সম্পাদকীয়
ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াতের সেরা পরিবহন ছিল নৌপরিবহন। ওই অঞ্চলে যাওয়ার জন্য নৌপথই ছিল সেরা ভরসা। সেই পথ এখন বিপদের মুখে। যেকোনো উন্নয়নের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় কিছুসংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যখন কোনো নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়, তখন নদীর ঘাট-সংলগ্ন এলাকার বিপুল কর্মতৎপরতার অবসান ঘটে। একটি নদীর ঘাটে এসে যখন যানবাহনের সারি পড়ে যেত, তখন যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকদের জন্য ঘাটের আশপাশে গড়ে উঠত নানা ধরনের দোকান। খাবারের দোকানের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকানপাটও থাকত। ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও সক্রিয় হয়ে উঠতেন। ‘ডিম ডিম, গরম ডিম’, ‘অ্যাই চানাচুর’ চিৎকার তো এখনো পুরোনো আমলের যাত্রীদের কানে লেগে রয়েছে। সেতু হয়ে গেলে এই মানুষদের জীবনযাত্রায় আসে পরিবর্তন। তখন তারা কোথায় যায়, কী করে, সে খবর কজন রাখে?
আমাদের পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করে দিয়েছে। এরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণাঞ্চলগামী নৌপরিবহনগুলোয় যাত্রী কমে গেছে। স্বভাবতই যাত্রীরা গন্তব্যে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য বেছে নিয়েছেন সড়কপথ। পদ্মা সেতু দিয়ে সহজে গন্তব্যে পৌঁছানো যায় বলে ঢাকার সদরঘাটের সন্ধ্যাগুলো এখন আর আগের মতো ব্যস্ত নয়।
উন্নয়নের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। ব্রিটিশ আমলে কিংবা পাকিস্তান আমলে, এমনকি বাংলাদেশের স্বাধীনতার শুরুর বছরগুলোতে দেশের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাওয়ার সময় কত ঝক্কিই না পোহাতে হতো। ট্রেন বা স্টিমারযাত্রা ছিল সহজ, কিন্তু সবখানে তো এই দুই পরিবহনে করে যাওয়া যেত না। সড়কপথে একের পর এক ফেরি পারাপারের কারণে বাস-ট্রাকের দীর্ঘ সারি পড়ে যেত ঘাটে। সেই সব দিন এখন আর নেই। নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করার পাশাপাশি আধুনিক যানবাহন এসে যাত্রাপথটিকে সহজ আর আরামদায়ক করে তুলেছে।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে দেখা যাচ্ছে, লোকসানের কারণে ঢাকা-বরগুনা লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা-দক্ষিণাঞ্চল নৌপথে যাত্রী কমছে উল্লেখযোগ্য হারে। ফলে, দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলের জন্য যে লঞ্চ সার্ভিস গড়ে উঠেছিল, তা বিপদে পড়েছে। একসময় স্টিম ইঞ্জিনে চালিত পিএস অস্ট্রিচ, পিএস মাসুদ, পিএস লেপচার—কী কদর ছিল, সেটা নতুন করে বলতে হবে না। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এ তিনটি স্টিমারের সঙ্গে পরে পাকিস্তান আমলে যুক্ত হয়েছিল পিএস টার্ন ও এমভি শিলা। লঞ্চ সার্ভিস তো ছিলই, সেই লঞ্চ সার্ভিস আধুনিকায়ন হওয়ায় নৌপথগুলো যাত্রাপথে যাত্রীদের আরাম দিয়েছে দীর্ঘকাল। পদ্মা সেতু দিয়ে সড়কপথে দক্ষিণাঞ্চলে পৌঁছানো সহজ হয়ে গেছে বলে লঞ্চ সার্ভিসে এখন ভাটার টান। কিন্তু নৌপথ একেবারে অকার্যকর হয়ে যাবে–এমন আশঙ্কা করার সময় বোধ হয় এখনো আসেনি। সময়ের সঙ্গে গতি ও চাহিদার পরিবর্তনের দিকে খেয়াল রেখেই নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। সেটা করা গেলে লঞ্চযাত্রার মতো রোমাঞ্চকর যাত্রার স্বাদ পেতে চাইবেন—এ রকম যাত্রী কিন্তু থাকবেই।
ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াতের সেরা পরিবহন ছিল নৌপরিবহন। ওই অঞ্চলে যাওয়ার জন্য নৌপথই ছিল সেরা ভরসা। সেই পথ এখন বিপদের মুখে। যেকোনো উন্নয়নের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় কিছুসংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যখন কোনো নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়, তখন নদীর ঘাট-সংলগ্ন এলাকার বিপুল কর্মতৎপরতার অবসান ঘটে। একটি নদীর ঘাটে এসে যখন যানবাহনের সারি পড়ে যেত, তখন যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকদের জন্য ঘাটের আশপাশে গড়ে উঠত নানা ধরনের দোকান। খাবারের দোকানের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকানপাটও থাকত। ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও সক্রিয় হয়ে উঠতেন। ‘ডিম ডিম, গরম ডিম’, ‘অ্যাই চানাচুর’ চিৎকার তো এখনো পুরোনো আমলের যাত্রীদের কানে লেগে রয়েছে। সেতু হয়ে গেলে এই মানুষদের জীবনযাত্রায় আসে পরিবর্তন। তখন তারা কোথায় যায়, কী করে, সে খবর কজন রাখে?
আমাদের পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করে দিয়েছে। এরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণাঞ্চলগামী নৌপরিবহনগুলোয় যাত্রী কমে গেছে। স্বভাবতই যাত্রীরা গন্তব্যে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য বেছে নিয়েছেন সড়কপথ। পদ্মা সেতু দিয়ে সহজে গন্তব্যে পৌঁছানো যায় বলে ঢাকার সদরঘাটের সন্ধ্যাগুলো এখন আর আগের মতো ব্যস্ত নয়।
উন্নয়নের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। ব্রিটিশ আমলে কিংবা পাকিস্তান আমলে, এমনকি বাংলাদেশের স্বাধীনতার শুরুর বছরগুলোতে দেশের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাওয়ার সময় কত ঝক্কিই না পোহাতে হতো। ট্রেন বা স্টিমারযাত্রা ছিল সহজ, কিন্তু সবখানে তো এই দুই পরিবহনে করে যাওয়া যেত না। সড়কপথে একের পর এক ফেরি পারাপারের কারণে বাস-ট্রাকের দীর্ঘ সারি পড়ে যেত ঘাটে। সেই সব দিন এখন আর নেই। নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করার পাশাপাশি আধুনিক যানবাহন এসে যাত্রাপথটিকে সহজ আর আরামদায়ক করে তুলেছে।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে দেখা যাচ্ছে, লোকসানের কারণে ঢাকা-বরগুনা লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা-দক্ষিণাঞ্চল নৌপথে যাত্রী কমছে উল্লেখযোগ্য হারে। ফলে, দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলের জন্য যে লঞ্চ সার্ভিস গড়ে উঠেছিল, তা বিপদে পড়েছে। একসময় স্টিম ইঞ্জিনে চালিত পিএস অস্ট্রিচ, পিএস মাসুদ, পিএস লেপচার—কী কদর ছিল, সেটা নতুন করে বলতে হবে না। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এ তিনটি স্টিমারের সঙ্গে পরে পাকিস্তান আমলে যুক্ত হয়েছিল পিএস টার্ন ও এমভি শিলা। লঞ্চ সার্ভিস তো ছিলই, সেই লঞ্চ সার্ভিস আধুনিকায়ন হওয়ায় নৌপথগুলো যাত্রাপথে যাত্রীদের আরাম দিয়েছে দীর্ঘকাল। পদ্মা সেতু দিয়ে সড়কপথে দক্ষিণাঞ্চলে পৌঁছানো সহজ হয়ে গেছে বলে লঞ্চ সার্ভিসে এখন ভাটার টান। কিন্তু নৌপথ একেবারে অকার্যকর হয়ে যাবে–এমন আশঙ্কা করার সময় বোধ হয় এখনো আসেনি। সময়ের সঙ্গে গতি ও চাহিদার পরিবর্তনের দিকে খেয়াল রেখেই নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। সেটা করা গেলে লঞ্চযাত্রার মতো রোমাঞ্চকর যাত্রার স্বাদ পেতে চাইবেন—এ রকম যাত্রী কিন্তু থাকবেই।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে