মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
পর্যটন শহর কক্সবাজারে ঢুকতেই কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সেখান থেকে পাহাড়ের মাঝ দিয়ে গেছে কলাতলী পর্যটন জোনের চার লেনের সড়ক। সড়কের দুই পাশে ঘন জঙ্গলবেষ্টিত সারি সারি পাহাড়। সেসব পাহাড়ে পাকা-আধা পাকা দালান ও ঝুপড়িঘরে ঠাসা। কলাতলী থেকে মেরিন ড্রাইভ ধরে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত এ পাহাড়ের পাদদেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে কক্সবাজার শহর, উখিয়া, টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। এ বছর বর্ষার শুরুতেই জেলার ৮ উপজেলায় পাহাড়ে ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি পৃথক পাহাড় ধসে ১২ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী এলাকায় ৫টি স্থানে পাহাড় ধসে স্থানীয় দুই ব্যক্তি ও আট রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার শহরের বাদশাঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে নিহত হয়েছে এক দম্পতি।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, জেলা সদর, উখিয়া, টেকনাফ, রামু, ঈদগাঁও, চকরিয়া, পেকুয়া ও মহেশখালীতে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে। বর্ষা এলেই স্থানীয় প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরে যেতে মাইকিং করে। এ ছাড়া কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।
তবে জেলায় পাহাড়ে অবৈধ বসতি ও ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীর সঠিক পরিসংখ্যান নেই সংশ্লিষ্ট কোনো দপ্তরে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের ৯ উপজেলার মধ্যে কুতুবদিয়া ছাড়া বাকি আট উপজেলার এক-তৃতীয়াংশ বনভূমি। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর পাহাড়ের বিস্তীর্ণ বনভূমির একটি বড় অংশ গত দুই দশকে দখল হয়ে গেছে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের তথ্যমতে, গত ১০ বছরে এ বিভাগের অধীন ১৩ হাজার ৩৪৭ একর বনভূমি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিভাগের ৭৬ হাজার ৪৫৭ একর বনভূমির মধ্যে ব্যক্তিপর্যায়ে দখলে গেছে ১২ হাজার ৬০৫ একর।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮৩ একর বনভূমির মধ্যে বড় অংশ হাতছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার একর বনভূমিজুড়ে। আশ্রয়শিবিরের আশপাশের পাহাড়েও গড়ে উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, পাহাড়ে অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে বন বিভাগের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। বেদখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনের পাহাড় দখল করে বসতি স্থাপন ও পাহাড় কাটার ঘটনা বেড়েছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটলে এ নিয়ে হইচই হয়, পরক্ষণেই সব চেপে যায়।
কক্সবাজারে পাহাড় কাটা ও দখল বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। সংগঠনটির কক্সবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কক্সবাজারে পাহাড় নিধনের ভয়ানক পরিস্থিতি সবাই অবগত।
কিন্তু কোনো সংস্থা কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে পাহাড় রক্ষায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর, প্রতিষ্ঠান ও বাহিনীর সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সতর্ক করে নিয়মিত প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতির তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৫ আশ্রয়শিবিরের ৫৫০০ ঘর ধসের ঝুঁকিতে
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত অন্তত ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এসব ক্যাম্পের মধ্যে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৭ থেকে ১১ নম্বর ক্যাম্পে ৫ হাজার ৫০০টি বসতঘর পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশির ভাগ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে গত তিন বছরে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
পর্যটন শহর কক্সবাজারে ঢুকতেই কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সেখান থেকে পাহাড়ের মাঝ দিয়ে গেছে কলাতলী পর্যটন জোনের চার লেনের সড়ক। সড়কের দুই পাশে ঘন জঙ্গলবেষ্টিত সারি সারি পাহাড়। সেসব পাহাড়ে পাকা-আধা পাকা দালান ও ঝুপড়িঘরে ঠাসা। কলাতলী থেকে মেরিন ড্রাইভ ধরে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত এ পাহাড়ের পাদদেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে কক্সবাজার শহর, উখিয়া, টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। এ বছর বর্ষার শুরুতেই জেলার ৮ উপজেলায় পাহাড়ে ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি পৃথক পাহাড় ধসে ১২ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী এলাকায় ৫টি স্থানে পাহাড় ধসে স্থানীয় দুই ব্যক্তি ও আট রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার শহরের বাদশাঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে নিহত হয়েছে এক দম্পতি।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, জেলা সদর, উখিয়া, টেকনাফ, রামু, ঈদগাঁও, চকরিয়া, পেকুয়া ও মহেশখালীতে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে। বর্ষা এলেই স্থানীয় প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরে যেতে মাইকিং করে। এ ছাড়া কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।
তবে জেলায় পাহাড়ে অবৈধ বসতি ও ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীর সঠিক পরিসংখ্যান নেই সংশ্লিষ্ট কোনো দপ্তরে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের ৯ উপজেলার মধ্যে কুতুবদিয়া ছাড়া বাকি আট উপজেলার এক-তৃতীয়াংশ বনভূমি। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর পাহাড়ের বিস্তীর্ণ বনভূমির একটি বড় অংশ গত দুই দশকে দখল হয়ে গেছে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের তথ্যমতে, গত ১০ বছরে এ বিভাগের অধীন ১৩ হাজার ৩৪৭ একর বনভূমি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিভাগের ৭৬ হাজার ৪৫৭ একর বনভূমির মধ্যে ব্যক্তিপর্যায়ে দখলে গেছে ১২ হাজার ৬০৫ একর।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮৩ একর বনভূমির মধ্যে বড় অংশ হাতছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার একর বনভূমিজুড়ে। আশ্রয়শিবিরের আশপাশের পাহাড়েও গড়ে উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, পাহাড়ে অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে বন বিভাগের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। বেদখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনের পাহাড় দখল করে বসতি স্থাপন ও পাহাড় কাটার ঘটনা বেড়েছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটলে এ নিয়ে হইচই হয়, পরক্ষণেই সব চেপে যায়।
কক্সবাজারে পাহাড় কাটা ও দখল বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। সংগঠনটির কক্সবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কক্সবাজারে পাহাড় নিধনের ভয়ানক পরিস্থিতি সবাই অবগত।
কিন্তু কোনো সংস্থা কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে পাহাড় রক্ষায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর, প্রতিষ্ঠান ও বাহিনীর সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সতর্ক করে নিয়মিত প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতির তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৫ আশ্রয়শিবিরের ৫৫০০ ঘর ধসের ঝুঁকিতে
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত অন্তত ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এসব ক্যাম্পের মধ্যে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৭ থেকে ১১ নম্বর ক্যাম্পে ৫ হাজার ৫০০টি বসতঘর পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশির ভাগ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে গত তিন বছরে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে