খান রফিক, বরিশাল
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ নতুন স্টিমারঘাটে খননের নামে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। তিন মাস ধরে ঢিমেতালে চলছে মাছকাটা নদীতে খনন। সেখানকার বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে ধানি জমি। নদীর তীরের ওই জমি ভরাট করে স্টেডিয়াম করারও প্রস্তাব রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। আবার দুই পাশের রাস্তায় এমনভাবে বালু ফেলা হয়েছে যে মানুষের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরে লঞ্চ ঘাটে ভিড়তে না পেরে যাত্রীদের চরে নামিয়ে দিচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, ড্রেজিংয়ের নামে মেহেন্দীগঞ্জে বালু কেনাবেচার মোকামে পরিণত হয়েছে। এদিকে অপরিকল্পিত খননে জনদুর্ভোগের কারণে গতকাল সোমবার খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের বিভাগীয় শহর বরিশালে পৌঁছানোর জন্য যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম লঞ্চ। সেই লঞ্চ মেহেন্দীগঞ্জের ঘাটে ভিড়া বন্ধ ৩ মাস। এর কারণ সেখানকার মাছকাটা নদীতে চলছে কচ্ছপগতির ড্রেজিং। এই ধীর গতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে মেহেন্দীগঞ্জবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। গত কয়েক মাস ধরে রাস্তার দুই পাশে অপরিকল্পিতভাবে বালু ফেলায় জনদুর্ভোগ সীমাহীন অবস্থায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। ক্ষতি হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমির। কিন্তু এত দুর্ভোগেও থেমে নেই বালু কেনা-বেচা বাণিজ্য।
মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম বলেন, সরকার জনগণের কল্যাণে উন্নয়ন করে। কিন্তু তাতে জনগণের ক্ষতি, দুর্ভোগ হচ্ছে কিনা তাও তো ভাবতে হবে। মেহেন্দীগঞ্জে খননের নামে ধানি জমি ভরে ফেলে সর্বনাশ করা হচ্ছে। ধানের যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। ওই স্থানটি ব্যক্তিমালিকানা এবং খাস জমি। এখন মানুষের চলাচলেও দুর্ভোগের শেষ নেই। কিন্তু এসব কথা বলে বিপদে পড়তে চান ন, জানান কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম।
মেহেন্দীগঞ্জের বাসিন্দা চিত্রশিল্পী সাইফুল্লাহ নবীন বলেন, ফসলি জমিতে বালু ফেলায় ধানের ক্ষতি হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে। লঞ্চ ভেড়ে না অনেক দিন। শোনা যায় যে জমি ভরাট করা হয়েছে সেখানে স্টেডিয়াম হওয়ার কথা। মানুষের কষ্ট লাঘবে খননকাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
জানতে চাইলে মেহেন্দীগঞ্জ স্টিমারঘাট সংলগ্ন পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ঘাট ইজারাদার মনির জমাদ্দার বলেন, ইঞ্জিন নষ্ট ছিল, তাই ড্রেজিং কাজ বন্ধ ছিল। হয়তো দ্রুত শেষ হবে। বালু ঘাট থেকে চরে ফেলা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, যে ধানি জমিতে বালু ফেলা হয়েছে তা খাস জমি। ওই বালু যে যেভাবে চায় তা দেওয়া হচ্ছে, তবে অর্থের বিনিময় নয়। যেখানে বালু ফেলেছে সেখানটায় স্টেডিয়াম করার প্রস্তাবনা আছে। কিন্তু সরকার স্টেডিয়ামের জন্য নদীর পাড়ে এত খরচ দেয় কিনা তা চিন্তার বিষয়।
ড্রেজিং বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, গত অক্টোবরে খনন শুরু করেছেন তাঁরা। স্থানীয় কাউন্সিলর ও ঘাট ইজারাদার মনিরের তত্ত্বাবধানে বালু রাস্তার ওপরে জমিতে ফেলা হয়েছে। ফসলি জমি যাদের তাদের সঙ্গে কথা বলে মনির ভাই বালু ফেলার ব্যবস্থা করছেন। কেন না বালু ফেলার জায়গা নেই। কবে নাগাদ এ কাজ শেষ হবে তা তিনি জানাতে পারেননি।
সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম আরও বলেন, জনগণের কষ্ট হচ্ছে, তাঁরাও দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। তবে কী পরিমাণ বালু ড্রেজিং হয়েছে, কতটা কাটার লক্ষ্য সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘তাঁর মনে নেই।’
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান জানান, মেহেন্দীগঞ্জে ড্রেজিং এর কী অবস্থা তা তাঁর জানা নেই। কেন এখনো শেষ হয়নি জেনে জানানো হবে। ড্রেজিং বিভাগ বিষয়টি দেখছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যপারে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুন্নবী বলেন, তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ড্রেজিং বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকেও ডাকা হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে এ রকম এলোপাতাড়িভাবে বালু কাটা যাবে না। কেননা দীর্ঘদিন লঞ্চ ভিড়ছে না। মানুষেরও চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। ড্রেজিং জনস্বার্থে করা হলেও যখনই দেখা গেল অপরিকল্পিতভাবে হচ্ছে তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইউএনও নুরুন্নবী আরও বলেন, বালু নিয়ে বাণিজ্যের সুযোগ নেই। এমনটা হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ নতুন স্টিমারঘাটে খননের নামে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। তিন মাস ধরে ঢিমেতালে চলছে মাছকাটা নদীতে খনন। সেখানকার বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে ধানি জমি। নদীর তীরের ওই জমি ভরাট করে স্টেডিয়াম করারও প্রস্তাব রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। আবার দুই পাশের রাস্তায় এমনভাবে বালু ফেলা হয়েছে যে মানুষের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরে লঞ্চ ঘাটে ভিড়তে না পেরে যাত্রীদের চরে নামিয়ে দিচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, ড্রেজিংয়ের নামে মেহেন্দীগঞ্জে বালু কেনাবেচার মোকামে পরিণত হয়েছে। এদিকে অপরিকল্পিত খননে জনদুর্ভোগের কারণে গতকাল সোমবার খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের বিভাগীয় শহর বরিশালে পৌঁছানোর জন্য যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম লঞ্চ। সেই লঞ্চ মেহেন্দীগঞ্জের ঘাটে ভিড়া বন্ধ ৩ মাস। এর কারণ সেখানকার মাছকাটা নদীতে চলছে কচ্ছপগতির ড্রেজিং। এই ধীর গতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে মেহেন্দীগঞ্জবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। গত কয়েক মাস ধরে রাস্তার দুই পাশে অপরিকল্পিতভাবে বালু ফেলায় জনদুর্ভোগ সীমাহীন অবস্থায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। ক্ষতি হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমির। কিন্তু এত দুর্ভোগেও থেমে নেই বালু কেনা-বেচা বাণিজ্য।
মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম বলেন, সরকার জনগণের কল্যাণে উন্নয়ন করে। কিন্তু তাতে জনগণের ক্ষতি, দুর্ভোগ হচ্ছে কিনা তাও তো ভাবতে হবে। মেহেন্দীগঞ্জে খননের নামে ধানি জমি ভরে ফেলে সর্বনাশ করা হচ্ছে। ধানের যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। ওই স্থানটি ব্যক্তিমালিকানা এবং খাস জমি। এখন মানুষের চলাচলেও দুর্ভোগের শেষ নেই। কিন্তু এসব কথা বলে বিপদে পড়তে চান ন, জানান কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম।
মেহেন্দীগঞ্জের বাসিন্দা চিত্রশিল্পী সাইফুল্লাহ নবীন বলেন, ফসলি জমিতে বালু ফেলায় ধানের ক্ষতি হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে। লঞ্চ ভেড়ে না অনেক দিন। শোনা যায় যে জমি ভরাট করা হয়েছে সেখানে স্টেডিয়াম হওয়ার কথা। মানুষের কষ্ট লাঘবে খননকাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
জানতে চাইলে মেহেন্দীগঞ্জ স্টিমারঘাট সংলগ্ন পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ঘাট ইজারাদার মনির জমাদ্দার বলেন, ইঞ্জিন নষ্ট ছিল, তাই ড্রেজিং কাজ বন্ধ ছিল। হয়তো দ্রুত শেষ হবে। বালু ঘাট থেকে চরে ফেলা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, যে ধানি জমিতে বালু ফেলা হয়েছে তা খাস জমি। ওই বালু যে যেভাবে চায় তা দেওয়া হচ্ছে, তবে অর্থের বিনিময় নয়। যেখানে বালু ফেলেছে সেখানটায় স্টেডিয়াম করার প্রস্তাবনা আছে। কিন্তু সরকার স্টেডিয়ামের জন্য নদীর পাড়ে এত খরচ দেয় কিনা তা চিন্তার বিষয়।
ড্রেজিং বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, গত অক্টোবরে খনন শুরু করেছেন তাঁরা। স্থানীয় কাউন্সিলর ও ঘাট ইজারাদার মনিরের তত্ত্বাবধানে বালু রাস্তার ওপরে জমিতে ফেলা হয়েছে। ফসলি জমি যাদের তাদের সঙ্গে কথা বলে মনির ভাই বালু ফেলার ব্যবস্থা করছেন। কেন না বালু ফেলার জায়গা নেই। কবে নাগাদ এ কাজ শেষ হবে তা তিনি জানাতে পারেননি।
সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম আরও বলেন, জনগণের কষ্ট হচ্ছে, তাঁরাও দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। তবে কী পরিমাণ বালু ড্রেজিং হয়েছে, কতটা কাটার লক্ষ্য সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘তাঁর মনে নেই।’
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান জানান, মেহেন্দীগঞ্জে ড্রেজিং এর কী অবস্থা তা তাঁর জানা নেই। কেন এখনো শেষ হয়নি জেনে জানানো হবে। ড্রেজিং বিভাগ বিষয়টি দেখছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যপারে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুন্নবী বলেন, তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ড্রেজিং বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকেও ডাকা হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে এ রকম এলোপাতাড়িভাবে বালু কাটা যাবে না। কেননা দীর্ঘদিন লঞ্চ ভিড়ছে না। মানুষেরও চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। ড্রেজিং জনস্বার্থে করা হলেও যখনই দেখা গেল অপরিকল্পিতভাবে হচ্ছে তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইউএনও নুরুন্নবী আরও বলেন, বালু নিয়ে বাণিজ্যের সুযোগ নেই। এমনটা হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে