ইকুয়েডরকেও কমলা নাচন দেখাতে চায় ডাচরা

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২২, ১১: ৫৩
আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২২, ১১: ৫৬

বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্ভাগা দল তারা। তিনবার ফাইনাল খেলেও পাওয়া হয়নি শিরোপার স্বাদ। সর্বশেষ এমন দুঃখ নেদারল্যান্ডস পেয়েছে ২০১০ বিশ্বকাপে। গত বিশ্বকাপে তো সুযোগই হয়নি মূল মঞ্চে খেলার। তবে এবার ফিরেই ফেবারিটের তকমা নিয়ে কাতারে এসেছে তারা।

কোচ হিসেবে লুই ফন গাল আছেন বলেই অধরা শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে ডাচরা। তাঁর শিষ্যদের অনেকে ইউরোপ মাতানো তারকা। প্রতিপক্ষরাও জানে নিজেদের দিনে জ্বলে উঠলে ভার্জিল ফন ডাইক-ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংদের থামানোর সাধ্য কারও নেই। তবে এখনো সেভাবে নিজেদের ছন্দে দেখা যায়নি ডাচদের। সেনেগালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে শেষ মুহূর্তে কমলা নাচন না দেখালে হয়তো পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হতো।

আজ দ্বিতীয় ম্যাচে খলিফা স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। ফুটবল বোঝেন এমন যে কেউ বলবেন, জয়ের সম্ভাবনা ডাচদেরই বেশি। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকে থেকে দৈত্যবধ শুরু হয়েছে, তাতে ফন গালের শিষ্যদের সাবধান হয়েই নামতে হচ্ছে।

তবে নেদারল্যান্ডস আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাচ্ছে অতীত থেকে। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে হারের পর থেকে গত আট বিশ্বকাপে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দলের বিশ্বকাপে হারেনি তারা। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরেছিল টাইব্রেকারে।

তবে এবার মেসিদের স্তম্ভিত করে দিয়ে সৌদি আরব যেভাবে জয় তুলে নিয়েছে, তাতে ফন গালের শিষ্যদের সাবধান হতেই হচ্ছে। ইকুয়েডরের গোলরক্ষক এরনান গালিন্দেস অবশ্য ডাচদের কঠিন প্রতিপক্ষই মানছেন। ম্যাচটা যে তাঁদের জন্য কঠিন হবে, সে বার্তাই দিয়েছেন তিনি, ‘ম্যাচটা কঠিন হবে। তবে আমার আশা, নেদারল্যান্ডস আমাদের সম্মানই দেখাবে।’

প্রথম ম্যাচ জিতলেও ডাচ ডিফেন্ডার ফন ডাইক পা মাটিতেই রাখছেন। গালিন্দেসদের সমীহ করলেও প্রচ্ছন্ন একটা হুংকার তাঁর কণ্ঠে, ‘আমাদের পরের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। তারা খুব ভালো দল। তবে আমি আশাবাদী। কারণ, আমরা ভালো দল হতে যাচ্ছি।’ বোঝা যাচ্ছে, ইকুয়েডরকেও আসলে কমলা নাচনই দেখাতে চান ফন ডাইকরা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত