রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের মনিরা সুলতানা নামে আমেরিকাফেরত এক নারী বাড়ির ছাদে বাগান সৃজন ক্যাটাগরিতে পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার। এই ক্যাটাগরিতে তিনি প্রথম হয়েছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা দীপঙ্কর বরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত মনিরা সুলতানা শ্রীপুরের প্রহ্লাদপুর ইউনিয়নের দমদমা গ্ৰামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বাদশার স্ত্রী। গাজীপুর শহরের উত্তর ছায়াবীথি এলাকায় বাড়ির ছাদে মনিরা গড়ে তুলেছেন দেশি-বিদেশি উদ্ভিদের এক বিশাল সমারোহ। আর এ কাজে উৎসাহ দিয়েছেন স্বামী আকরাম।
মনিরা ২০১৪ সালের দিকে শখের বশে অল্প কিছু গাছ এনে বাড়ির ছাদে লাগিয়েছিলেন। এরপর চিন্তা করেন কীভাবে এটাকে উৎপাদনমুখী ও বাণিজ্যিকভাবে করা যায়। সেই চিন্তা থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন জাতের ঔষধি গাছ, সবজি ও নানা ধরনের ফলের গাছ আমদানি করেন তিনি। আকরাম যতবার বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন, ততবার তাঁর জন্য নিয়ে এসেছেন কোনো না কোনো জাতের উদ্ভিদ।
মনিরা সুলতানা জানান, ছাদটি পরিপূর্ণভাবে সাজিয়ে সেখান থেকে কিছু চারা বিক্রি করেন তিনি। এর পরেই মাথায় আসে, আরও বড় পরিসরে ছাদে বিভিন্ন ঔষধি গাছ ও ফলমূলের চারা উৎপাদন করবেন তিনি। একই সঙ্গে চারা উৎপাদন, ছাদকৃষিতে উদ্ভিদের পরিচর্যা ও অল্প জায়গার সর্বোত্তম ব্যবহার নিয়ে লোকজনকে প্রশিক্ষণ দেবেন।
তিনি তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘প্ল্যান্টস ফ্রম মুন’ নামের একটি গ্রুপ খোলেন। সেখানে সদস্য হন অসংখ্য মানুষ। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। এ ছাড়াও তিনি তাঁর ছাদে মাছ চাষ করছেন। মাছের হাউস থেকে বালতিতে করে পানি নিয়ে গাছের গোড়ায় দেন তিনি। এতে গাছ অনেক পুষ্টি পায়। এ ছাড়া বাড়িতে উৎপাদিত সবজির উচ্ছিষ্টাংশ বিশেষ পদ্ধতিতে জৈবসারে রূপান্তর করেন তিনি। এসব সার বাজারে পাওয়া যেকোনো সারের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ। অরগানিক সবজি উৎপাদনের জন্য এসব সার ব্যবহার করেন তিনি।
জানা যায়, তাঁর ছাদবাগানে সব মিলিয়ে উদ্ভিদের সংখ্যা ৪৩৯টি। এর মধ্যে ঔষধি গাছ আছে ৪০ প্রজাতির। শোভাবর্ধনকারী গাছ আছে ৫৬ প্রজাতির। বিশেষ প্রজাতির গাছের সংখ্যা ২৬টি। দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির গাছ আছে ৭ প্রজাতির। ফলদ গাছের সংখ্যা ৯৯টি। অন্যান্য অন্তত ১০০ প্রজাতির গাছ আছে তাঁর ছাদে। ঔষধি গাছের মধ্যে আছে অর্জুন, আমলকী, বহেড়া, হরীতকী, ঘৃতকুমারী, নিম, তুলসী, থানকুনি, বাসক, পেইন কিলার, অ্যাড্রেসিয়া বেরি, ক্লিন স্টমাক, চেইন অব গ্লোরি, রুইলিয়া রেসিলিয়া, ডেইজি, কিডনি প্ল্যান্ট, ভ্যানিলা অর্কিড, কর্পূর, জয়ত্রী, গোলমরিচ, সুইট রেসিন, ট্রি রেসিন, কারিপাতা প্রভৃতি। সবজির মধ্যে আছে লেটুস, করলা, ধনেপাতা, বেগুন, কাঁকরোল, পটোল, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, লাউ, লাল ঢ্যাঁড়স, শিম, শসা, টমেটোসহ বিভিন্ন প্রজাতি। এ ছাড়া দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় জাতের গাছের মধ্যে রয়েছে ওল্ড চন্ডাল, আগর, সিভিট, হলুদ, কৃষ্ণ বট, অশোক, কর্পূর প্রভৃতি।
প্রথম পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে মনিরা সুলতানা বলেন, ‘ছাদকৃষিতে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি করতে চাই। তাই প্রতিবছর প্রশিক্ষণ, চারা ও বীজ বিতরণসহ সেমিনার করি। আশা করি, ভবিষ্যতে কৃষিতে আমরা আরও ভালো করব।’
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারের জন্য এ বছর ৭ জন ব্যক্তি ও ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়। ১৯৯৩ সাল থেকে চালু হওয়া প্রতিটি শ্রেণির পুরস্কারপ্রাপ্তদের সনদপত্র এবং অর্থ দেওয়া হয়।
গাজীপুরের মনিরা সুলতানা নামে আমেরিকাফেরত এক নারী বাড়ির ছাদে বাগান সৃজন ক্যাটাগরিতে পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার। এই ক্যাটাগরিতে তিনি প্রথম হয়েছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা দীপঙ্কর বরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত মনিরা সুলতানা শ্রীপুরের প্রহ্লাদপুর ইউনিয়নের দমদমা গ্ৰামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বাদশার স্ত্রী। গাজীপুর শহরের উত্তর ছায়াবীথি এলাকায় বাড়ির ছাদে মনিরা গড়ে তুলেছেন দেশি-বিদেশি উদ্ভিদের এক বিশাল সমারোহ। আর এ কাজে উৎসাহ দিয়েছেন স্বামী আকরাম।
মনিরা ২০১৪ সালের দিকে শখের বশে অল্প কিছু গাছ এনে বাড়ির ছাদে লাগিয়েছিলেন। এরপর চিন্তা করেন কীভাবে এটাকে উৎপাদনমুখী ও বাণিজ্যিকভাবে করা যায়। সেই চিন্তা থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন জাতের ঔষধি গাছ, সবজি ও নানা ধরনের ফলের গাছ আমদানি করেন তিনি। আকরাম যতবার বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন, ততবার তাঁর জন্য নিয়ে এসেছেন কোনো না কোনো জাতের উদ্ভিদ।
মনিরা সুলতানা জানান, ছাদটি পরিপূর্ণভাবে সাজিয়ে সেখান থেকে কিছু চারা বিক্রি করেন তিনি। এর পরেই মাথায় আসে, আরও বড় পরিসরে ছাদে বিভিন্ন ঔষধি গাছ ও ফলমূলের চারা উৎপাদন করবেন তিনি। একই সঙ্গে চারা উৎপাদন, ছাদকৃষিতে উদ্ভিদের পরিচর্যা ও অল্প জায়গার সর্বোত্তম ব্যবহার নিয়ে লোকজনকে প্রশিক্ষণ দেবেন।
তিনি তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘প্ল্যান্টস ফ্রম মুন’ নামের একটি গ্রুপ খোলেন। সেখানে সদস্য হন অসংখ্য মানুষ। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। এ ছাড়াও তিনি তাঁর ছাদে মাছ চাষ করছেন। মাছের হাউস থেকে বালতিতে করে পানি নিয়ে গাছের গোড়ায় দেন তিনি। এতে গাছ অনেক পুষ্টি পায়। এ ছাড়া বাড়িতে উৎপাদিত সবজির উচ্ছিষ্টাংশ বিশেষ পদ্ধতিতে জৈবসারে রূপান্তর করেন তিনি। এসব সার বাজারে পাওয়া যেকোনো সারের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ। অরগানিক সবজি উৎপাদনের জন্য এসব সার ব্যবহার করেন তিনি।
জানা যায়, তাঁর ছাদবাগানে সব মিলিয়ে উদ্ভিদের সংখ্যা ৪৩৯টি। এর মধ্যে ঔষধি গাছ আছে ৪০ প্রজাতির। শোভাবর্ধনকারী গাছ আছে ৫৬ প্রজাতির। বিশেষ প্রজাতির গাছের সংখ্যা ২৬টি। দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির গাছ আছে ৭ প্রজাতির। ফলদ গাছের সংখ্যা ৯৯টি। অন্যান্য অন্তত ১০০ প্রজাতির গাছ আছে তাঁর ছাদে। ঔষধি গাছের মধ্যে আছে অর্জুন, আমলকী, বহেড়া, হরীতকী, ঘৃতকুমারী, নিম, তুলসী, থানকুনি, বাসক, পেইন কিলার, অ্যাড্রেসিয়া বেরি, ক্লিন স্টমাক, চেইন অব গ্লোরি, রুইলিয়া রেসিলিয়া, ডেইজি, কিডনি প্ল্যান্ট, ভ্যানিলা অর্কিড, কর্পূর, জয়ত্রী, গোলমরিচ, সুইট রেসিন, ট্রি রেসিন, কারিপাতা প্রভৃতি। সবজির মধ্যে আছে লেটুস, করলা, ধনেপাতা, বেগুন, কাঁকরোল, পটোল, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, লাউ, লাল ঢ্যাঁড়স, শিম, শসা, টমেটোসহ বিভিন্ন প্রজাতি। এ ছাড়া দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় জাতের গাছের মধ্যে রয়েছে ওল্ড চন্ডাল, আগর, সিভিট, হলুদ, কৃষ্ণ বট, অশোক, কর্পূর প্রভৃতি।
প্রথম পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে মনিরা সুলতানা বলেন, ‘ছাদকৃষিতে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি করতে চাই। তাই প্রতিবছর প্রশিক্ষণ, চারা ও বীজ বিতরণসহ সেমিনার করি। আশা করি, ভবিষ্যতে কৃষিতে আমরা আরও ভালো করব।’
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারের জন্য এ বছর ৭ জন ব্যক্তি ও ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়। ১৯৯৩ সাল থেকে চালু হওয়া প্রতিটি শ্রেণির পুরস্কারপ্রাপ্তদের সনদপত্র এবং অর্থ দেওয়া হয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে