প্রকৃতিতে শীত শীত ভাব শুরু হয়েছে। করোনা সংক্রমণ কমে আগের তুলনায় কম। পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। আগের অবস্থায় ফিরছে মেঘনাবেষ্টিত ভোলার মনপুরা, চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরি-মুকরি, বেতুয়া, জ্যাকব টাওয়ার, ভোলা সদর উপজেলার তেঁতুলিয়া শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্র ও ভেলুমিয়া ইউনিয়নের কায়াকিং পর্যটনকেন্দ্র। পর্যটক ও ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে এসব এলাকা।

ভোলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি আর হরিণের চারণভূমি খ্যাত রুপালি দ্বীপ মনপুরা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তা নিবাস গড়ার স্বপ্ন মনপুরায়। পর্যটক আর ভ্রমণ পিপাসু মানুষকে মুগ্ধতার বন্ধনে আবদ্ধ করার বহু উপকরণ রয়েছে এই দ্বীপে। এখানে সকাল বেলার সূর্য যেমন হাসতে হাসতে পূর্বদিকে ডিমের লাল কুসুমের মতো উদিত হতে দেখা যায়, তেমনি বিকেল বেলাতেও আকাশের সিঁড়ি বেয়ে লাল আভা ছড়াতে ছড়াতে পশ্চিম আকাশে মুখ লুকায়। মনপুরায় এসেই কেবল সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত প্রত্যক্ষ করা যায়। মনপুরায় এখন নতুনভাবে গড়ে উঠেছে মনপুরা দখিনা হাওয়া সি-বিচ। শীত মৌসুমে শত শত পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকে মনপুরার চরাঞ্চল। দ্বীপের এক প্রান্ত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, অপর প্রান্তে সমুদ্র সৈকতের নয়নাভিরাম দৃশ্য।

গত শুক্রবার মনপুরায় ভ্রমণে এসেছিলেন ভ্রমণ কন্যা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এলিজা বিনতে এলাহী। তিনি ভ্রমণের পাশাপাশি সেখানকার পুরোনো স্কুলগুলো পরিদর্শন করেন। মনপুরা ভ্রমণ শেষে এলিজা বিনতে এলাহী গত শনিবার আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি ভোলাসহ দেশের ৬৪ জেলাতেই ভ্রমণ করেছেন। নতুন করে আবার জেলার বিভিন্ন উপজেলার পর্যটন এলাকা ও পুরোনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো দেখার জন্য ভ্রমণে বের হয়েছেন। সেই লক্ষ্যে তিনি গত শুক্রবার মনপুরা দ্বীপে প্রথম ভ্রমণে আসেন।

ভ্রমণ কন্যা এলিজা বলেন, ‘মাছের রাজ্যে, তাজা মাছ দিয়ে দুই বেলা খাবার খেতে দারুণ লেগেছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার জন্য বাহন রয়েছে। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। শহরের মধ্যে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ইজিবাইক, মোটরবাইক রয়েছে।’

মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান শেলিনা আকতার চৌধুরী বলেন, ‘দ্বীপটি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এখানে পর্যটনের নানা উপকরণ রয়ছে।’