রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
দেশে চলতি বছর ডেঙ্গুতে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার ১২ শতাংশই শিশু। এরপরও ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর নেই। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে শিশু বিভাগ থাকলেও সেখানে নেই পর্যাপ্ত শিশু বিশেষজ্ঞ। কোনো সরকারি হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) নেই। এমনকি ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু রোগীর চিকিৎসায় নেই উপযুক্ত গাইডলাইন।
সরকারি ব্যবস্থাপনার এমন দুর্দশার কারণে বেসরকারি হাসপাতাল নির্ভর হয়ে পড়েছে শিশুদের ডেঙ্গু চিকিৎসায়। উপযুক্ত গাইডলাইন না থাকায় বেসরকারি হাসপাতালগুলো যে যার মতো করে চিকিৎসা দিচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের। এতে বাড়ছে শিশুর মৃত্যু। সবকিছু দেখেও নির্বিকার সরকার।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের ডেঙ্গু চিকিৎসা কোথায় হয়, সে সম্পর্কে দেশের বেশির ভাগ মানুষের ধারণা নেই। ফলে শিশু অসুস্থ হলে নিয়ে যাওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে বড়দের মতো করে ফ্লুইড দিয়ে শিশুদের রেফার করা হয় পিআইসিইউতে।
রাজধানীর মাঝারি মানের হাসপাতালগুলোতে একটি শিশুকে দুই দিন পিআইসিইউতে রাখলে বিল আসে ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। অনেকের পক্ষেই এই ব্যয় করা অসম্ভব। আবার অনেক সময় প্রয়োজন না পড়লেও ব্যবসায়িক মনোভাব থেকেই শিশু রোগীকে পিআইসিইউতে পাঠানো হয়।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অধ্যাপক ও চিকিৎসক বলেন, শিশুদের ডেঙ্গু চিকিৎসায় নানা সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, দেশে শিশু বিশেষজ্ঞের অভাব। দ্বিতীয়ত, বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর বাণিজ্যিক মনোভাব। অনেক সময় আক্রান্ত শিশু যতটা সিভিয়ার নয়, হাসপাতালগুলো তার চেয়ে বেশি প্যানিক সৃষ্টি করে বাবা-মার মনে আতঙ্ক ধরিয়ে দেয় এবং শিশুকে পিআইসিইউতে নিতে বাধ্য করে। এ ছাড়া ডেঙ্গু চিকিৎসায় যে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে, সেখানে শিশুদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব প্রদান করা হয়নি। কারণ, গাইডলাইন প্রণেতাদের মধ্যে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ ছিলেন না।
ডেঙ্গু চিকিৎসার গাইডলাইনে শিশুদের বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি বলে দাবি করেছেন আরেক বিশেষজ্ঞ। সহকারী অধ্যাপক পদমর্যাদার ওই চিকিৎসক বলেন, গাইডলাইন যাঁরা করেছেন, তাঁরা শুধুই ফ্লুইড নিয়ে কথা বলেছেন। এবার শিশুদের মূল সমস্যাই দেখা যাচ্ছে পেট ফুলে যাওয়া আর লুজ মোশন। এসব পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা নিয়ে আলোকপাত নেই গাইডলাইনে। তিনি বলেন, অনেক শিশু হাসপাতালে যাচ্ছে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার লক্ষণ নিয়ে। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাদের ক্ষেত্রে প্রথমেই প্লাটিলেট দিয়ে দিচ্ছে বা ব্লাড দিচ্ছে। সেটার পরিমাণ কত, তার সঠিক নির্দেশনা গাইডলাইনে নেই। তাই শিশুদের চিকিৎসার ভালোমন্দ নিরীক্ষা না করেই পিআইসিইউতে রেফার করা হচ্ছে। যেসব হাসপাতালে পিআইসিইউ নেই, সেখানে বাচ্চাদের স্যালাইনও দেওয়া হয় না।
এসব নিয়ে রক্ত পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞ ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ দাউদ আদনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারে শিশুদের ডেঙ্গু আক্রান্তের বিষয়টি একটু জটিল। কারণ, বেশির ভাগ শিশু ডেঙ্গু আক্রান্তের লক্ষণ প্রকাশ পায় ডায়রিয়ার মাধ্যমে। ফলে শুরুতেই শিশু কিছুটা পানিশূন্যতায় থাকে। ফলে ছোট শিশুদের চিকিৎসায় নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ৫ বছরের নিচের শিশুদের। শিশুদের ফ্লুইড ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অনেক চিকিৎসকের স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় এদের পিআইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
জানা যায়, একটি শিশুকে বেসরকারি হাসপাতালের পিআইসিইউতে রাখতে বিপুল টাকার প্রয়োজন পড়ে। যেকোনো সাধারণ মানে হাসপাতালে এক দিন শয্যা ভাড়া বাবদ গুনতে হয় ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ডিউটি চিকিৎসকের ফি এক হাজার টাকা। দিনে একবার একজন কনসালট্যান্ট রোগীকে দেখা বাবদ গুনতে হয় তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা। তবে বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতালে কনসালট্যান্টের অস্তিত্ব শুধু নামেই সীমাবদ্ধ। এ ছাড়া নার্সিং সার্ভিসের জন্য দিতে হয় ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। ওষুধ ও আনুষঙ্গিক খরচ এর বাইরে। সরকারি পর্যায়ে পিআইসিইউ থাকলে এই ব্যয় অনেকাংশে নামিয়ে আনা যেত।
এ বিষয়ে আরপিপি প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক শাহ গোলাম নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের কোনো সরকারি হাসপাতালে পিআইসিইউ নেই। ফলে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের এই চিকিৎসা হয়ে পড়ছে বেসরকারি হাসপাতালনির্ভর। তিনি জানান, তাঁর প্রকল্পে দেশের ১২টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিআইসিইউ স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ডিপিপি অনুমোদিত হয়েছে। তারপর স্থাপত্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নকশা প্রণয়ন করে গণপূর্ত অধিদপ্তরে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শূন্য থেকে ১৫ বছর বয়সী ১০৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, যা এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশ। এর মধ্যে শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুই ৩৪ জন। এই সময়ে রোগটি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৩৫ হাজার ২৫৮ শিশু, যা মোট আক্রান্তের ১৯ শতাংশ। এর মধ্যে শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী আছে ১০ হাজার ৮১৬ জন।
সামগ্রিক বিষয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শফি আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া কারও অধীনে শিশুদের ডেঙ্গু চিকিৎসা করা উচিত নয়। জ্বরের প্রথমেই শিশুদের ফ্লুইড দিলে সেটা ক্ষতিকর কারণ হতে পারে। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া শিশুদের পিআইসিইউতে ঢোকায়। সেটা ঠিক নয়, কারণ, সেখানে গিয়ে শিশু অন্য জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারে। সবচেয়ে ভালো চিকিৎসার ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুসরণ করা।
দেশে চলতি বছর ডেঙ্গুতে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার ১২ শতাংশই শিশু। এরপরও ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর নেই। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে শিশু বিভাগ থাকলেও সেখানে নেই পর্যাপ্ত শিশু বিশেষজ্ঞ। কোনো সরকারি হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) নেই। এমনকি ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু রোগীর চিকিৎসায় নেই উপযুক্ত গাইডলাইন।
সরকারি ব্যবস্থাপনার এমন দুর্দশার কারণে বেসরকারি হাসপাতাল নির্ভর হয়ে পড়েছে শিশুদের ডেঙ্গু চিকিৎসায়। উপযুক্ত গাইডলাইন না থাকায় বেসরকারি হাসপাতালগুলো যে যার মতো করে চিকিৎসা দিচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের। এতে বাড়ছে শিশুর মৃত্যু। সবকিছু দেখেও নির্বিকার সরকার।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের ডেঙ্গু চিকিৎসা কোথায় হয়, সে সম্পর্কে দেশের বেশির ভাগ মানুষের ধারণা নেই। ফলে শিশু অসুস্থ হলে নিয়ে যাওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে বড়দের মতো করে ফ্লুইড দিয়ে শিশুদের রেফার করা হয় পিআইসিইউতে।
রাজধানীর মাঝারি মানের হাসপাতালগুলোতে একটি শিশুকে দুই দিন পিআইসিইউতে রাখলে বিল আসে ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। অনেকের পক্ষেই এই ব্যয় করা অসম্ভব। আবার অনেক সময় প্রয়োজন না পড়লেও ব্যবসায়িক মনোভাব থেকেই শিশু রোগীকে পিআইসিইউতে পাঠানো হয়।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অধ্যাপক ও চিকিৎসক বলেন, শিশুদের ডেঙ্গু চিকিৎসায় নানা সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, দেশে শিশু বিশেষজ্ঞের অভাব। দ্বিতীয়ত, বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর বাণিজ্যিক মনোভাব। অনেক সময় আক্রান্ত শিশু যতটা সিভিয়ার নয়, হাসপাতালগুলো তার চেয়ে বেশি প্যানিক সৃষ্টি করে বাবা-মার মনে আতঙ্ক ধরিয়ে দেয় এবং শিশুকে পিআইসিইউতে নিতে বাধ্য করে। এ ছাড়া ডেঙ্গু চিকিৎসায় যে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে, সেখানে শিশুদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব প্রদান করা হয়নি। কারণ, গাইডলাইন প্রণেতাদের মধ্যে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ ছিলেন না।
ডেঙ্গু চিকিৎসার গাইডলাইনে শিশুদের বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি বলে দাবি করেছেন আরেক বিশেষজ্ঞ। সহকারী অধ্যাপক পদমর্যাদার ওই চিকিৎসক বলেন, গাইডলাইন যাঁরা করেছেন, তাঁরা শুধুই ফ্লুইড নিয়ে কথা বলেছেন। এবার শিশুদের মূল সমস্যাই দেখা যাচ্ছে পেট ফুলে যাওয়া আর লুজ মোশন। এসব পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা নিয়ে আলোকপাত নেই গাইডলাইনে। তিনি বলেন, অনেক শিশু হাসপাতালে যাচ্ছে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার লক্ষণ নিয়ে। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাদের ক্ষেত্রে প্রথমেই প্লাটিলেট দিয়ে দিচ্ছে বা ব্লাড দিচ্ছে। সেটার পরিমাণ কত, তার সঠিক নির্দেশনা গাইডলাইনে নেই। তাই শিশুদের চিকিৎসার ভালোমন্দ নিরীক্ষা না করেই পিআইসিইউতে রেফার করা হচ্ছে। যেসব হাসপাতালে পিআইসিইউ নেই, সেখানে বাচ্চাদের স্যালাইনও দেওয়া হয় না।
এসব নিয়ে রক্ত পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞ ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ দাউদ আদনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারে শিশুদের ডেঙ্গু আক্রান্তের বিষয়টি একটু জটিল। কারণ, বেশির ভাগ শিশু ডেঙ্গু আক্রান্তের লক্ষণ প্রকাশ পায় ডায়রিয়ার মাধ্যমে। ফলে শুরুতেই শিশু কিছুটা পানিশূন্যতায় থাকে। ফলে ছোট শিশুদের চিকিৎসায় নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ৫ বছরের নিচের শিশুদের। শিশুদের ফ্লুইড ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অনেক চিকিৎসকের স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় এদের পিআইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
জানা যায়, একটি শিশুকে বেসরকারি হাসপাতালের পিআইসিইউতে রাখতে বিপুল টাকার প্রয়োজন পড়ে। যেকোনো সাধারণ মানে হাসপাতালে এক দিন শয্যা ভাড়া বাবদ গুনতে হয় ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ডিউটি চিকিৎসকের ফি এক হাজার টাকা। দিনে একবার একজন কনসালট্যান্ট রোগীকে দেখা বাবদ গুনতে হয় তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা। তবে বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতালে কনসালট্যান্টের অস্তিত্ব শুধু নামেই সীমাবদ্ধ। এ ছাড়া নার্সিং সার্ভিসের জন্য দিতে হয় ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। ওষুধ ও আনুষঙ্গিক খরচ এর বাইরে। সরকারি পর্যায়ে পিআইসিইউ থাকলে এই ব্যয় অনেকাংশে নামিয়ে আনা যেত।
এ বিষয়ে আরপিপি প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক শাহ গোলাম নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের কোনো সরকারি হাসপাতালে পিআইসিইউ নেই। ফলে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের এই চিকিৎসা হয়ে পড়ছে বেসরকারি হাসপাতালনির্ভর। তিনি জানান, তাঁর প্রকল্পে দেশের ১২টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিআইসিইউ স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ডিপিপি অনুমোদিত হয়েছে। তারপর স্থাপত্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নকশা প্রণয়ন করে গণপূর্ত অধিদপ্তরে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শূন্য থেকে ১৫ বছর বয়সী ১০৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, যা এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশ। এর মধ্যে শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুই ৩৪ জন। এই সময়ে রোগটি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৩৫ হাজার ২৫৮ শিশু, যা মোট আক্রান্তের ১৯ শতাংশ। এর মধ্যে শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী আছে ১০ হাজার ৮১৬ জন।
সামগ্রিক বিষয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শফি আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া কারও অধীনে শিশুদের ডেঙ্গু চিকিৎসা করা উচিত নয়। জ্বরের প্রথমেই শিশুদের ফ্লুইড দিলে সেটা ক্ষতিকর কারণ হতে পারে। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া শিশুদের পিআইসিইউতে ঢোকায়। সেটা ঠিক নয়, কারণ, সেখানে গিয়ে শিশু অন্য জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারে। সবচেয়ে ভালো চিকিৎসার ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুসরণ করা।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে