নাগরপুরে মধু সংগ্রহের ধুম

নাগরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮: ৩৪
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ১৭

নাগরপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ সরিষাখেতে এখন মধু সংগ্রহের ধুম পড়েছে। এবার উপজেলায় সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় মধু সংগ্রহের পরিমাণও বেশি। ব্যবসায়ীরা মধু আহরণ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৭, টোরি-৭, বিনা-৪ ও বিনা-৯ জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার সরিষাখেতে এবার প্রায় ৪ হাজার ১০টি মৌবাক্স স্থাপন করা হয়। এখান থেকে প্রায় ১২ হাজার ৪৬৮ কেজি মধু আহরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ফরিদপুরের মৌচাষি রহমান বলেন, ‘এবার সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় এ অঞ্চলে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করছি।’

সম্প্রতি উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের মামুদনগর পূর্বপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মধু সংগ্রহের কাজে সবাই ব্যস্ত। কেউ বাক্স থেকে মধু বের করছেন, কেউ বাক্স ঠিক করে দিচ্ছেন, কেউবা ড্রামে মধু ভর্তি করছেন। এর মধ্যে ক্রেতারা এসে মধু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি কেজি মধু মাঠ থেকে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন তাঁরা।

শুধু মামুদনগর নয়, উপজেলার মোকনা, দপ্তিয়র, পাকুটিয়া, ধুবড়িয়া, বেকড়াসহ সব ইউনিয়নের সরিষাখেতে চলছে মধু আহরণ। মধু আহরণের জন্য স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, মাগুরা, নাটোরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে খামারিরা আস্তানা গড়েছেন এখানে।

সাতক্ষীরা থেকে আসা মধু ব্যবসায়ী শফিকুল বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা এখানে মধুর জন্য ২০০টি মৌবাক্স স্থাপন করেছি। এখানে তিন থেকে চারজন পালা করে কাজ করেন। নয় থেকে দশ দিন পরপর মধু আহরণ করা হয়।’

শফিকুলের সহযোগী মৌচাষি শাহিন বলেন, ‘মৌমাছির সঙ্গে থাকতে থাকতে কাজটি অনেক সহজ হয়ে গেছে। এবারে সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় মধু আহরণ ভালো হবে বলে আশা করছি।’

নাগরপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এ উপজেলায় সরিষার পাশাপাশি মৌচাষিদের সংখ্যা বেড়েছে। সরিষাখেতে মৌ চাষে কৃষক ও মৌচাষি দুজনেই সমানভাবে লাভবান হন। কারণ, সরিষা ফুলে মৌমাছি বসে এর পরাগায়ন ঘটায়। ফলে সরিষার ভালো ফলন পাওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত