Ajker Patrika

মাগুরায় সরস্বতী প্রতিমা বিক্রি নিয়ে অনিশ্চয়তা

ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৫০
মাগুরায় সরস্বতী প্রতিমা বিক্রি নিয়ে অনিশ্চয়তা

হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে, কল্যাণময়ী দেবীর চরণে ফুল দেবেন ভক্তরা। দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানের প্রতীক। তাই তাঁর কৃপালাভের আশায় অনুষ্ঠিত হয় পূজা-অর্চনা।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ায় সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ। তাই সরস্বতী পূজার প্রতিমা বিক্রি নিয়ে নিরাশ হয়ে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও বাড়িতে ও সংগঠনভিত্তিক পূজার ওপর ভরসা করছেন মাগুরার বাটিকাডাঙ্গার প্রতিমার মৃৎশিল্পীরা। এখানকার শিল্পীরা মনে করছেন, স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকায় অভিভাবকেরা বাড়িতে পূজা উদ্‌যাপনের ওপর জোর দেবেন। এতে আশানুরূপ বিক্রি না হলেও কিছু বিক্রি হবে বলে তাঁরা আশা করেছেন।

গতকাল সরেজমিন মাগুরা শহর থেকে দুই কিলোমিটার পশ্চিমে বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে দেখা যায়, এখানে প্রতিমা বানাতে ছোট-বড় তিনটা কারখানা রয়েছে। নবগঙ্গা নদীর পার ঘেঁষে প্রতিমাগুলো সাজানো। রোদে শুকানোর কাজ চলছে। এখানকার প্রতিটা কারখানায় শতাধিক প্রতিমা তৈরি হয়েছে। সাজসজ্জার কাজ কদিন পর শুরু হবে। তবে তা বিক্রির ওপর নির্ভর করছে।

শহরের বাটিকাডাঙ্গা এলাকার প্রতিমাশিল্পী সরজিত অধিকারী জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে ছাত্ররা এসে পছন্দ করে, বায়না করে রেখে যেত। কেউ কেউ বায়না দিয়েছিল এখন আবার ফেরত নিয়ে যাচ্ছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রতিমাশিল্পী মানিক বৈদ্য বলেন, ‘দুই মাস ধরে দিনরাত পরিশ্রম করে সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করেছি। হঠাৎ করোনা বেড়ে যাওয়ায় স্কুল, কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। যে কারণে পূজার সংখ্যা কমিয়েছেন আয়োজন কমিটি।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, ‘করোনায় সারা দেশেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবু সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটাতেই আমরা মনোযোগী হব। আগামী দিনগুলো সবার সুন্দরময় হোক—এই প্রত্যাশা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত