দুই পক্ষের সংঘর্ষ, বিজয়ী ইউপি সদস্যসহ আহত ২০

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪: ২৮
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৫৫

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে মুমুরদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মুমুরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আগের দিন রোববার মুমুরদিয়া ইউপিতে ভোট হয়। এতে ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন জয় লাভ করেন। পরাজিত হন জাহাঙ্গীর আলম। তাঁদের সমর্থকদের মধ্যেই এই সংঘর্ষ হয়। এতে আহত ব্যক্তিরা হলেন নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন এবং জিয়াউর রহমান, বাবু মিয়া, রোজিনা আক্তার, ওসমান গনি, আলম মিয়া, রহমত আলী, রাজিব, আব্দুল হালিম, ফয়সাল, আল-আমিন, আবুল কালাম, আবুল কাশেম, আবু হানিফ, খোকন মিয়া, সাগর মিয়া, ফেরদৌসী আক্তার, আবদুল হান্নান। তাঁদের কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর অবস্থায় জিয়াউর রহমানকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং বাবু মিয়াকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আমার সমর্থক মতি মিয়াকে পরাজিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম প্রাণনাশের হুমকি দেন। তাই তিনি ভয়ে রাতে বাড়িতে না গিয়ে আমার বাড়িতে থাকেন। আজ (গতকাল) সোমবার সকাল ১০টার দিকে আমি এলাকার আরও কিছু লোক নিয়ে মতি মিয়াকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে যাই। পথে জাহাঙ্গীর ও তাঁর সমর্থকেরা আমাদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন। এতে আমি ও আমার স্ত্রীসহ ২০ জন আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা মতিউর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করে।’

অন্যদিকে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। মতি মিয়ার ভাই ও ভাতিজার সঙ্গে জামাল উদ্দিনের লোকজনের মারামারি হয়েছে। ঝগড়া দেখে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করি। এ সময় জামাল উদ্দিনের লোকজনের হামলায় মতি মিয়ার মা ফুলবানুসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন।’

এ বিষয়ে বিকেলে জানতে চাইলে কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শাহাদত হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পর অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার জন্য এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত