কাঁদালেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪: ২১
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ০৯

সালটা ১৯৭০ এর ১০ অক্টোবর। কালীগঞ্জ প্রাইমারি স্কুলের সামনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক জনসভার আয়োজন করা হয়। এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি শীতলক্ষ্যা নদী পথে এসে সভায় হাজির হলেন এবং সভা শেষে গাজীপুরের কালীগঞ্জের তুমলিয়া ইউনিয়নের সোম এলাকায় এসে বিশ্রামের জন্য নামেন। তিনি স্থানীয় একটি বাজারে বসে সেই স্থানের নাম ঠিক করেন বঙ্গবন্ধু বাজার। সেই থেকে ওই বাজার বঙ্গবন্ধু বাজার নামে সারা দেশে পরিচিত।

গতকাল সোমবার সকালে শীতলক্ষার তীরে বঙ্গবন্ধু বাজারে ‘মুক্তিযোদ্ধা বন্ধন’ আয়োজিত বিজয়ের ৫০ বছর উদ্‌যাপন উপলক্ষে কালীগঞ্জ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে দর্শনার্থীদের চোখ ভিজিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান খান।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধা বন্ধনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন পাঠানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ আগা খান মিন্টু।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যুদ্ধকালীন সময়ের নানা স্মৃতিচারণ করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বর্তমান গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জমান, বাংলাদেশ মহিলা শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রওশন জাহান সাথী, কালীগঞ্জ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোস্তফা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল হক বাচ্চু, বিএলএফ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম ভূঁইয়া, তুমলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর মিয়া বাক্কু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁরা তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে আমাদের জন্য সুন্দর একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। আমাদের দায়িত্ব তাঁদের সম্মান দেখানো। তাঁদের নিরাপদ জীবন উপহার দেওয়া। এরই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বাজারে মুক্তিযোদ্ধা বন্ধন নামে একটি সংগঠনের আবির্ভাব ঘটেছে। এই সংগঠনের মাধ্যমে অবহেলিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরলোকগত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। পরে বক্তাদের মধ্য থেকে তুমলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর মিয়া বাক্কু দুই লাখ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন ৫ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করেন।

পরে বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা বন্ধনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ বেতারের সংগীত শিল্পীদের অংশগ্রহণে দেশের গান পরিবেশিত হয়। এ সময় স্থানীয় দুই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, গণমাধ্যম কর্মী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত