আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
মাদার ভেসেল থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য লাইটার জাহাজের সিরিয়াল নিয়ে এক মাস ধরে বিরোধ চলছে তিন সংগঠনের মধ্যে। এ বিরোধ একপর্যায়ে মারামারিতে গড়ায়। এতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে। বিরোধ নিরসনে সরকারি সংস্থা নৌ বাণিজ্য দপ্তর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করলেও এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।
লাইটার জাহাজগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজ থেকে আমদানি পণ্য খালাস ও দেশের বিভিন্ন নৌ-রুটে পরিবহন করে থাকে। এ কাজে বহির্নোঙরে সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণ করত লাইটার জাহাজ মালিকদের তিনটি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি)। ২০০৩ সাল থেকেই এই সেলের মাধ্যমে সিরিয়াল নিয়ে আসছে লাইটার জাহাজগুলো। কিন্তু গত ১৯ ডিসেম্বর ডব্লিউটিসি থেকে বের হয়ে যায় লাইটার মালিকদের তিন সংগঠনের একটি ইনল্যান্ড ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব চিটাগাং (আইভোয়াক)। পরদিন থেকে তারা আলাদা সিরিয়াল দিতে থাকে। আর এ নিয়েই অন্য দুই সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিভোয়াক) ও কোস্টাল শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (কোয়াব) সঙ্গে বিরোধ শুরু হয় আইভোয়াকের।
চলমান বিরোধ মেটাতে গত ৩১ ডিসেম্বর নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নৌ-বাণিজ্য দপ্তর, চট্টগ্রামের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদকে আহ্বায়ক করে দুটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি বিরোধে লিপ্ত তিন সংগঠনের মনোনীত তিনজন আইনজীবী নিয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটিও গঠন করে দেয়। বিরোধ নিরসনে এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম এক জরুরি নৌ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এ ছাড়া তিনটি সংগঠন থেকে একজন করে প্রতিনিধির সমন্বয়ে নৌযান সিরিয়াল প্রদানে ‘ওয়ার্কিং কমিটি’ গঠন করা হয়। বিরোধ মেটাতে ব্যবসায়ীদের সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিও চেষ্টা চালায়। কিন্তু এসব উদ্যোগের কোনোটিই সফল হয়নি। আইভোয়াক ঠিকই আলাদা সিরিয়াল দিয়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক ও নৌ দপ্তর, চট্টগ্রামের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করেছি। কিন্তু এখনো তিনটি সংগঠনকে একসঙ্গে আনা সম্ভব হয়নি। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত এড়ানোর সুযোগ নেই। আমার আশা, তিনটি সংগঠনকে একসঙ্গে করতে পারব। আশা করছি আইভোয়াকও আসবে।’
ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ আশাবাদী হলেও আইভোয়াক নিজেদের অবস্থানে এখনো অনড়। গত শনিবারও বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজের আলাদা সিরিয়াল দিয়েছে তারা। ১৭ জানুয়ারি সব পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার একটি মতবিনিময় সভার আহ্বান করলেও তা বর্জন করেছে আইভোয়াক।
বিরোধ নিরসনে সমন্বিত সিরিয়াল কার্যক্রম চালু করে নৌ-বাণিজ্য দপ্তরের মার্কেন্টাইল মেরিন অফিস (এমএমও)। সংস্থাটির নেতৃত্বে গঠিত ‘নৌযান সিরিয়াল প্রদানের ওয়ার্কিং কমিটি’ ২২ জানুয়ারি জাহাজের সিরিয়াল কার্যক্রম শুরু করলেও তাতে সাড়া দেয়নি আইভোয়াক।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আইভোয়াকের মুখপাত্র পারভেজ আহমেদ গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো আলাদা সিরিয়াল দিচ্ছি। গত এক মাসে ৯৪৭টি লাইটার জাহাজের সিরিয়াল দিয়েছি। সোমবার (আজ) আইভোয়াকের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।’ এ সময় ডব্লিউটিসির কয়েকজন মিলে লুটপাট করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে ডব্লিউটিসির আহ্বায়ক ও ভিসিভোয়াকের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক বলেন, ‘নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং নৌ-বাণিজ্য দপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমন্বিত সিরিয়াল কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমরা গিয়েছি। কিন্তু আইভোয়াক সরকারি সিদ্ধান্ত মানেনি। তারা এখনো আলাদা সিরিয়াল দিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ডব্লিউটিসির নিয়ন্ত্রণে ছিল মোট ১ হাজার ৩০০টি জাহাজ। এর মধ্যে আইভোয়াক সদস্যের জাহাজ আছে প্রায় ৩০০টি। বিভিন্ন শিল্পকারখানার মালিকদের রয়েছে আরও ৪০০টি লাইটার জাহাজ। বন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০টি লাইটার জাহাজ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
মাদার ভেসেল থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য লাইটার জাহাজের সিরিয়াল নিয়ে এক মাস ধরে বিরোধ চলছে তিন সংগঠনের মধ্যে। এ বিরোধ একপর্যায়ে মারামারিতে গড়ায়। এতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে। বিরোধ নিরসনে সরকারি সংস্থা নৌ বাণিজ্য দপ্তর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করলেও এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।
লাইটার জাহাজগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজ থেকে আমদানি পণ্য খালাস ও দেশের বিভিন্ন নৌ-রুটে পরিবহন করে থাকে। এ কাজে বহির্নোঙরে সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণ করত লাইটার জাহাজ মালিকদের তিনটি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি)। ২০০৩ সাল থেকেই এই সেলের মাধ্যমে সিরিয়াল নিয়ে আসছে লাইটার জাহাজগুলো। কিন্তু গত ১৯ ডিসেম্বর ডব্লিউটিসি থেকে বের হয়ে যায় লাইটার মালিকদের তিন সংগঠনের একটি ইনল্যান্ড ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব চিটাগাং (আইভোয়াক)। পরদিন থেকে তারা আলাদা সিরিয়াল দিতে থাকে। আর এ নিয়েই অন্য দুই সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিভোয়াক) ও কোস্টাল শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (কোয়াব) সঙ্গে বিরোধ শুরু হয় আইভোয়াকের।
চলমান বিরোধ মেটাতে গত ৩১ ডিসেম্বর নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নৌ-বাণিজ্য দপ্তর, চট্টগ্রামের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদকে আহ্বায়ক করে দুটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি বিরোধে লিপ্ত তিন সংগঠনের মনোনীত তিনজন আইনজীবী নিয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটিও গঠন করে দেয়। বিরোধ নিরসনে এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম এক জরুরি নৌ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এ ছাড়া তিনটি সংগঠন থেকে একজন করে প্রতিনিধির সমন্বয়ে নৌযান সিরিয়াল প্রদানে ‘ওয়ার্কিং কমিটি’ গঠন করা হয়। বিরোধ মেটাতে ব্যবসায়ীদের সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিও চেষ্টা চালায়। কিন্তু এসব উদ্যোগের কোনোটিই সফল হয়নি। আইভোয়াক ঠিকই আলাদা সিরিয়াল দিয়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক ও নৌ দপ্তর, চট্টগ্রামের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করেছি। কিন্তু এখনো তিনটি সংগঠনকে একসঙ্গে আনা সম্ভব হয়নি। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত এড়ানোর সুযোগ নেই। আমার আশা, তিনটি সংগঠনকে একসঙ্গে করতে পারব। আশা করছি আইভোয়াকও আসবে।’
ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ আশাবাদী হলেও আইভোয়াক নিজেদের অবস্থানে এখনো অনড়। গত শনিবারও বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজের আলাদা সিরিয়াল দিয়েছে তারা। ১৭ জানুয়ারি সব পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার একটি মতবিনিময় সভার আহ্বান করলেও তা বর্জন করেছে আইভোয়াক।
বিরোধ নিরসনে সমন্বিত সিরিয়াল কার্যক্রম চালু করে নৌ-বাণিজ্য দপ্তরের মার্কেন্টাইল মেরিন অফিস (এমএমও)। সংস্থাটির নেতৃত্বে গঠিত ‘নৌযান সিরিয়াল প্রদানের ওয়ার্কিং কমিটি’ ২২ জানুয়ারি জাহাজের সিরিয়াল কার্যক্রম শুরু করলেও তাতে সাড়া দেয়নি আইভোয়াক।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আইভোয়াকের মুখপাত্র পারভেজ আহমেদ গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো আলাদা সিরিয়াল দিচ্ছি। গত এক মাসে ৯৪৭টি লাইটার জাহাজের সিরিয়াল দিয়েছি। সোমবার (আজ) আইভোয়াকের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।’ এ সময় ডব্লিউটিসির কয়েকজন মিলে লুটপাট করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে ডব্লিউটিসির আহ্বায়ক ও ভিসিভোয়াকের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক বলেন, ‘নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং নৌ-বাণিজ্য দপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমন্বিত সিরিয়াল কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমরা গিয়েছি। কিন্তু আইভোয়াক সরকারি সিদ্ধান্ত মানেনি। তারা এখনো আলাদা সিরিয়াল দিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ডব্লিউটিসির নিয়ন্ত্রণে ছিল মোট ১ হাজার ৩০০টি জাহাজ। এর মধ্যে আইভোয়াক সদস্যের জাহাজ আছে প্রায় ৩০০টি। বিভিন্ন শিল্পকারখানার মালিকদের রয়েছে আরও ৪০০টি লাইটার জাহাজ। বন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০টি লাইটার জাহাজ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে