আল-আমিন রাজু, ঢাকা
রাজধানীর গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় ঢাকা নগর পরিবহনের। শুরুর কয়েক মাস বেশ ঠিকঠাকই চলছিল। টিকিটের মাধ্যমে ভাড়া আদায়, নির্দিষ্ট কাউন্টারে যাত্রী ওঠানামা করানো—এমন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আস্থা পেয়েছিলেন নগরবাসীও। কিন্তু ছয় মাস না পেরোতেই এই বাস কোম্পানির বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটারের রুটে মাত্র ৫০টি বাস নিয়ে যাত্রা শুরু করে নগর পরিবহন। বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও ঢাকা নগর পরিবহন কর্তৃপক্ষের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে এই বাস কোম্পানি।
টিকাটুলীর একটি কলেজের শিক্ষার্থী অমিত রায়। মোহাম্মদপুর থেকে নগর পরিবহনে করেই যাতায়াত করেন তিনি। যদিও আগে অন্য পরিবহনে যাতায়াতের অভিজ্ঞতা রয়েছে অমিতের। নগর পরিবহনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে আজকের পত্রিকাকে অমিত বলেন, ‘শুরুর দিকে সেবার মান খুবই ভালো ছিল। টিকিট ছাড়া যাত্রী ওঠানো হতো না। তবে কয়েক মাস যেতেই টিকিট ছাড়া যাত্রী তুলতে দেখেছি।’
অমিত বলেন, ‘কাউন্টারের বাইরে যেখানে-সেখানে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা হয়। এতে বাস গন্তব্যে পৌঁছাতেও দেরি করে। বাসে তোলার পর চালকেরাই যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছেন। ছোট বাসগুলোর চেয়ে বিআরটিসির ডাবল ডেকারে (নগর পরিবহনের আওতায় পরিচালিত) এ সমস্যা বেশি হচ্ছে।’
অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে বেশ কয়েক দিন যাত্রী হিসেবে নগর পরিবহনে যাতায়াত করেন এই প্রতিবেদক। এতে দেখা যায়, ছোট বাসগুলোতে বাসের চালকের সহকারী থাকলেও বিআরটিসির দোতলা বাসে কোনো সহকারী নেই। যে কারণে যাত্রী ওঠানামা করানোয় কোনো ধরনের চেকের মুখোমুখি হতে হয়নি। এতে অনেকেই টিকিট ছাড়া উঠছেন।
টিকিট ছাড়া যাত্রী তোলায় পিছিয়ে নেই ছোট বাসগুলোও। বাসচালকের সহকারীরা সুযোগ পেলেই বাসের দরজা খুলে কাউন্টার ছাড়াই যাত্রী তুলছেন। নগর পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৬৯৭৫ নম্বরের বাসে টিকিট ছাড়া যাত্রী তুলতে দেখা গেছে।
নগর পরিবহনকর্মীদের অনিয়ম দেখে অনেকেই প্রতিবাদ করেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদে চালক কিংবা সহকারী কারোরই কিছু যায় আসে না। নগর পরিবহনে নিয়মিত যাতায়াত করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শাহিন আলম। তিনি বলেন, ‘নতুন বাস চালু হওয়ায় আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এখন যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠানামা চলে। লোকাল বাসের মতোই হয়ে গেছে।’
নগর পরিবহনের এমন অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সদস্যসচিব নীলিমা আকতার বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নগর পরিবহনে যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের অভাবেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নগর পরিবহন বা ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক পরিবহন সার্ভিস পুরো পৃথিবীতে স্মার্ট ও টেকসই একটি ব্যবস্থা। তদারকির অভাবে সেবা ব্যাহত হলে সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে সড়কে বিশৃঙ্খলা কখনোই কমবে না।
রাজধানীর গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় ঢাকা নগর পরিবহনের। শুরুর কয়েক মাস বেশ ঠিকঠাকই চলছিল। টিকিটের মাধ্যমে ভাড়া আদায়, নির্দিষ্ট কাউন্টারে যাত্রী ওঠানামা করানো—এমন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আস্থা পেয়েছিলেন নগরবাসীও। কিন্তু ছয় মাস না পেরোতেই এই বাস কোম্পানির বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটারের রুটে মাত্র ৫০টি বাস নিয়ে যাত্রা শুরু করে নগর পরিবহন। বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও ঢাকা নগর পরিবহন কর্তৃপক্ষের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে এই বাস কোম্পানি।
টিকাটুলীর একটি কলেজের শিক্ষার্থী অমিত রায়। মোহাম্মদপুর থেকে নগর পরিবহনে করেই যাতায়াত করেন তিনি। যদিও আগে অন্য পরিবহনে যাতায়াতের অভিজ্ঞতা রয়েছে অমিতের। নগর পরিবহনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে আজকের পত্রিকাকে অমিত বলেন, ‘শুরুর দিকে সেবার মান খুবই ভালো ছিল। টিকিট ছাড়া যাত্রী ওঠানো হতো না। তবে কয়েক মাস যেতেই টিকিট ছাড়া যাত্রী তুলতে দেখেছি।’
অমিত বলেন, ‘কাউন্টারের বাইরে যেখানে-সেখানে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা হয়। এতে বাস গন্তব্যে পৌঁছাতেও দেরি করে। বাসে তোলার পর চালকেরাই যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছেন। ছোট বাসগুলোর চেয়ে বিআরটিসির ডাবল ডেকারে (নগর পরিবহনের আওতায় পরিচালিত) এ সমস্যা বেশি হচ্ছে।’
অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে বেশ কয়েক দিন যাত্রী হিসেবে নগর পরিবহনে যাতায়াত করেন এই প্রতিবেদক। এতে দেখা যায়, ছোট বাসগুলোতে বাসের চালকের সহকারী থাকলেও বিআরটিসির দোতলা বাসে কোনো সহকারী নেই। যে কারণে যাত্রী ওঠানামা করানোয় কোনো ধরনের চেকের মুখোমুখি হতে হয়নি। এতে অনেকেই টিকিট ছাড়া উঠছেন।
টিকিট ছাড়া যাত্রী তোলায় পিছিয়ে নেই ছোট বাসগুলোও। বাসচালকের সহকারীরা সুযোগ পেলেই বাসের দরজা খুলে কাউন্টার ছাড়াই যাত্রী তুলছেন। নগর পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৬৯৭৫ নম্বরের বাসে টিকিট ছাড়া যাত্রী তুলতে দেখা গেছে।
নগর পরিবহনকর্মীদের অনিয়ম দেখে অনেকেই প্রতিবাদ করেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদে চালক কিংবা সহকারী কারোরই কিছু যায় আসে না। নগর পরিবহনে নিয়মিত যাতায়াত করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শাহিন আলম। তিনি বলেন, ‘নতুন বাস চালু হওয়ায় আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এখন যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠানামা চলে। লোকাল বাসের মতোই হয়ে গেছে।’
নগর পরিবহনের এমন অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সদস্যসচিব নীলিমা আকতার বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নগর পরিবহনে যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের অভাবেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নগর পরিবহন বা ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক পরিবহন সার্ভিস পুরো পৃথিবীতে স্মার্ট ও টেকসই একটি ব্যবস্থা। তদারকির অভাবে সেবা ব্যাহত হলে সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে সড়কে বিশৃঙ্খলা কখনোই কমবে না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে