মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভায় সুপেয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন নিশ্চিতে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

জিওবি, বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) অর্থায়নে ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রথম পর্যায়ে পানি সরবরাহ কাজে ব্যয় হবে ১০ কোটি ৮০ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৪ টাকা। কাজটি করছে মেসার্স জিলানী ট্রেডার্স-মেসার্স আদেল এন্টারপ্রাইজ (জেবি)। অন্যদিকে, একই প্রকল্পের আওতায় পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ৩ হাজার ৬২১ মিটার ড্রেনও নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

গতকাল শনিবার প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় পৌরসভার বারইগ্রাম এলাকায় এই প্রকল্প উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাংসদ মো. শাহাব উদ্দিন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সরকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে একটু যারা পেছনে আছে তাদের টেনে তোলা। আমরা যারা এগিয়ে আছি, তাদের সঙ্গে পিছিয়ে পড়াদের তুলতে পারলে দেশ উন্নত হয়ে যাব। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। লক্ষ্যে বাস্তবায়ন করলে ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হবে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী। কাউন্সির রেহান পারভেজ রিপনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদুজ্জামান। এ সময় বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর, বড়লেখা উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) মঈন উদ্দিন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের প্রাক্কলনিক জাহাঙ্গীর আলম, বড়লেখা পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলী আহমদ চৌধুরী জাহেদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আদেল হোসেন প্রমুখ।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার পৌর নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য একসঙ্গে বড়লেখায় প্রায় ২৩ কোটি টাকার কাজ দিয়েছে। এগুলো দেশের ৩০টি পৌরসভায় দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল পৌরসভায় দেওয়া হবে। পৌরসভা ছাড়ও বড়লেখায় যে ১০টি ইউনিয়ন আছে সেগুলো পানি সরবরাহ দেওয়ার জন্য চিন্তা করছে। কিছু কিছু ছোট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যে এলাকায় টিউবওয়েল হয় না সেখানে সাপ্লাই দেওয়ার চিন্তা আছে। বিশেষ করে বড়লেখার দুর্গম এলাকা ও হাওর অঞ্চলে এগুলো দেওয়া হবে।’