দৌলতপুরে ধান সংগ্রহে লক্ষ্য অর্জন হয়নি

দৌলতপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১: ৩৬
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ০৬

দৌলতপুর উপজেলায় বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও এলাকার কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দেননি। দাম বেশি পাওয়ায় হাটে ধান বিক্রি করেছেন তাঁরা। নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রার ৪২৭ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।

এদিকে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক ধান ক্রয় করেও জেলায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দৌলতপুর উপজেলা খাদ্যগুদাম। অন্য উপজেলার অবস্থা আরও খারাপ।

উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ২৫ মে থেকে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়ে চলে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। সরকারের টার্গেট ৯২৬ মেট্রিক টন হলেও সংগ্রহ হয় মাত্র ৪২৭ মেট্রিক টন।

জানা যায়, উপজেলা ধান ও চাল ক্রয় কমিটির মাধ্যমে অডিটরিয়ামে সরাসরি লটারির মাধ্যমে কৃষকদের নামের তালিকা সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার সব ব্যবস্থা করা হয়। জমির পরিমাণ অনুযায়ী কোন কৃষক কী পরিমাণ ধান দিতে পারবেন, তা খোলামেলা আলোচনা করা হয়। প্রতি কৃষক এক থেকে দুই টন পর্যন্ত ধান দিতে পারবেন খাদ্যগুদামে। খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং, প্রচার-প্রচারণা ও কৃষকদের তাগাদা দিলেও তাঁরা ধান দিতে আসেননি। স্থানীয় বাজারে ধানের মূল্য বেশি থাকায় ধান বিক্রি করেননি ক্ষুদ্র কৃষকেরা।

উলাইল বাজারের ধান ব্যবসায়ী বলাই সরকার বলেন, ‘বর্তমানে প্রতি মণ শুকনা ধানের দাম ১ হাজার ১৫০ টাকা। প্রতিবছরের চেয়ে এবার ধানের দাম শুরু থেকেই বেশি। বাজারে দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করেননি।’

বহড়া বাড়ি গ্রামের কৃষক ফরিদ শিকদার বলেন, ‘এ বছর ধান কাটার সময় থেকেই দাম বেশি। দাম ১ হাজার ১০০ টাকার নিচে কখনো নামেনি। বর্তমানে শুকনা ধানের দাম ১ হাজার ১২০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা মণ। অথচ সরকার ধানের দাম বেঁধে দিয়েছে ১ হাজার ৮০ টাকা। যাতায়াত খরচ, আবার টাকা তোলার বিড়ম্বনার কারণে এবার কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রি করেননি।’

উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) সুমন কুমার মিত্র বলেন, ‘আমরা সরকারি বিধি মোতাবেক ধান ক্রয়ের সব ব্যবস্থা করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবেও অনেক কৃষকের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু সরকার ঘোষিত দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। তবে জেলার অন্য খাদ্যগুদামের চেয়ে আমার এখানে ধান ক্রয় বেশি করতে পেরেছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত