রজত কান্তি রায়, ঢাকা
আজ লাল-সবুজের দিন। আজ বিজয়ের দিন। আজ অহংকার ও গর্বের দিন। আমাদের হৃদয়ের রং লাল ও সবুজ। আমাদের যাপনে এ রং দুটি গভীর ব্যঞ্জনাময়, কাব্যিক ও প্রতীকী।
রং মানুষের যাপনকে প্রভাবিত করে বেশ গভীরভাবে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশের এক বা একাধিক জাতীয় রং আছে। যেমন ভারতের জাতীয় রং জাফরানি কমলা, নীল, সাদা ও সবুজ, বাহরাইনের জাতীয় রং সাদা ও লাল, চীনের জাতীয় রং লাল ও হলুদ, ইরানের জাতীয় রং সবুজ, সাদা ও লাল ইত্যাদি। এই রংগুলো একেকটি দেশের পরিচয় তুলে ধরে বিভিন্নভাবে।
খেয়াল করলেই বোঝা যায়, একটি দেশের জাতীয় রং সাধারণত নেওয়া হয় সে দেশের জাতীয় পতাকার রং থেকে। এ রংগুলো বিভিন্নভাবে প্রতিটি দেশের মানুষের জীবনযাপনকে সমৃদ্ধ করে, প্রতীকায়িত করে।
সবুজ প্রকৃতির মধ্যে উদীয়মান সূর্যের লাল আভাময় যে পতাকা আমরা পেয়েছি মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে, সে পতাকার রং গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের জীবনযাপনে ছড়িয়ে গেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে আমাদের ফ্যাশনে। পৃথিবীতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড কালার হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে লাল ও সবুজ। অবশ্য এ দুই রঙের মধ্যে আর একটি রং আছে আমাদের—সেটি সোনালি। তবে লাল ও সবুজ যতটা প্রাধান্য পেয়েছে আমাদের ফ্যাশনে, সোনালি ততটা পায়নি।
গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বিশ্বদরবারে। একই সঙ্গে পরিচিতি পেয়েছে আমাদের নিজস্ব রং। কে ক্র্যাফট, ওজি, নিপুণ, অঞ্জন’স, রঙ (অবিভক্ত), বুনন ইত্যাদি দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো লাল-সবুজকে কেন্দ্র করে শুরু করে পোশাকে রঙের খেলা। এ ধারা শুরু হয় গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগ থেকে। এরপর বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের ডিজাইনারেরা নানাভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকেন পোশাকে এ দুটি রঙের ব্যবহার নিয়ে।
এখন প্রতিবছর দেশের ফ্যাশন হাউসগুলো বিজয় দিবস উপলক্ষে লাল ও সবুজ রঙের পোশাক তৈরি করে। তরুণ প্রজন্ম ইতিমধ্যে দেশীয় ফ্যাশনের রং হিসেবে লুফে নিয়েছে লাল ও সবুজ রং দুটিকে। তাদের জন্য এ রং দুটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে শাড়ি, ব্লাউজ, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, শ্রাগ, কটি, স্কার্ফ, চাদর, টি-শার্ট, পোলো শার্ট, পাঞ্জাবি, পালাজ্জো, স্কার্টসহ প্রায় সব ধরনের পোশাক। শুধু যে তরুণেরা এগুলো পরছেন তা-ই নয়; বয়োজ্যেষ্ঠরাও বিজয়কে স্মরণ করতে এখন বেছে নিচ্ছেন লাল-সবুজের পোশাক। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন উপলক্ষ উদ্যাপন করতে পরিবারের সবাই মিলে একই নকশা বা রঙের পোশাক পড়ার একটি ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। সেখানেও এখন লাল-সবুজের উজ্জ্বল উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া ম্যাচিং পোশাকের ক্ষেত্রেও বেছে নেওয়া হচ্ছে এ দুটি রঙের পোশাক। করোনা বাস্তবতায় মাস্ক নিত্যব্যবহার্য জিনিস হয়ে গেছে। ফলে এটি এখন ফ্যাশনের অংশ। বিশেষভাবে মাস্কে লাল-সবুজের উপস্থিতি চোখে পড়ছে এ সময়।
পোশাক ছাড়িয়ে লাল-সবুজ ছড়িয়ে গেছে ফ্যাশনের বিভিন্ন অনুষঙ্গেও। গয়নায় এ দুটি রঙের উপস্থিতি দেখা যায়। বিশেষ করে কাপড়, কাঠ, মাটি কিংবা বিভিন্ন ধাতুতে রং করে তৈরি করা ট্রেন্ডি গয়নায় লাল-সবুজের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ব্যাগ কিংবা ফোন কভারেও লাল ও সবুজ রঙের বিচিত্র ব্যবহার দেখা যায়। সিরামিকসের মগেও এ দুটি রঙের নকশা দেখা যাচ্ছে। নোটবুকের কভার হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে লাল-সবুজ।
পঞ্চাশ বছরের নাতিদীর্ঘ যাত্রায় লাল ও সবুজ রঙের বর্ণিল ব্যবহার ছড়িয়ে গেছে আমাদের যাপনে। রং দুটি এখন আর শুধু ফ্যাশন কিংবা উদ্যাপনের রং নয়। লাল ও সবুজ আমাদের জাতীয় সত্তার পরিচয়।
আজ লাল-সবুজের দিন। আজ বিজয়ের দিন। আজ অহংকার ও গর্বের দিন। আমাদের হৃদয়ের রং লাল ও সবুজ। আমাদের যাপনে এ রং দুটি গভীর ব্যঞ্জনাময়, কাব্যিক ও প্রতীকী।
রং মানুষের যাপনকে প্রভাবিত করে বেশ গভীরভাবে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশের এক বা একাধিক জাতীয় রং আছে। যেমন ভারতের জাতীয় রং জাফরানি কমলা, নীল, সাদা ও সবুজ, বাহরাইনের জাতীয় রং সাদা ও লাল, চীনের জাতীয় রং লাল ও হলুদ, ইরানের জাতীয় রং সবুজ, সাদা ও লাল ইত্যাদি। এই রংগুলো একেকটি দেশের পরিচয় তুলে ধরে বিভিন্নভাবে।
খেয়াল করলেই বোঝা যায়, একটি দেশের জাতীয় রং সাধারণত নেওয়া হয় সে দেশের জাতীয় পতাকার রং থেকে। এ রংগুলো বিভিন্নভাবে প্রতিটি দেশের মানুষের জীবনযাপনকে সমৃদ্ধ করে, প্রতীকায়িত করে।
সবুজ প্রকৃতির মধ্যে উদীয়মান সূর্যের লাল আভাময় যে পতাকা আমরা পেয়েছি মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে, সে পতাকার রং গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের জীবনযাপনে ছড়িয়ে গেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে আমাদের ফ্যাশনে। পৃথিবীতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড কালার হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে লাল ও সবুজ। অবশ্য এ দুই রঙের মধ্যে আর একটি রং আছে আমাদের—সেটি সোনালি। তবে লাল ও সবুজ যতটা প্রাধান্য পেয়েছে আমাদের ফ্যাশনে, সোনালি ততটা পায়নি।
গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বিশ্বদরবারে। একই সঙ্গে পরিচিতি পেয়েছে আমাদের নিজস্ব রং। কে ক্র্যাফট, ওজি, নিপুণ, অঞ্জন’স, রঙ (অবিভক্ত), বুনন ইত্যাদি দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো লাল-সবুজকে কেন্দ্র করে শুরু করে পোশাকে রঙের খেলা। এ ধারা শুরু হয় গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগ থেকে। এরপর বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের ডিজাইনারেরা নানাভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকেন পোশাকে এ দুটি রঙের ব্যবহার নিয়ে।
এখন প্রতিবছর দেশের ফ্যাশন হাউসগুলো বিজয় দিবস উপলক্ষে লাল ও সবুজ রঙের পোশাক তৈরি করে। তরুণ প্রজন্ম ইতিমধ্যে দেশীয় ফ্যাশনের রং হিসেবে লুফে নিয়েছে লাল ও সবুজ রং দুটিকে। তাদের জন্য এ রং দুটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে শাড়ি, ব্লাউজ, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, শ্রাগ, কটি, স্কার্ফ, চাদর, টি-শার্ট, পোলো শার্ট, পাঞ্জাবি, পালাজ্জো, স্কার্টসহ প্রায় সব ধরনের পোশাক। শুধু যে তরুণেরা এগুলো পরছেন তা-ই নয়; বয়োজ্যেষ্ঠরাও বিজয়কে স্মরণ করতে এখন বেছে নিচ্ছেন লাল-সবুজের পোশাক। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন উপলক্ষ উদ্যাপন করতে পরিবারের সবাই মিলে একই নকশা বা রঙের পোশাক পড়ার একটি ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। সেখানেও এখন লাল-সবুজের উজ্জ্বল উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া ম্যাচিং পোশাকের ক্ষেত্রেও বেছে নেওয়া হচ্ছে এ দুটি রঙের পোশাক। করোনা বাস্তবতায় মাস্ক নিত্যব্যবহার্য জিনিস হয়ে গেছে। ফলে এটি এখন ফ্যাশনের অংশ। বিশেষভাবে মাস্কে লাল-সবুজের উপস্থিতি চোখে পড়ছে এ সময়।
পোশাক ছাড়িয়ে লাল-সবুজ ছড়িয়ে গেছে ফ্যাশনের বিভিন্ন অনুষঙ্গেও। গয়নায় এ দুটি রঙের উপস্থিতি দেখা যায়। বিশেষ করে কাপড়, কাঠ, মাটি কিংবা বিভিন্ন ধাতুতে রং করে তৈরি করা ট্রেন্ডি গয়নায় লাল-সবুজের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ব্যাগ কিংবা ফোন কভারেও লাল ও সবুজ রঙের বিচিত্র ব্যবহার দেখা যায়। সিরামিকসের মগেও এ দুটি রঙের নকশা দেখা যাচ্ছে। নোটবুকের কভার হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে লাল-সবুজ।
পঞ্চাশ বছরের নাতিদীর্ঘ যাত্রায় লাল ও সবুজ রঙের বর্ণিল ব্যবহার ছড়িয়ে গেছে আমাদের যাপনে। রং দুটি এখন আর শুধু ফ্যাশন কিংবা উদ্যাপনের রং নয়। লাল ও সবুজ আমাদের জাতীয় সত্তার পরিচয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে