গোপালপুরে উপহারের ঘর পেয়ে আবেগাপ্লুত বিলাসী

গোপালপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২২, ১১: ১২
Thumbnail image

মুজিববর্ষ উপলক্ষে গোপালপুরে পুলিশের দেওয়া ঘর পেলেন উপজেলার শাহাপুর গ্রামের মৃত রহিমের স্ত্রী ভিক্ষুক বিলাসী বেগম (৮৪)। গত রোববার বিকেলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে এ ঘর হস্তান্তর করা হয়। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নিজস্ব মালিকানায় ঘর পেয়ে খুশি বিলাসী।

এর আগে ভার্চ্যুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের সব থানা ও পুলিশ লাইনসের মতো গোপালপুর থানা-পুলিশের সদস্যরাও অনলাইনে যুক্ত হন। এ সময় গোপালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহেল রানা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, বিলাসী বেগমের স্বামী ছিলেন একজন ভূমিহীন দিনমজুর। অভাব অনটনের সংসারে দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নেওয়ার কিছুদিন পর স্বামী রহিম মারা যান। এর কয়েক বছর পর একমাত্র ছেলেরও মৃত্যু হয়। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বিলাসী বেগম ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহী শুরু করেন।

দিনে ভিক্ষা করে রাতে মেয়েকে নিয়ে থাকেন শাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায়। এক সময় মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় স্বামী তাঁকে তালাক দেন। তারপর থেকে মেয়েকে নিয়ে আবার সেই স্কুলের বারান্দায় রাত্রিযাপন শুরু করেন ভিক্ষুক বিলাসী বেগম। এভাবে কেটে যায় দীর্ঘ ১৩ বছর। অবশেষে পুলিশের সহযোগিতায় তাঁদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। ঘর পেলেন মা-মেয়ে।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিটি থানায় একটি করে গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ কর্মসূচি নেয় বাংলাদেশ পুলিশ। এর অংশ হিসাবে গোপালপুর থানা-পুলিশের সহযোগিতায় শাহাপুর গ্রামে দুই শতাংশ জমি কিনে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয় বিলাসী বেগমকে।

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নিজস্ব মালিকানায় বাড়িসহ পাকা ঘর পেয়ে আবেগে আপ্লুত বিলাসী বেগম জানান, সারা জীবন কষ্টের পর স্বর্গের ঠিকানা পেয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত