মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়েও দৌরাত্ম্য কমেনি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের। আগেই মতোই গ্রামীণ সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ এসব যানবাহন। অথচ এসব যানবাহনের নেই সড়কের চলার লাইসেন্স। মজবুত ব্রেক না থাকলেও যানবাহন গুলো চলে বেপরোয়া গতিতে। বিকট শব্দ করে চলা এই যানবাহনে বাজানো হয় হাইড্রোলিক হর্ন।
যানবাহনে বালু, মাটি, ধুলাসহ যাবতীয় মালামাল বহনের সময় থাকে না ঢাকনা। সড়কের ওপরে পড়ছে মালামালগুলো। এতে অন্যান্য যানবাহন ও মানুষের চলাচলে বাড়ছে ভোগান্তি। শব্দ ও বায়ুদূষণে অতিষ্ঠ গ্রামাঞ্চলের মানুষ।
এ নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায় ‘কুমারখালীতে নিষিদ্ধ যানবাহনে অতিষ্ঠ মানুষ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন যানবাহনের মালিক ও চালকদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। এবং প্রয়োজনের তাগিদে মুচলেকা প্রদানের মাধ্যমে মৌখিকভাবে যানবাহনের চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু মুচলেকার কোনো শর্তই মানছেন না নিষিদ্ধ এসব যানের মালিক ও চালকেরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহনগুলো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জনসাধারণের প্রয়োজনের তাগিদে শর্ত সাপেক্ষে চলছে এসব যান। শর্ত না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, চালক ও মালিকেরা অঙ্গীকার করেন যে, তাঁরা মুচলেকার পর হতে রাস্তার বা জনগণের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করবেন না। ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি ব্যবহার করব না। অনভিজ্ঞ লোকের কাছে গাড়ি চালাতে দেবেন না। অতিরিক্ত মাল বহন করবেন না। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাব না। মাটি/কাদা/বালি বোঝায় করলে তা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখবেন। রাস্তায় বালু/মাটি/কাদা ফেলবেন না। রাস্তায় মাটি/কাদা/বালি পড়লে নিজ দায়িত্বে সেগুলো পরিষ্কার করবেন। এ অঙ্গীকারনামার ব্যত্যয় ঘটলে তাঁদের ওপর অর্পিত যেকোনো আইনগত দণ্ডের বিরুদ্ধে তাঁদের বক্তব্য থাকবে না।
কিন্তু বাস্তবে চালক ও মালিক মুচলেকার কোনো শর্তই পালন করছেন না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এলাকাবাসী জানান, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহনগুলোর দৌরাত্ম্য কমেনি। তারা আগেই মতো হাইড্রোলিক হর্ন বাজিয়ে বেপরোয়া গতিতে সড়ক দাপাচ্ছে। মালামালগুলোর কোনো ঢাকনা থাকছে না। সড়কের ওপর মালামাল পড়ে অন্যান্য যানবাহন ও জনগণের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।
গত সপ্তাহে উপজেলার যদুবয়রা, পান্টি, বাগুলাট, চাপড়া, শিলাইদহ ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মাটি, কাঁদা মাটি, বালু, ধুলা, ইটসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে সড়কে চলছে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নিষিদ্ধ যান। হাইড্রোলিক হর্নের সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে বেপরোয়া গতি। মালামালের ওপরে কোনো ঢাকনা নেই। মালামালগুলো সড়কে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যদুবয়রা ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজারে দেখা মেলে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের চেকপোস্ট। এ সময় কথা হয় যদুবয়রা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) আব্দুল কাদের জিলানীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নিষিদ্ধ গাড়িগুলো জনগণের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই করে ঢাকনা না দিয়ে চলছে।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের কোনো বৈধতা নেই। মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো আছে।
ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘ইতিমধ্যে গাড়ি ও মালিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। শুধু প্রয়োজনের তাগিদে মুচলেকার মাধ্যমে মৌখিক অনুমতিতে চলছে। শর্ত ভাঙলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়েও দৌরাত্ম্য কমেনি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের। আগেই মতোই গ্রামীণ সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ এসব যানবাহন। অথচ এসব যানবাহনের নেই সড়কের চলার লাইসেন্স। মজবুত ব্রেক না থাকলেও যানবাহন গুলো চলে বেপরোয়া গতিতে। বিকট শব্দ করে চলা এই যানবাহনে বাজানো হয় হাইড্রোলিক হর্ন।
যানবাহনে বালু, মাটি, ধুলাসহ যাবতীয় মালামাল বহনের সময় থাকে না ঢাকনা। সড়কের ওপরে পড়ছে মালামালগুলো। এতে অন্যান্য যানবাহন ও মানুষের চলাচলে বাড়ছে ভোগান্তি। শব্দ ও বায়ুদূষণে অতিষ্ঠ গ্রামাঞ্চলের মানুষ।
এ নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায় ‘কুমারখালীতে নিষিদ্ধ যানবাহনে অতিষ্ঠ মানুষ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন যানবাহনের মালিক ও চালকদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। এবং প্রয়োজনের তাগিদে মুচলেকা প্রদানের মাধ্যমে মৌখিকভাবে যানবাহনের চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু মুচলেকার কোনো শর্তই মানছেন না নিষিদ্ধ এসব যানের মালিক ও চালকেরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহনগুলো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জনসাধারণের প্রয়োজনের তাগিদে শর্ত সাপেক্ষে চলছে এসব যান। শর্ত না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, চালক ও মালিকেরা অঙ্গীকার করেন যে, তাঁরা মুচলেকার পর হতে রাস্তার বা জনগণের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করবেন না। ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি ব্যবহার করব না। অনভিজ্ঞ লোকের কাছে গাড়ি চালাতে দেবেন না। অতিরিক্ত মাল বহন করবেন না। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাব না। মাটি/কাদা/বালি বোঝায় করলে তা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখবেন। রাস্তায় বালু/মাটি/কাদা ফেলবেন না। রাস্তায় মাটি/কাদা/বালি পড়লে নিজ দায়িত্বে সেগুলো পরিষ্কার করবেন। এ অঙ্গীকারনামার ব্যত্যয় ঘটলে তাঁদের ওপর অর্পিত যেকোনো আইনগত দণ্ডের বিরুদ্ধে তাঁদের বক্তব্য থাকবে না।
কিন্তু বাস্তবে চালক ও মালিক মুচলেকার কোনো শর্তই পালন করছেন না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এলাকাবাসী জানান, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহনগুলোর দৌরাত্ম্য কমেনি। তারা আগেই মতো হাইড্রোলিক হর্ন বাজিয়ে বেপরোয়া গতিতে সড়ক দাপাচ্ছে। মালামালগুলোর কোনো ঢাকনা থাকছে না। সড়কের ওপর মালামাল পড়ে অন্যান্য যানবাহন ও জনগণের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।
গত সপ্তাহে উপজেলার যদুবয়রা, পান্টি, বাগুলাট, চাপড়া, শিলাইদহ ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মাটি, কাঁদা মাটি, বালু, ধুলা, ইটসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে সড়কে চলছে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নিষিদ্ধ যান। হাইড্রোলিক হর্নের সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে বেপরোয়া গতি। মালামালের ওপরে কোনো ঢাকনা নেই। মালামালগুলো সড়কে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যদুবয়রা ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজারে দেখা মেলে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের চেকপোস্ট। এ সময় কথা হয় যদুবয়রা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) আব্দুল কাদের জিলানীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নিষিদ্ধ গাড়িগুলো জনগণের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই করে ঢাকনা না দিয়ে চলছে।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের কোনো বৈধতা নেই। মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো আছে।
ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘ইতিমধ্যে গাড়ি ও মালিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। শুধু প্রয়োজনের তাগিদে মুচলেকার মাধ্যমে মৌখিক অনুমতিতে চলছে। শর্ত ভাঙলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে