সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
৫০ বছর ধরে দুধরাজ, কালনাগিনী, গোখরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ নিয়ে খেলা দেখান হবিবুর রহমান। গান সুর আর কথার ছন্দে খেলা দেখিয়ে এবং ওষুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ৭৫ বছর বয়সে এসে এই পেশার আয় দিয়ে তিনি সংসার চালাতে পারছেন না।
গত রোববার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা খোচাবাড়ী বাজারে সাপের খেলা দেখানোর কসরত সাজিয়ে বসেন হবিবুর। খেলা দেখানোর ফাকে প্রতিবেদকের কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ছোটবেলায় এক সাপুড়ের সাপের খেলা দেখতে দেখতে তাঁর ভালো লেগে যায়। সিদ্ধান্ত নেন এ খেলা শেখার। খেলা শেষে ওই সাপুড়ে আকবর আলীকে নিজের ইচ্ছার কথা জানান। এরপর শুরু হয় তালিম। গুরুর সঙ্গে তিনি গাইবান্ধা শহরসহ বিভিন্ন জেলায় যেতেন বিষধর সাপ ধরতে। ধীরে ধীরে সাপ ধরা ও বিষ নামানোর কৌশল রপ্ত করেন। এরপর শেখেন খেলা দেখানো। প্রায় ৫০ বছর ধরে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সাপের খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।
হবিবুরের বাবার বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। এখন তিনি দিনাজপুরে বসবাস করেন। সাত সন্তানের বাবা তিনি।
হবিবুর জানান, একজন সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সাপের খেলা দেখান। এতে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা আয় হয়। এভাবে বাক্স থেকে সাপ বের করলেন, ভয় লাগল না? এমন প্রশ্নে যেন হতবাক হবিবুর। বিস্ময় নিয়ে বললেন, ভয় কীসের? সাপরে তো রশির মতো মনে হয় আমার কাছে। তিনি বলেন, সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় তিনি কিছু ওষুধ ও গাছ ব্যবহার করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর চিকিৎসায় সাপে কাটা রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এ ছাড়া তিনি যাদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেছেন তাঁরা অনেকেই দূর দুরন্ত থেকে তাঁর কাছে রোগী পাঠান।
হবিবুর বলেন, ‘একটা সময় আয়ের প্রধান উৎস গাছগাছালির তাবিজ বিক্রি, সাপ ধরা ও সাপের খেলা দেখানো হলেও এখন মানুষ তাবিজ কিংবা সাপের খেলা দেখতে তেমন আগ্রহী না। তাই আয়-উপার্জনও কম। তাই এ পেশা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাই। এ জন্য সরকারিভাবে স্বল্প সুদে ঋণ পেলে ভালো হতো।’
ঠাকুরগাঁওয়ের সামাজিক সংগঠন সৃজনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সাপখেলা এই অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় ঐতিহ্য হলেও যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী সাপুড়ে শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।’
৫০ বছর ধরে দুধরাজ, কালনাগিনী, গোখরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ নিয়ে খেলা দেখান হবিবুর রহমান। গান সুর আর কথার ছন্দে খেলা দেখিয়ে এবং ওষুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ৭৫ বছর বয়সে এসে এই পেশার আয় দিয়ে তিনি সংসার চালাতে পারছেন না।
গত রোববার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা খোচাবাড়ী বাজারে সাপের খেলা দেখানোর কসরত সাজিয়ে বসেন হবিবুর। খেলা দেখানোর ফাকে প্রতিবেদকের কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ছোটবেলায় এক সাপুড়ের সাপের খেলা দেখতে দেখতে তাঁর ভালো লেগে যায়। সিদ্ধান্ত নেন এ খেলা শেখার। খেলা শেষে ওই সাপুড়ে আকবর আলীকে নিজের ইচ্ছার কথা জানান। এরপর শুরু হয় তালিম। গুরুর সঙ্গে তিনি গাইবান্ধা শহরসহ বিভিন্ন জেলায় যেতেন বিষধর সাপ ধরতে। ধীরে ধীরে সাপ ধরা ও বিষ নামানোর কৌশল রপ্ত করেন। এরপর শেখেন খেলা দেখানো। প্রায় ৫০ বছর ধরে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সাপের খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।
হবিবুরের বাবার বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। এখন তিনি দিনাজপুরে বসবাস করেন। সাত সন্তানের বাবা তিনি।
হবিবুর জানান, একজন সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সাপের খেলা দেখান। এতে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা আয় হয়। এভাবে বাক্স থেকে সাপ বের করলেন, ভয় লাগল না? এমন প্রশ্নে যেন হতবাক হবিবুর। বিস্ময় নিয়ে বললেন, ভয় কীসের? সাপরে তো রশির মতো মনে হয় আমার কাছে। তিনি বলেন, সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় তিনি কিছু ওষুধ ও গাছ ব্যবহার করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর চিকিৎসায় সাপে কাটা রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এ ছাড়া তিনি যাদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেছেন তাঁরা অনেকেই দূর দুরন্ত থেকে তাঁর কাছে রোগী পাঠান।
হবিবুর বলেন, ‘একটা সময় আয়ের প্রধান উৎস গাছগাছালির তাবিজ বিক্রি, সাপ ধরা ও সাপের খেলা দেখানো হলেও এখন মানুষ তাবিজ কিংবা সাপের খেলা দেখতে তেমন আগ্রহী না। তাই আয়-উপার্জনও কম। তাই এ পেশা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাই। এ জন্য সরকারিভাবে স্বল্প সুদে ঋণ পেলে ভালো হতো।’
ঠাকুরগাঁওয়ের সামাজিক সংগঠন সৃজনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সাপখেলা এই অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় ঐতিহ্য হলেও যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী সাপুড়ে শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪