। বিশেষ করে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল আর মুশফিকুর রহিমের ছন্দে ফেরাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই দুজনই সাধারণত দলের বিপর্যয় সামলে অভ্যস্ত। বিষয়টি নিয়ে যদিও চিন্তিত নন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মুমিনুল বলেছেন, ‘তাঁকে (মুশফিক) নিয়ে কোনো চিন্তা করি না। তিনি বাংলাদেশ দলের সেরা ব্যাটার। টেস্টে তাঁর তিনটা ডাবল সেঞ্চুরি আছে। অবশ্যই দ্রুত রানে ফিরবেন তিনি। আর আমি নিজেকে নিয়েও চিন্তিত নই। আগে কী হয়েছে, সেটা নিয়ে না ভেবে সামনের ম্যাচে কী হবে সেদিকে তাকাচ্ছি।’
ভালো একটা শুরু। এরপর হঠাৎ ছন্দপতন। আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি, বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে গেছে নিমেষেই। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের এই ‘ডমিনো ইফেক্ট’ বা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার উদাহরণ অসংখ্য।
সর্বশেষ ভেঙে পড়ার উদাহরণ ডারবান টেস্টে। চার দিন সমানে সমান লড়া বাংলাদেশ চতুর্থ ইনিংসে টিকতে পারেনি ২০ ওভারও। সেটিও আবার দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনারদের বিপক্ষে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে, সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বয়সভিত্তিক দলের স্পিনাররা বোলিং করলেও সেটি খেলা যেন কঠিন হয়ে যেত মুমিনুলদের! বেশির ভাগ উইকেট বাংলাদেশ দিয়েছে প্রোটিয়া স্পিনারদের নিরীহ বলে, বিষাক্ত টার্নে পরাস্ত হয়ে নয়।
এই যে বিপর্যয়, এটা যতটা না স্কিলের পরীক্ষা, সেটির চেয়ে বেশি ছিল মনস্তাত্ত্বিক খেলা। ক্রিকেট শুধু স্কিলেরই খেলা তো নয়, খেলাটা মনেরও। মনে যদি একবার ভয়ের বাঘটা ঢুকে পড়ে—আত্মবিশ্বাস, দৃঢ় মনোবল দ্রুতই হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। এই মনের বাঘ বাংলাদেশকে আগেও অনেকবার খেয়েছে। ডারবানেও খেল। মুমিনুল হক বিষয়টি তাঁর দল থেকে তাড়াতে চান। শিখতে চান চরম বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়াতে।
পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট শুরুর আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল বললেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি, এই জায়গায় হয়তো আমাদের আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে। এই বিষয়গুলো আমার কাছে মনে হয় ভালোভাবে চিন্তা করতে হবে। এমন বিপর্যয়ে পড়লে আমরা কী করতে পারি, ওই অবস্থা যেন ফিরে না আসে, সেটা করতে হবে।’
বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের চিত্র দেখা গেছে গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে কিংবা জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ টেস্টেও। মুহূর্তেই ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়ার সবচেয়ে বীভৎস রূপটা বাংলাদেশ দেখেছে ২০১৮ সালের অ্যান্টিগা টেস্টে। ওই টেস্টে নিজেদের সর্বনিম্ন ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিলেন তামিমরা। অবশ্য এই ডমিনো ইফেক্টের বিপরীতে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পও আছে বাংলাদেশের। ডারবানে টেস্টেই প্রথম ইনিংসে ১০১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে। গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে মহাকাব্যিক এক জুটিতে বাংলাদেশ পেয়েছিল দুর্দান্ত এক জয়। দেশ-বিদেশে ধারাবাহিক সফল হতে হলে এ ধরনের ঘুরে দাঁড়ানোর অভ্যাস করতেই হবে বাংলাদেশকে, সেটি নিজেও উপলব্ধি করছেন মুমিনুল।
অবশ্য কোনো দলই চায় না নিয়মিত বিপর্যয়ে পড়তে। ব্যাটিং বিপর্যয় রোধে ধারাবাহিক জ্বলে উঠতে হবে ওপরের ব্যাটারদের। এখানেই একটা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। বিশেষ করে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল আর মুশফিকুর রহিমের ছন্দে ফেরাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই দুজনই সাধারণত দলের বিপর্যয় সামলে অভ্যস্ত। বিষয়টি নিয়ে যদিও চিন্তিত নন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মুমিনুল বলেছেন, ‘তাঁকে (মুশফিক) নিয়ে কোনো চিন্তা করি না। তিনি বাংলাদেশ দলের সেরা ব্যাটার। টেস্টে তাঁর তিনটা ডাবল সেঞ্চুরি আছে। অবশ্যই দ্রুত রানে ফিরবেন তিনি। আর আমি নিজেকে নিয়েও চিন্তিত নই। আগে কী হয়েছে, সেটা নিয়ে না ভেবে সামনের ম্যাচে কী হবে সেদিকে তাকাচ্ছি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে