সৎ কাজের আদেশের গুরুত্ব

আবদুল আযীয কাসেমি
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭: ২৬
Thumbnail image

সৎ কাজের আদেশ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি নীতি। ইসলামের পরিভাষায় একে আমর বিল মারুফ বলা হয়। এরই বিপরীত আরও একটি মূলনীতি হলো নাহি আনিল মুনকার তথা অসৎ কাজে নিষেধ। উভয় নীতিই একটি আরেকটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অসৎ কাজ থেকে বারণ করার ভেতর দিয়ে কিন্তু সৎ কাজের আদেশও পাওয়া যায়। আবার সৎ কাজের আদেশের মধ্য দিয়ে পাওয়া যায় অসৎ কাজ থেকে বারণ। যদিও সেটা পরোক্ষভাবে হয়।

কোরআন মাজিদ ও হাদিস শরিফে এ বিষয়ে অনেক বাণী পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত। মানুষের কল্যাণের জন্য তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ করো এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করো এবং আল্লাহর প্রতি ইমান রাখো।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১০)

আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো অন্যায় দেখবে, সে যেন তা হাত দিয়ে (শক্তি প্রয়োগ করে) প্রতিহত করে। যদি সে সামর্থ্য না থাকে, তবে যেন মুখ দিয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। যদি এটাও না পারে, তবে যেন মনে মনে একে ঘৃণা করে। এটা হলো ইমানের সর্বনিম্ন স্তর।’ (বুখারি)

আগের উম্মতদের এ দায়িত্ব থাকলেও তারা যথাযথভাবে তা পালন করেনি। কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে পালন করলেও ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেনি। ফলে কোরআন মাজিদে তাদের নিন্দা করে বলা হয়েছে, ‘তারা মন্দ কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে একে অন্যকে বারণ করত না। তাদের এ কাজ কতই না মন্দ!’ (সুরা মায়েদা: ৭৯) আগের উম্মতদের মধ্যে যারা আল্লাহর আজাবে ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের ঘটনাগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখলে এই নীতির প্রয়োগ না করার বিষয়টিই ফুটে ওঠে।

লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আয়রন রঙের শার্ট, কালো প্যান্ট পরবে পুলিশ

শপথ নিয়েই বাইডেনের নীতি বাতিল ও ১০০ নির্বাহী আদেশের ঘোষণা ট্রাম্পের

বিচার বিভাগের সমস্যা তুলে ধরলেন বিচারক, আনিসুল হক বললেন ‘সমস্যা কেটে যাবে’

শাহজালাল বিমানবন্দরে চাকরি নেননি মনোজ কুমার, বিজ্ঞাপনচিত্র নিয়ে বিভ্রান্তি

সিলেটে রিসোর্টে ৮ তরুণ-তরুণীকে জোর করে বিয়ে, কিছু না করেই ফিরে এল পুলিশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত