জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মহানগরকে আলোকিত করা হবে স্মার্ট এলইডি বাতিতে। ২৬০ কোটি টাকার সেই প্রকল্পের শুরুতেই নানা অনিয়মের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ জন্য দরপত্রের শর্ত কাটছাঁট এবং দরপত্র মূল্যায়নে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। আবার যে প্রতিষ্ঠানের জন্য এত কিছু সেই প্রতিষ্ঠানটির এমডি নিজে বলছেন, তাঁরা দরপত্রে অংশগ্রহণই করেননি। কেউ জালিয়াতি করার জন্য তাঁদের প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করতে পারে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) সূত্রে জানা গেছে, পুরো চট্টগ্রাম নগরকে আলোকিত করতে এলইডি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয় ২০১৯ সালে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিনবার। সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চে দরপত্র আহ্বান করলেও, দরপত্রের শর্তে বিভিন্ন ত্রুটি পাওয়া যায়। তারপর এলজিআরডির বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানী গত ২৮ মার্চ এই দরপত্রের নানা অসংগতির কথা তুলে ধরে পুনঃ দরপত্রের আহ্বানের পরামর্শ দেন।
তারপর চসিক থেকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে পুনঃ দরপত্রের আহ্বানের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে চসিককে পুনঃ দরপত্র আহ্বান না করে মূল্যায়নের ভিত্তিতে যারা আগে দরপত্রের অংশ নিয়েছে, তাদের থেকে ঠিকাদার নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ১ আগস্ট মূল্যায়ন কমিটির সভা হয় চসিকে। মূল্যায়ন কমিটিতে মেয়রসহ ছিলেন সাতজন। তার মধ্যে তিনজন চসিকের বাইরের। একজন পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী, আরেকজন পিডব্লিউর প্রকৌশলী, আরেকজন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারদের মূল্যায়নের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৮০ শতাংশের নিচে নম্বর না দেওয়ার নির্দেশনা দেন মেয়র। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশের নেতৃত্বে এসপিসিএল এবং এইচএটিএমএস নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৯৭.৮০ নম্বর দিয়ে পছন্দের শীর্ষে রাখা হয়। সিগনিফাই ইনোভেশন ইন্ডিয়া লিমিটেড (ফিলিপস) নামের অপর প্রতিষ্ঠানকে প্রতিযোগিতার বাইরে রাখতে মধ্যে ৪৭ নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এসপিসিএল এবং এইচএটিএমএসকে ২০২০ সালের ৯ জুন কালো তালিকাভুক্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শুধু তা-ই নয়, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার দুর্নীতিতে (যন্ত্রপাতি ক্রয়) দুদকের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে চলতি বছরের মে মাসে। সিভিল সার্জন এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন জেলে। এইচটিএমএস নিজের প্রতিষ্ঠান স্বীকার করলেও এসপিসিএল প্রতিষ্ঠানটি কার, সেটি জানেন না বলে দাবি করেন আফতাব আহমেদ। অথচ এই দুটি প্রতিষ্ঠানই তাঁর বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
জানতে চাইলে এইচটিএমএস লিমিটেডের এমডি আফতাব আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দরপত্রে আমি বা আমার প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়নি। দরপত্রে কেউ যদি আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে, তাহলে কেউ জালিয়াতি করার চেষ্টা করেছে।’
অভিযোগ পাওয়া গেছে, আফতাব আহমেদের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশ দরপত্রের শর্তাবলিও সংশোধন করেছেন। একনেকে অনুমোদিত এই প্রকল্পের ডিটিপি পরিবর্তন করে লাইটের দুটি ব্র্যান্ড কেটে দেওয়া হয়েছে। দরপত্রের শর্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেটি পিপিআর ২০০৮ সালের আইনের পরিপন্থী।
প্রকল্পের দরপত্রের শর্তাবলি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ২২ আগস্ট সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল আলম ও প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন সিগনেফাই ইনোভেশন ইন্ডিয়া লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক মিলন্দ দেশপাণ্ডে স্বাক্ষরিত এই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়েও। সিটি করপোরেশন ও এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
একই সঙ্গে ভারতের যে প্রতিষ্ঠান এইচটিএমএসকে অথরাইজড করেছে সেই এসপিএল সে দেশের বিহার রাজ্য সরকারের নিষিদ্ধ করা প্রতিষ্ঠান। এসপিএল মূলত কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। তাদের কোম্পানি প্রস্তাবিত ওসরাম ব্র্যান্ড লাইটই তৈরি করে না, করে চিপস তৈরি।
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই প্রকল্পের লাইন অব ক্রেডিট চুক্তি অনুসারে ভারতীয় পণ্য বা প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলা থাকলেও, ওসরাম ব্র্যান্ডের ভারতীয় কোনো স্মার্ট এলইডি লাইটের মডেল বাজারে নেই। জার্মানির একটি অপটিক্যাল ইকুইপমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান একসময় এই নামের বাতি উৎপাদন করতে। পরে সেটি অস্ট্রিয়ান কোম্পানি কিনে নেয়।
অস্ট্রিয়ায় বসবাসরত কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিকস খাতের বিশেষজ্ঞ কামাল মাহমুদ আদনান বলেন, ওসরাম নামের লাইটের কোম্পানিটি চীনের একটি প্রতিষ্ঠানকে বিক্রি করে অস্ট্রিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। স্মার্ট স্ট্রিট এলইডি লাইট কোম্পানিটি উৎপাদনই করে না।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, চীনা প্রতিষ্ঠানের তৈরি ওসরাম ব্র্যান্ডের হ্যালোজেন ডিসপ্লে/অপটিক ল্যাম্প বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের বাজারজাত করলেও তাদের তৈরি স্ট্রিট এলইডি লাইটের কোনো মডেল বাজারে নেই।
পাইকারি লাইটিং পণ্য বাজারজাতের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী মন্জুরুল কাদের জানান, দেশে অনেক নন-ব্র্যান্ডের এলইডি লাইট বাজারে আছে। মানের দিক থেকে খারাপ হওয়ায় ওসরামকে নন-ব্র্যান্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ওসরাম নামের এই অপটিক লাইট ও হ্যালোজেন লাইটের যন্ত্রাংশ চীন থেকে এনে দেশেই অ্যাসেম্বলি করা হয়। বলতে পারেন এটি আসলে, ‘মেড ইন জিঞ্জিরা’।
এত অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশের সঙ্গে। কিন্তু তিনি এ নিয়ে কোনো কথাই বলতে রাজি হননি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিষয় আমার নলেজে নেই।’ আর প্রকল্প পরিচালক ঝুলন দাশের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি হেসে বলেন, ‘কালো তালিকাভুক্ত কাউকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমি জানি না।’
চট্টগ্রাম মহানগরকে আলোকিত করা হবে স্মার্ট এলইডি বাতিতে। ২৬০ কোটি টাকার সেই প্রকল্পের শুরুতেই নানা অনিয়মের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ জন্য দরপত্রের শর্ত কাটছাঁট এবং দরপত্র মূল্যায়নে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। আবার যে প্রতিষ্ঠানের জন্য এত কিছু সেই প্রতিষ্ঠানটির এমডি নিজে বলছেন, তাঁরা দরপত্রে অংশগ্রহণই করেননি। কেউ জালিয়াতি করার জন্য তাঁদের প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করতে পারে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) সূত্রে জানা গেছে, পুরো চট্টগ্রাম নগরকে আলোকিত করতে এলইডি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয় ২০১৯ সালে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিনবার। সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চে দরপত্র আহ্বান করলেও, দরপত্রের শর্তে বিভিন্ন ত্রুটি পাওয়া যায়। তারপর এলজিআরডির বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানী গত ২৮ মার্চ এই দরপত্রের নানা অসংগতির কথা তুলে ধরে পুনঃ দরপত্রের আহ্বানের পরামর্শ দেন।
তারপর চসিক থেকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে পুনঃ দরপত্রের আহ্বানের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে চসিককে পুনঃ দরপত্র আহ্বান না করে মূল্যায়নের ভিত্তিতে যারা আগে দরপত্রের অংশ নিয়েছে, তাদের থেকে ঠিকাদার নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ১ আগস্ট মূল্যায়ন কমিটির সভা হয় চসিকে। মূল্যায়ন কমিটিতে মেয়রসহ ছিলেন সাতজন। তার মধ্যে তিনজন চসিকের বাইরের। একজন পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী, আরেকজন পিডব্লিউর প্রকৌশলী, আরেকজন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারদের মূল্যায়নের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৮০ শতাংশের নিচে নম্বর না দেওয়ার নির্দেশনা দেন মেয়র। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশের নেতৃত্বে এসপিসিএল এবং এইচএটিএমএস নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৯৭.৮০ নম্বর দিয়ে পছন্দের শীর্ষে রাখা হয়। সিগনিফাই ইনোভেশন ইন্ডিয়া লিমিটেড (ফিলিপস) নামের অপর প্রতিষ্ঠানকে প্রতিযোগিতার বাইরে রাখতে মধ্যে ৪৭ নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এসপিসিএল এবং এইচএটিএমএসকে ২০২০ সালের ৯ জুন কালো তালিকাভুক্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শুধু তা-ই নয়, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার দুর্নীতিতে (যন্ত্রপাতি ক্রয়) দুদকের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে চলতি বছরের মে মাসে। সিভিল সার্জন এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন জেলে। এইচটিএমএস নিজের প্রতিষ্ঠান স্বীকার করলেও এসপিসিএল প্রতিষ্ঠানটি কার, সেটি জানেন না বলে দাবি করেন আফতাব আহমেদ। অথচ এই দুটি প্রতিষ্ঠানই তাঁর বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
জানতে চাইলে এইচটিএমএস লিমিটেডের এমডি আফতাব আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দরপত্রে আমি বা আমার প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়নি। দরপত্রে কেউ যদি আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে, তাহলে কেউ জালিয়াতি করার চেষ্টা করেছে।’
অভিযোগ পাওয়া গেছে, আফতাব আহমেদের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশ দরপত্রের শর্তাবলিও সংশোধন করেছেন। একনেকে অনুমোদিত এই প্রকল্পের ডিটিপি পরিবর্তন করে লাইটের দুটি ব্র্যান্ড কেটে দেওয়া হয়েছে। দরপত্রের শর্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেটি পিপিআর ২০০৮ সালের আইনের পরিপন্থী।
প্রকল্পের দরপত্রের শর্তাবলি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ২২ আগস্ট সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল আলম ও প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন সিগনেফাই ইনোভেশন ইন্ডিয়া লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক মিলন্দ দেশপাণ্ডে স্বাক্ষরিত এই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়েও। সিটি করপোরেশন ও এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
একই সঙ্গে ভারতের যে প্রতিষ্ঠান এইচটিএমএসকে অথরাইজড করেছে সেই এসপিএল সে দেশের বিহার রাজ্য সরকারের নিষিদ্ধ করা প্রতিষ্ঠান। এসপিএল মূলত কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। তাদের কোম্পানি প্রস্তাবিত ওসরাম ব্র্যান্ড লাইটই তৈরি করে না, করে চিপস তৈরি।
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই প্রকল্পের লাইন অব ক্রেডিট চুক্তি অনুসারে ভারতীয় পণ্য বা প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলা থাকলেও, ওসরাম ব্র্যান্ডের ভারতীয় কোনো স্মার্ট এলইডি লাইটের মডেল বাজারে নেই। জার্মানির একটি অপটিক্যাল ইকুইপমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান একসময় এই নামের বাতি উৎপাদন করতে। পরে সেটি অস্ট্রিয়ান কোম্পানি কিনে নেয়।
অস্ট্রিয়ায় বসবাসরত কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিকস খাতের বিশেষজ্ঞ কামাল মাহমুদ আদনান বলেন, ওসরাম নামের লাইটের কোম্পানিটি চীনের একটি প্রতিষ্ঠানকে বিক্রি করে অস্ট্রিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। স্মার্ট স্ট্রিট এলইডি লাইট কোম্পানিটি উৎপাদনই করে না।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, চীনা প্রতিষ্ঠানের তৈরি ওসরাম ব্র্যান্ডের হ্যালোজেন ডিসপ্লে/অপটিক ল্যাম্প বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের বাজারজাত করলেও তাদের তৈরি স্ট্রিট এলইডি লাইটের কোনো মডেল বাজারে নেই।
পাইকারি লাইটিং পণ্য বাজারজাতের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী মন্জুরুল কাদের জানান, দেশে অনেক নন-ব্র্যান্ডের এলইডি লাইট বাজারে আছে। মানের দিক থেকে খারাপ হওয়ায় ওসরামকে নন-ব্র্যান্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ওসরাম নামের এই অপটিক লাইট ও হ্যালোজেন লাইটের যন্ত্রাংশ চীন থেকে এনে দেশেই অ্যাসেম্বলি করা হয়। বলতে পারেন এটি আসলে, ‘মেড ইন জিঞ্জিরা’।
এত অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশের সঙ্গে। কিন্তু তিনি এ নিয়ে কোনো কথাই বলতে রাজি হননি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিষয় আমার নলেজে নেই।’ আর প্রকল্প পরিচালক ঝুলন দাশের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি হেসে বলেন, ‘কালো তালিকাভুক্ত কাউকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমি জানি না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে