পাঁচ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে তালা, চরম দুর্ভোগে মা ও শিশুরা

খান রফিক, বরিশাল
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৮: ২৫

বরিশাল নগরে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো চুক্তি ভিত্তিতে চালাত এনজিও। কিন্তু নানা অনিয়মের অভিযোগে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) চুক্তির মেয়াদ বাড়ায়নি। নগরীর কাউনিয়া এলাকায় ২০ শয্যার নগর মাতৃসদন হাসপাতালসহ ৫টি সেবাকেন্দ্রে ২ এপ্রিল থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবাপ্রত্যাশীরা। চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ১২ চিকিৎসকসহ ১০১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য কাউনিয়া বাশেরহাট এলাকায় রয়েছে ২০ শয্যার একটি নগর মাতৃসদন হাসপাতাল এবং রূপাতলী হাউজিং, আলেকান্দা জমির খান সড়ক, কাউনিয়া প্রধান সড়কের পানির ট্যাংকের পাশে ও আমানতগঞ্জ পলাশপুরের বউবাজার এলাকায় রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। আরবান হেলথ কেয়ার প্রকল্পের আওতায় বিসিসির এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করত ‘সীমান্তিক’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।

জানা গেছে, নগরের প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এমবিবিএস চিকিৎসকেরা বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিতেন এবং হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা নারীরা প্রসব ও অস্ত্রোপচারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পেতেন। গতকাল শনিবার দুপুরে কাউনিয়া বাশেরহাটসংলগ্ন হাসপাতালে গিয়ে প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। দায়িত্বে থাকা প্রহরী জানান, ২ এপ্রিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রহরীর সঙ্গে কথা বলার সময় লাকুটিয়া এলাকার অন্তঃসত্ত্বা নারী কাকলী বেগম হাসপাতালে আসেন আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য। ওই নারীকে হাসপাতাল বন্ধের কথা জানিয়ে তাঁকে সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রহরী জানান, বন্ধের পরও প্রতিদিন অর্ধশতাধিক রোগী আসছেন হাসপাতালে।

স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের একাধিক স্টাফ বলেন, তাঁরা বেসরকারি সংস্থা সীমান্তিকের নিয়োগে চাকরি করেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের জানিয়েছেন, বিসিসির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছে ৩১ মার্চ। সীমান্তিকের স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ বলেন, তাঁরা চুক্তির মেয়াদ আরও ১৫ মাস বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছেন। আবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন।

কাউনিয়া নগর মাতৃসদন হাসপাতালের পাশের বাড়ির বাসিন্দা কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ‘এটি বন্ধ করে দেওয়া সরকারের সেবা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার শামিল।’

এ ব্যাপারে বিসিসির প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন লিটু বলেন, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো এনজিও চালাত। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাচারিতা, অবৈধ গর্ভপাত, সেবার নামে দুর্ভোগ চলে আসছিল। তাই সিটি করপোরেশন চুক্তির মেয়াদ বাড়ায়নি। সিটি মেয়রের সিদ্ধান্ত হলো, সিটি করপোরেশন নিজেরাই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো চালাবে। আসন্ন সিটি নির্বাচনের পর এগুলো চালু হতে পারে।

এ কয়েক মাস সেবাগ্রহীতারা কোথায় যাবেন, জানতে চাওয়া হলে গাজী নইমুল হোসেন লিটু বলেন, ‘ভালো কিছু পেতে হলে তো সময় দিতেই হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত