বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবান সদরের সুয়ালক ইউনিয়ন থেকে লামা উপজেলা পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ সড়কটি নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সড়কটি বান্দরবানের সঙ্গে লামা ও আলীকদম উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করবে। বান্দরবান-লামা সড়কে প্রায় ৩২ কিলোমিটার পথ কমে যাবে।
গ্রামীণ-অভ্যন্তরীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় এ কাজ করছে বান্দরবান এলজিইডি। ইতিমধ্যে তিন ধাপে প্রায় ১৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হয়েছে। অবশিষ্ট অংশের কাজও শিগগির শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সড়কটি সম্পূর্ণ নির্মাণ হলে বান্দরবান, লামা ও আলীকদমের প্রায় তিন লাখ মানুষে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ আমূল বদলে যাবে। এ ছাড়া কৃষিসমৃদ্ধ লামা, সরই, গজালিয়া, টঙ্কাবতী, সুয়ালক, আমতলী, মাঝেরপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় উৎপাদিত পণ্য কম খরচে দ্রুত জেলা ও উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বান্দরবান এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ‘লামা-সুয়ালক সড়কে’ গত কয়েক বছর উন্নয়ন হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ (পাচউবো) কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই কাজ করে। তখন ইট বিছানো ব্রিক সলিং (এইচবিবি) সড়ক ছিল। কিন্তু নানা কারণে সড়কটি কিছু অংশ হওয়ার পর থেমে যায়।
জানা গেছে, ১৮ ফুট প্রশস্তের ১৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কার্যাদেশ পায় তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সুয়ালকের মাঝেরপাড়ার আমতলী থেকে ব্রিক ফিল্ড এলাকা পর্যন্ত ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করেন রুবেল চৌধুরী (আবদুল মান্নান), ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টঙ্কাবতী থেকে লামা সীমানামুখ পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারের কাজ করেন খোরশেদ আলম ও ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গতিরাম ত্রিপুরাপাড়া থেকে লামার টিটি অ্যান্ড ডিসি পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করে মেসার্স ইউটি মং ও ইমো কনস্ট্রাকশন। এ দুই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ বাস্তবায়ন করেন বান্দরবানের ঠিকাদার মজিবুর রহমান।
বান্দরবান এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় লামা-সুয়ালক সড়কে প্রায় ১৯ কিলোমিটার নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯ কিলোমিটার সড়ক তিনটি পর্যায়ে (ফেজ) নির্মাণ করা হয়। আগে ইট বিছানো রাস্তা থেকে ইট সরিয়ে সেখানে রাস্তার কাজ শুরু হয়। কিছু কাজ চলতি মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। পরে সড়কটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে।
এদিকে সরেজমিন সড়কটি দিয়ে এখনই যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা বলেন, ‘সড়কটি নির্মাণের ফলে বান্দরবান সদরের সঙ্গে লামা ও আলীকদমের সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে। এ ছাড়া এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সহজে ও কম খরচে জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করার সুযোগ পাবেন।’
আলীকদমের সংবাদকর্মী মো. শাহ আলম বলেন, ‘লামা-সুয়ালক অভ্যন্তরীণ সড়ক হওয়ায় আলীকদমের লোকজনকে এখন আর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ঘুরে আসতে হবে না। অভ্যন্তরীণ সড়ক দিয়ে দ্রুত সময়ে জেলা সদরে আসা-যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।’
ঠিকাদার মজিবুর রহমান বলেন, এলজিইডির অভ্যন্তরীণ সড়কে ১৮ ফুট প্রশস্ত রাস্তা কমই আছে। রাস্তা নির্মাণের সবসময় তদারকি রাখায় কাজের মানও ভালো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী বলেন, ‘৬০ কিলোমিটার সড়কে ইতিমধ্যে ১৯ কিলোমিটার নির্মাণ শেষ হয়েছে। আগামী অর্থবছরে অবশিষ্ট অংশের জন্য প্রাক্কলন দেওয়া ও নির্মাণকাজ শুরু হবে। সড়কটি চালু হলে লামার সঙ্গে বান্দরবানের সড়কপথে প্রায় ৩২ কিলোমিটার পথ কমবে। এতে জেলা সদর ও লামা-আলীকদম উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ উপকৃত হবে।’
বান্দরবান সদরের সুয়ালক ইউনিয়ন থেকে লামা উপজেলা পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ সড়কটি নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সড়কটি বান্দরবানের সঙ্গে লামা ও আলীকদম উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করবে। বান্দরবান-লামা সড়কে প্রায় ৩২ কিলোমিটার পথ কমে যাবে।
গ্রামীণ-অভ্যন্তরীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় এ কাজ করছে বান্দরবান এলজিইডি। ইতিমধ্যে তিন ধাপে প্রায় ১৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হয়েছে। অবশিষ্ট অংশের কাজও শিগগির শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সড়কটি সম্পূর্ণ নির্মাণ হলে বান্দরবান, লামা ও আলীকদমের প্রায় তিন লাখ মানুষে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ আমূল বদলে যাবে। এ ছাড়া কৃষিসমৃদ্ধ লামা, সরই, গজালিয়া, টঙ্কাবতী, সুয়ালক, আমতলী, মাঝেরপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় উৎপাদিত পণ্য কম খরচে দ্রুত জেলা ও উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বান্দরবান এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ‘লামা-সুয়ালক সড়কে’ গত কয়েক বছর উন্নয়ন হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ (পাচউবো) কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই কাজ করে। তখন ইট বিছানো ব্রিক সলিং (এইচবিবি) সড়ক ছিল। কিন্তু নানা কারণে সড়কটি কিছু অংশ হওয়ার পর থেমে যায়।
জানা গেছে, ১৮ ফুট প্রশস্তের ১৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কার্যাদেশ পায় তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সুয়ালকের মাঝেরপাড়ার আমতলী থেকে ব্রিক ফিল্ড এলাকা পর্যন্ত ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করেন রুবেল চৌধুরী (আবদুল মান্নান), ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টঙ্কাবতী থেকে লামা সীমানামুখ পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারের কাজ করেন খোরশেদ আলম ও ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গতিরাম ত্রিপুরাপাড়া থেকে লামার টিটি অ্যান্ড ডিসি পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করে মেসার্স ইউটি মং ও ইমো কনস্ট্রাকশন। এ দুই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ বাস্তবায়ন করেন বান্দরবানের ঠিকাদার মজিবুর রহমান।
বান্দরবান এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় লামা-সুয়ালক সড়কে প্রায় ১৯ কিলোমিটার নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯ কিলোমিটার সড়ক তিনটি পর্যায়ে (ফেজ) নির্মাণ করা হয়। আগে ইট বিছানো রাস্তা থেকে ইট সরিয়ে সেখানে রাস্তার কাজ শুরু হয়। কিছু কাজ চলতি মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। পরে সড়কটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে।
এদিকে সরেজমিন সড়কটি দিয়ে এখনই যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা বলেন, ‘সড়কটি নির্মাণের ফলে বান্দরবান সদরের সঙ্গে লামা ও আলীকদমের সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে। এ ছাড়া এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সহজে ও কম খরচে জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করার সুযোগ পাবেন।’
আলীকদমের সংবাদকর্মী মো. শাহ আলম বলেন, ‘লামা-সুয়ালক অভ্যন্তরীণ সড়ক হওয়ায় আলীকদমের লোকজনকে এখন আর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ঘুরে আসতে হবে না। অভ্যন্তরীণ সড়ক দিয়ে দ্রুত সময়ে জেলা সদরে আসা-যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।’
ঠিকাদার মজিবুর রহমান বলেন, এলজিইডির অভ্যন্তরীণ সড়কে ১৮ ফুট প্রশস্ত রাস্তা কমই আছে। রাস্তা নির্মাণের সবসময় তদারকি রাখায় কাজের মানও ভালো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী বলেন, ‘৬০ কিলোমিটার সড়কে ইতিমধ্যে ১৯ কিলোমিটার নির্মাণ শেষ হয়েছে। আগামী অর্থবছরে অবশিষ্ট অংশের জন্য প্রাক্কলন দেওয়া ও নির্মাণকাজ শুরু হবে। সড়কটি চালু হলে লামার সঙ্গে বান্দরবানের সড়কপথে প্রায় ৩২ কিলোমিটার পথ কমবে। এতে জেলা সদর ও লামা-আলীকদম উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ উপকৃত হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে