সাক্ষাৎকার

মাদকমুক্ত ত্রিশালই চ্যালেঞ্জ: এ বি এম আনিছুজ্জামান

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য (এমপি) হয়েছেন এ বি এম আনিছুজ্জামান। তিনি ত্রিশাল পৌরসভার টানা তিনবারের মেয়র ছিলেন। মেয়র পদ ছেড়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত করেন ওই আসনের সাবেক এমপি হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন মাদানীকে।

আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচনী আসন নিয়ে নিজের নানা পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছেন এমপি আনিছুজ্জামান।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও কয়েক দফায় জিতেছেন, সব ভোটেই কীভাবে জয়লাভ সম্ভব হলো—জানতে চাইলে এমপি আনিছুজ্জামান বলেন, ‘উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি আমি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নেতা-কর্মীদের পর্যাপ্ত সময় দিয়েছি। তাঁদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছি। তাই হয়তো তাঁরা আমাকে ভালোবেসে বারবার নির্বাচিত করেছেন।’

এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করার বিষয়ে নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়ে কী ভাবছেন, এ প্রশ্নে আনিছুজ্জামান বলেন, ‘আমার উপজেলায় মোট ৮০০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ৩০০ কিলোমিটারের মতো পাকা। তার মধ্যেও ২৫০-৩০০ কিলোমিটার ভাঙাচোরা। আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, এই বিশাল পরিমাণ কাঁচা ও ভাঙাচোরা রাস্তার কাজ শেষ করা। বেশ কয়েকটি সেতু ও কালভার্টের কাজও শেষ করতে হবে।’

এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণেও জোর দিতে চান এমপি আনিছুজ্জামান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে মাদককে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এদের (মাদক কারবারি) ত্রিশাল থেকে চিরতরে বিদায় করতে হবে। ত্রিশালকে মাদকমুক্ত করতে হবে, যদিও এটা আমার জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।’

শিক্ষার উন্নয়নে আগামী দিনের পদক্ষেপ সম্পর্কে আনিছুজ্জামান বলেন, ত্রিশালে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভবন নেই। এর আগে যারা টাকা না দিছে, তাঁদের কোনো ভবন দেওয়া হয়নি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়নে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানান।

ত্রিশালের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এমপি আনিছুজ্জামান বলেন, ‘ত্রিশালে ৫০ শয্যার হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলার ৫৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাত্র ২৮টির অবকাঠামো ভালো। বাকিগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এগুলো সংস্কার করা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত