Ajker Patrika

ঈদযাত্রার চাপ সামলাতে প্রস্তুতি

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২২, ০৯: ০৬
ঈদযাত্রার চাপ সামলাতে প্রস্তুতি

দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীর চাপ সামলাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে লঞ্চ চলাচলের সময় বাড়ানো হয়েছে। বাড়ছে চারটি ফেরি, স্থাপন হচ্ছে নতুন একটি ঘাট।

জানা যায়, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার থেকে লঞ্চ চলাচলের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বাড়ানো হবে ফেরির সংখ্যাও। বর্তমানে ছয়টি ফেরির পরিবর্তে এ রুটে ১০টি ফেরি চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে কোনো কারণে বাংলাবাজার ঘাট দিয়ে ফেরি চালানো না গেলে আপৎকালীন হিসেবে মাঝিরকান্দি ঘাট দিয়ে ফেরি চালানোর উদ্দেশ্যে এখানে আগের একটি ঘাটের পাশাপাশি নতুন করে আরও একটি ঘাট স্থাপন করা হচ্ছে। নতুন ঘাটের কাজ ২৮ এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

শিমুলিয়া নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, লঞ্চ চলাচলের সময় দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে রাত ৮টার পরিবর্তে রাত ১০টা পর্যন্ত করা হয়েছে। আজ থেকে ২১ দিনের জন্য এটা কার্যকর হবে।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এই দুই রুটে বর্তমানে প্রায় ৭৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। তবে অনুমোদন আছে ৮৭টি লঞ্চের। সেগুলো ডক থেকে ঈদের আগেই এই বহরে যুক্ত হবে।

এদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে গতকালের আগপর্যন্ত ছয়টি ফেরি চলেছে। গতকাল রোববার চলেছে সাতটি ফেরি। সকালে যানবাহনের কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকা স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল। তিনি জানান, বর্তমানে সাতটি ফেরি শুধু দিনের বেলা চলছে। তবে রাতে ফেরি চালু করার সম্ভাবনা আছে। আর ঈদের আগে বহরে একটি রো রো ফেরিসহ মোট ১০টি ফেরি চলার সম্ভাবনা রয়েছে।

মো. ফয়সাল আরও বলেন, এই রুটে যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক চলাচল বন্ধ আছে। ঈদের আগে কোনোভাবেই সেগুলো চলাচলের অনুমতি দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এদিকে এই রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বাংলাবাজার ফেরিঘাটের পাশাপাশি মাঝিরকান্দি ফেরিঘাটে আরও একটি ঘাট স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
ঘাট নির্মাণের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী হারিছ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘মাঝিরকান্দি ফেরিঘাটে আগেই একটি ঘাট ছিল। এখন আরেকটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ। ২৮ এপ্রিলের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে পারব বলে আশা করি। যেহেতু এটা আপৎকালীন ঘাট হিসেবে বর্তমানে বিবেচিত হচ্ছে, তাই এখানে পার্কিং সুবিধা বা টয়লেটের সুবিধা পাবে না যাত্রীরা। কারণ, যেখানে ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানের অল্প কিছু জায়গা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ)। আর বাকি জায়গা ব্যক্তিমালিকানাধীন। সে জায়গা এখনো অধিভুক্ত করা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত