আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
চোখে গুলির আঘাত নিয়ে গত শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন মো. অনিক। ২৪ বছরের এই যুবক এখন দুই চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। ভবিষ্যতে দেখবেন কি না, সেই আশাও দেখাতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। তবে তাঁর চিকিৎসা এখনো চলছে।
অনিক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয়কর্মী পদে কাজ করতেন। কর্মস্থল ছিল মাদারীপুর। গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দোকান থেকে পণ্যের অর্ডার নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। বিকেল ৪টার দিকে মাদারীপুর নতুন জেলা আদালত সড়কে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শরীরে শটগানের গুলি এসে লাগে। মাথায় ও চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অনিক। অচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নেন পথচারীরা। সেখান থেকে তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং এরপর গত শনিবার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে পরিবার।
শুধু অনিক নন, এই চক্ষু হাসপাতালে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ৪২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন, যাঁরা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৭৮ জনের চোখে ও শরীরে গুলির আঘাত ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলার ৪১৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে চোখে গুলিবিদ্ধ ৫ জনকে পাওয়া যায়। অনিক ওই ওয়ার্ডের ৩ নম্বর শয্যায় চোখে কালো চশমা পরে শুয়ে ছিলেন।
হাসপাতালটিতে ভর্তি আছেন রাজমিস্ত্রি সুমন। তাঁর বাড়ি মাদারীপুরের রেন্ডিতলা এলাকায়। কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনিও। গতকাল তাঁর চোখের অপারেশন হয়। সুমনের বোন লিপি আক্তার জানান, তাঁর ভাইয়ের এক চোখে আর কখনো আলো ফিরবে না বলে চিকিৎসকেরা বলেছেন।
চোখে গুলির আঘাত নিয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নরসিংদীর কাপড় ব্যবসায়ী তৌহিদ উদ্দিন ভূঁইয়া।
তিনি গত বৃহস্পতিবার নরসিংদীতে আন্দোলনকারী ও পুলিশের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন। তৌহিদ উদ্দিন বলেন, শুক্রবার এখানে ভর্তি হয়েছি। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ডান চোখে আর দেখতে পারব না।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সহিংসতার ঘটনায় ৪২৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। ২৭৮ জনের অপারেশন হয়েছে। তাঁদের পরবর্তী সময়ে ফলোআপে আসতে বলা হয়েছে। বর্তমানে গুরুতর আহত ৮ জন এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
ভর্তি থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে সবাই দুই চোখ বা এক চোখ হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের। তাঁদের মধ্যে একজন মো. হান্নান। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের নিশ্চিন্তপুরে। তবে তিনি ফেনীতে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। ফেনীতেই গত শুক্রবার গুলিবিদ্ধ হন হান্নান।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মিরপুর-২ নম্বরে গুলিবিদ্ধ হওয়া সিহাবও ভর্তি আছেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। ঢাকা সেন্ট্রাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সিহাব মাকে নিয়ে মিরপুর-২ নম্বরে থাকেন। একটি রেস্তোরাঁয় খণ্ডকালীন চাকরি করতেন তিনি। সংঘাতে তাঁর বাম চোখে গুলি লেগেছে। বর্তমানে ওই চোখে দেখতে পাচ্ছেন না তিনি।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অনেক আহত ব্যক্তি।
গতকাল পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দুটি ওয়ার্ডে গিয়ে যেসব আহত ব্যক্তিকে দেখা যায়, তাঁদের বেশির ভাগই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া কারও কারও হাত ও বাহুতে গুলি রয়েছে। অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন পা।
গত বৃহস্পতিবার বাড্ডা লিংক রোডে বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন জাকির হোসেন নামের এক যুবক। পথচারীরা তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হয়ে পরে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। গুলিতে তাঁর বাম পায়ের ঊরুর নিচের অংশের হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়ে যায়। পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁর বাঁ পা কেটে ফেলেন।
জাকির হোসেন গুলশানের একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করেন। গত বৃহস্পতিবার গুলশান থেকে মধ্যবাড্ডার বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে গুলিবিদ্ধ হন। জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি যখন দোকান থেকে ফিরছিলাম, তখন লিংক রোডে কোনো সংঘর্ষ চলছিল না। ফুটপাত ধরে হাঁটার সময় গুলিবিদ্ধ হই। এরপর আর কিছু জানি না। সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেলাম।’
জাকির ছাড়াও গুলিবিদ্ধ আরও অনেকে ওই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন ময়মনসিংহের শিমুল আহম্মেদ, কুমিল্লার নাসির উদ্দিন, ঝালকাঠির আবির, শরীয়তপুরের মেহেদী, নড়াইলের শীতল, ভোলার সিফাত, মাদারীপুরের নেসার উদ্দিন, বরগুনার ছাত্রলীগের কর্মী কাওসার। তাঁরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন।
পঙ্গু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালটিতে ১৭ জুলাই ৯২ জন, ১৮ জুলাই ১০২ জন এবং ১৯ জুলাই ১৪২ জন ভর্তি হন। ১৯ জুলাই ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৮ জনই গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
গত কয়েক দিনের সংঘাতে সবচেয়ে বেশি আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ১ হাজার ৭০০ জন। তাঁদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ ছিলেন। হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আহতদের মধ্যে ২৭৮ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের সুস্থ করে তোলার জন্য ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চোখে গুলির আঘাত নিয়ে গত শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন মো. অনিক। ২৪ বছরের এই যুবক এখন দুই চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। ভবিষ্যতে দেখবেন কি না, সেই আশাও দেখাতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। তবে তাঁর চিকিৎসা এখনো চলছে।
অনিক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয়কর্মী পদে কাজ করতেন। কর্মস্থল ছিল মাদারীপুর। গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দোকান থেকে পণ্যের অর্ডার নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। বিকেল ৪টার দিকে মাদারীপুর নতুন জেলা আদালত সড়কে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শরীরে শটগানের গুলি এসে লাগে। মাথায় ও চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অনিক। অচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নেন পথচারীরা। সেখান থেকে তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং এরপর গত শনিবার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে পরিবার।
শুধু অনিক নন, এই চক্ষু হাসপাতালে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ৪২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন, যাঁরা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৭৮ জনের চোখে ও শরীরে গুলির আঘাত ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলার ৪১৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে চোখে গুলিবিদ্ধ ৫ জনকে পাওয়া যায়। অনিক ওই ওয়ার্ডের ৩ নম্বর শয্যায় চোখে কালো চশমা পরে শুয়ে ছিলেন।
হাসপাতালটিতে ভর্তি আছেন রাজমিস্ত্রি সুমন। তাঁর বাড়ি মাদারীপুরের রেন্ডিতলা এলাকায়। কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনিও। গতকাল তাঁর চোখের অপারেশন হয়। সুমনের বোন লিপি আক্তার জানান, তাঁর ভাইয়ের এক চোখে আর কখনো আলো ফিরবে না বলে চিকিৎসকেরা বলেছেন।
চোখে গুলির আঘাত নিয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নরসিংদীর কাপড় ব্যবসায়ী তৌহিদ উদ্দিন ভূঁইয়া।
তিনি গত বৃহস্পতিবার নরসিংদীতে আন্দোলনকারী ও পুলিশের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন। তৌহিদ উদ্দিন বলেন, শুক্রবার এখানে ভর্তি হয়েছি। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ডান চোখে আর দেখতে পারব না।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সহিংসতার ঘটনায় ৪২৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। ২৭৮ জনের অপারেশন হয়েছে। তাঁদের পরবর্তী সময়ে ফলোআপে আসতে বলা হয়েছে। বর্তমানে গুরুতর আহত ৮ জন এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
ভর্তি থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে সবাই দুই চোখ বা এক চোখ হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের। তাঁদের মধ্যে একজন মো. হান্নান। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের নিশ্চিন্তপুরে। তবে তিনি ফেনীতে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। ফেনীতেই গত শুক্রবার গুলিবিদ্ধ হন হান্নান।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মিরপুর-২ নম্বরে গুলিবিদ্ধ হওয়া সিহাবও ভর্তি আছেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। ঢাকা সেন্ট্রাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সিহাব মাকে নিয়ে মিরপুর-২ নম্বরে থাকেন। একটি রেস্তোরাঁয় খণ্ডকালীন চাকরি করতেন তিনি। সংঘাতে তাঁর বাম চোখে গুলি লেগেছে। বর্তমানে ওই চোখে দেখতে পাচ্ছেন না তিনি।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অনেক আহত ব্যক্তি।
গতকাল পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দুটি ওয়ার্ডে গিয়ে যেসব আহত ব্যক্তিকে দেখা যায়, তাঁদের বেশির ভাগই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া কারও কারও হাত ও বাহুতে গুলি রয়েছে। অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন পা।
গত বৃহস্পতিবার বাড্ডা লিংক রোডে বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন জাকির হোসেন নামের এক যুবক। পথচারীরা তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হয়ে পরে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। গুলিতে তাঁর বাম পায়ের ঊরুর নিচের অংশের হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়ে যায়। পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁর বাঁ পা কেটে ফেলেন।
জাকির হোসেন গুলশানের একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করেন। গত বৃহস্পতিবার গুলশান থেকে মধ্যবাড্ডার বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে গুলিবিদ্ধ হন। জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি যখন দোকান থেকে ফিরছিলাম, তখন লিংক রোডে কোনো সংঘর্ষ চলছিল না। ফুটপাত ধরে হাঁটার সময় গুলিবিদ্ধ হই। এরপর আর কিছু জানি না। সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেলাম।’
জাকির ছাড়াও গুলিবিদ্ধ আরও অনেকে ওই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন ময়মনসিংহের শিমুল আহম্মেদ, কুমিল্লার নাসির উদ্দিন, ঝালকাঠির আবির, শরীয়তপুরের মেহেদী, নড়াইলের শীতল, ভোলার সিফাত, মাদারীপুরের নেসার উদ্দিন, বরগুনার ছাত্রলীগের কর্মী কাওসার। তাঁরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন।
পঙ্গু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালটিতে ১৭ জুলাই ৯২ জন, ১৮ জুলাই ১০২ জন এবং ১৯ জুলাই ১৪২ জন ভর্তি হন। ১৯ জুলাই ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৮ জনই গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
গত কয়েক দিনের সংঘাতে সবচেয়ে বেশি আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ১ হাজার ৭০০ জন। তাঁদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ ছিলেন। হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আহতদের মধ্যে ২৭৮ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের সুস্থ করে তোলার জন্য ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে