সৌগত বসু ও ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ থেকে
শেষ মুহূর্তের প্রচারে জমে উঠেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ২০১৮ সালে সিটি করপোরেশন ঘোষণার পর এটি নগরীর দ্বিতীয় নির্বাচন। প্রথমবার মেয়র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও জমজমাট ছিল কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট। এবারও তেমনই হবে বলে আশা করছেন সাধারণ ভোটাররা। তবে আওয়ামী লীগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৃষ্ট বিভক্তি এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। এদিকে প্রচারণায় বেশ দাপট দেখাচ্ছেন বিএনপিপন্থী কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র বলেছে, সিটি করপোরেশনে ৩৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। মেয়র পদে ৫, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ ও ১১টি সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অধিকাংশ ওয়ার্ডেই প্রার্থীর সংখ্যা ৪ থেকে ৬ জন। সর্বোচ্চ ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন তিনটি ওয়ার্ডে। সব মিলিয়ে মোট প্রার্থী ২২৩ জন। তাঁদের মধ্যে বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত ১৫ জন প্রার্থী। সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ফরহাদ আলম।
ময়মনসিংহ নগরীর বাসিন্দা মানবাধিকারকর্মী আলী ইউসুফ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দুই মাস পরই ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন হচ্ছে। সংসদ নির্বাচনের প্রভাব সিটি নির্বাচনেও রয়ে গেছে। জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিল না। এবার পাড়া-প্রতিবেশীর ভোট। তাই বিএনপির অনেক ভোটার ভোট দিতে যাবেন। ময়মনসিংহ শহরে বিএনপির ভোটার তুলনামূলক বেশি।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হবি বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত। দল নির্বাচনে না গেলেও তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। বাতিল হলেও আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। হাবিবুর রহমান হবি বলেন, তিনি নির্বাচন করতে চাননি। এলাকার মানুষের চাপে পড়ে করছেন।আওয়ামী লীগ নেতাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, সমস্যা ওপরের লেভেলে। কারণ, তাঁদের এখানে স্বার্থ আছে।
নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে টানা ছয়বারের নির্বাচিত কমিশনার ও কাউন্সিলর মাহবুব আলম হেলাল বলেন, তাঁর সঙ্গে আরও চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটে জিতবেন—এই আশা আছে তাঁর। বিএনপি নেতা হিসেবে ভোটের মাঠে প্রভাব পড়বে কি না–এমন প্রশ্নে হেলাল বলেন, তিনি কোন দল করেন, সেটা মুখ্য বিষয় নয়। ভালো মানুষ হিসেবে ভোটাররা তাঁকে আবারও মূল্যায়ন করবে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিএনপিপন্থী ফরহাদ আলম এ নিয়ে পরপর তিনবার জয় পেলেন। তিনি বলেন, ‘বিগত সময়েও আওয়ামী লীগের মেয়রের সঙ্গে কাজ করেছি, কোনো সমস্যা হয়নি। এবারও হবে না আশা করি।’
সংরক্ষিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রোকশানা শিরীন, সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোছা. খালেদা বেগম ও রোখসানা পারভীন কাজল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা বিএনপি নেত্রী হিসেবে পরিচিত। রোখসানা পারভীন বলেন, প্রচারণার সময় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা কিছুটা ভয়ে থাকেন। তবে ভোটারের ব্যাপক সাড়া রয়েছে তাঁর পক্ষে।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হান্নান বলেন, জাতীয় নির্বাচনেও কিছুসংখ্যক প্রার্থী ছিল, ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে দলের ৮-১০ জন প্রার্থী আছেন কাউন্সিলর পদে। এটার একটা কারণ হচ্ছে, কোনো মার্কা নেই। ফলে তাঁরা মনে করছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিলেও ক্ষতি হবে না। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
এদিকে নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগে বিভক্তি প্রকট আকার ধারণ করেছে। দলটির তিনজন প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। সে ক্ষেত্রে সদ্য সাবেক মেয়রের পাল্লা ভারী—এমন আভাসও দিচ্ছেন কেউ কেউ।
দলীয় সূত্র বলেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দুটি পক্ষ রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের পর তা আরও প্রকাশ্যে এসেছে। জাতীয় নির্বাচনে সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান (শান্ত)। নির্বাচনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে হেরে যান সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হকের বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হকের কাছে। এরপর দিনে দিনে বিভক্তি স্পষ্ট হয়েছে।
এই বিষয়ে ইকরামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে যার ইচ্ছা সে অংশগ্রহণ করতে পারছে। নেত্রী (শেখ হাসিনা) তেমন নির্দেশনাই দিয়েছেন। যে ভালো কাজ করছে, জনগণ তাঁকে ভোটে নির্বাচিত করবে।’
শেষ মুহূর্তের প্রচারে জমে উঠেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ২০১৮ সালে সিটি করপোরেশন ঘোষণার পর এটি নগরীর দ্বিতীয় নির্বাচন। প্রথমবার মেয়র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও জমজমাট ছিল কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট। এবারও তেমনই হবে বলে আশা করছেন সাধারণ ভোটাররা। তবে আওয়ামী লীগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৃষ্ট বিভক্তি এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। এদিকে প্রচারণায় বেশ দাপট দেখাচ্ছেন বিএনপিপন্থী কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র বলেছে, সিটি করপোরেশনে ৩৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। মেয়র পদে ৫, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ ও ১১টি সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অধিকাংশ ওয়ার্ডেই প্রার্থীর সংখ্যা ৪ থেকে ৬ জন। সর্বোচ্চ ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন তিনটি ওয়ার্ডে। সব মিলিয়ে মোট প্রার্থী ২২৩ জন। তাঁদের মধ্যে বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত ১৫ জন প্রার্থী। সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ফরহাদ আলম।
ময়মনসিংহ নগরীর বাসিন্দা মানবাধিকারকর্মী আলী ইউসুফ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দুই মাস পরই ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন হচ্ছে। সংসদ নির্বাচনের প্রভাব সিটি নির্বাচনেও রয়ে গেছে। জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিল না। এবার পাড়া-প্রতিবেশীর ভোট। তাই বিএনপির অনেক ভোটার ভোট দিতে যাবেন। ময়মনসিংহ শহরে বিএনপির ভোটার তুলনামূলক বেশি।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হবি বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত। দল নির্বাচনে না গেলেও তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। বাতিল হলেও আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। হাবিবুর রহমান হবি বলেন, তিনি নির্বাচন করতে চাননি। এলাকার মানুষের চাপে পড়ে করছেন।আওয়ামী লীগ নেতাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, সমস্যা ওপরের লেভেলে। কারণ, তাঁদের এখানে স্বার্থ আছে।
নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে টানা ছয়বারের নির্বাচিত কমিশনার ও কাউন্সিলর মাহবুব আলম হেলাল বলেন, তাঁর সঙ্গে আরও চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটে জিতবেন—এই আশা আছে তাঁর। বিএনপি নেতা হিসেবে ভোটের মাঠে প্রভাব পড়বে কি না–এমন প্রশ্নে হেলাল বলেন, তিনি কোন দল করেন, সেটা মুখ্য বিষয় নয়। ভালো মানুষ হিসেবে ভোটাররা তাঁকে আবারও মূল্যায়ন করবে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিএনপিপন্থী ফরহাদ আলম এ নিয়ে পরপর তিনবার জয় পেলেন। তিনি বলেন, ‘বিগত সময়েও আওয়ামী লীগের মেয়রের সঙ্গে কাজ করেছি, কোনো সমস্যা হয়নি। এবারও হবে না আশা করি।’
সংরক্ষিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রোকশানা শিরীন, সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোছা. খালেদা বেগম ও রোখসানা পারভীন কাজল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা বিএনপি নেত্রী হিসেবে পরিচিত। রোখসানা পারভীন বলেন, প্রচারণার সময় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা কিছুটা ভয়ে থাকেন। তবে ভোটারের ব্যাপক সাড়া রয়েছে তাঁর পক্ষে।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হান্নান বলেন, জাতীয় নির্বাচনেও কিছুসংখ্যক প্রার্থী ছিল, ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে দলের ৮-১০ জন প্রার্থী আছেন কাউন্সিলর পদে। এটার একটা কারণ হচ্ছে, কোনো মার্কা নেই। ফলে তাঁরা মনে করছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিলেও ক্ষতি হবে না। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
এদিকে নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগে বিভক্তি প্রকট আকার ধারণ করেছে। দলটির তিনজন প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। সে ক্ষেত্রে সদ্য সাবেক মেয়রের পাল্লা ভারী—এমন আভাসও দিচ্ছেন কেউ কেউ।
দলীয় সূত্র বলেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দুটি পক্ষ রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের পর তা আরও প্রকাশ্যে এসেছে। জাতীয় নির্বাচনে সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান (শান্ত)। নির্বাচনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে হেরে যান সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হকের বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হকের কাছে। এরপর দিনে দিনে বিভক্তি স্পষ্ট হয়েছে।
এই বিষয়ে ইকরামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে যার ইচ্ছা সে অংশগ্রহণ করতে পারছে। নেত্রী (শেখ হাসিনা) তেমন নির্দেশনাই দিয়েছেন। যে ভালো কাজ করছে, জনগণ তাঁকে ভোটে নির্বাচিত করবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪