সম্পাদকীয়
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃতি এখন আর সব সময় স্বাভাবিক আচরণ করে না। গ্রীষ্মের গরম এর মধ্যেই অসহনীয় হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিদ্যুৎ ঘাটতির খবরও
পাওয়া যাচ্ছে। দিনরাতের বেশির ভাগ সময়ই অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ থাকে না। শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথার সঙ্গে বিদ্যুতের এই না-থাকার খবর অসংগতিপূর্ণ। বৈশাখের প্রারম্ভেই ঝড়-বজ্রপাতের দাপটে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।
এখন হাওরাঞ্চলে সবচেয়ে বড় আশঙ্কা হলো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে। পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে হাওরাঞ্চলের কয়েক হাজার হেক্টর ফসল তলিয়ে যাওয়ার রেশ না কাটতেই শোনা যাচ্ছে আকস্মিক অকালবন্যার পদধ্বনি। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় জমির ফসল ঝুঁকিতে আছে। বাঁধগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ না নিলে কৃষকদের আতঙ্ক বাড়বে। দফায় দফায় কালবৈশাখী ও ভারী শিলাবৃষ্টির কারণেও হাওরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষকদের দিন কাটছে দারুণ উৎকণ্ঠায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার নদ-নদীর পানি বেড়ে এসব এলাকায় আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
হাওর এলাকায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ধান উৎপাদন হয় বলে জানা গেছে। কিন্তু এবার খেতের সব ধান এখনো পাকেনি। হঠাৎ পানি বেড়ে গেলে কিংবা বাঁধ ভেঙে গেলে ধান তলিয়ে যাবে। তাই কৃষক যাতে ফসল ঘরে তুলতে পারেন, তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। তার মধ্যে অগ্রাধিকার দিতে হবে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের কাজে। বাঁধ নির্মাণকাজে দুর্নীতি ও অনিয়ম করা হয় বলে অনেক অভিযোগ আছে। তদারকির অভাবে এমন হয়। মেরামতকাজে যেন কোনো গাফিলতির অভিযোগ না ওঠে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কৃষি বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ধান কাটার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। যদিও বেশির ভাগ ধান এখনো পাকেনি; তবু পরিস্থিতি সামাল দিতে ৭০-৮০ শতাংশ পাকলেই ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জে দ্রুত ধান কাটতে পাঁচ শতাধিক কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন এবং জেলার বাইরে থেকে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক আনা হয়েছে।
এদিকে গত শনিবার সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শন এবং কম্বাইন্ড হারভেস্টরে ধান কাটা উদ্বোধন করতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, হাওরের পুরো ধান নষ্ট হয়ে গেলে চালের দাম অবশ্যই বাড়বে। হাওর এলাকায় দ্রুত পাকবে—এমন ধান চাষাবাদের ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, হাওরের ফসল ঝুঁকিমুক্ত করতে নদী খনন, ডিসেম্বরের আগে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরুসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এসব উদ্যোগের সুফল যেন কৃষকেরা পান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃতি এখন আর সব সময় স্বাভাবিক আচরণ করে না। গ্রীষ্মের গরম এর মধ্যেই অসহনীয় হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিদ্যুৎ ঘাটতির খবরও
পাওয়া যাচ্ছে। দিনরাতের বেশির ভাগ সময়ই অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ থাকে না। শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথার সঙ্গে বিদ্যুতের এই না-থাকার খবর অসংগতিপূর্ণ। বৈশাখের প্রারম্ভেই ঝড়-বজ্রপাতের দাপটে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।
এখন হাওরাঞ্চলে সবচেয়ে বড় আশঙ্কা হলো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে। পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে হাওরাঞ্চলের কয়েক হাজার হেক্টর ফসল তলিয়ে যাওয়ার রেশ না কাটতেই শোনা যাচ্ছে আকস্মিক অকালবন্যার পদধ্বনি। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় জমির ফসল ঝুঁকিতে আছে। বাঁধগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ না নিলে কৃষকদের আতঙ্ক বাড়বে। দফায় দফায় কালবৈশাখী ও ভারী শিলাবৃষ্টির কারণেও হাওরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষকদের দিন কাটছে দারুণ উৎকণ্ঠায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার নদ-নদীর পানি বেড়ে এসব এলাকায় আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
হাওর এলাকায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ধান উৎপাদন হয় বলে জানা গেছে। কিন্তু এবার খেতের সব ধান এখনো পাকেনি। হঠাৎ পানি বেড়ে গেলে কিংবা বাঁধ ভেঙে গেলে ধান তলিয়ে যাবে। তাই কৃষক যাতে ফসল ঘরে তুলতে পারেন, তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। তার মধ্যে অগ্রাধিকার দিতে হবে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের কাজে। বাঁধ নির্মাণকাজে দুর্নীতি ও অনিয়ম করা হয় বলে অনেক অভিযোগ আছে। তদারকির অভাবে এমন হয়। মেরামতকাজে যেন কোনো গাফিলতির অভিযোগ না ওঠে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কৃষি বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ধান কাটার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। যদিও বেশির ভাগ ধান এখনো পাকেনি; তবু পরিস্থিতি সামাল দিতে ৭০-৮০ শতাংশ পাকলেই ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জে দ্রুত ধান কাটতে পাঁচ শতাধিক কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন এবং জেলার বাইরে থেকে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক আনা হয়েছে।
এদিকে গত শনিবার সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শন এবং কম্বাইন্ড হারভেস্টরে ধান কাটা উদ্বোধন করতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, হাওরের পুরো ধান নষ্ট হয়ে গেলে চালের দাম অবশ্যই বাড়বে। হাওর এলাকায় দ্রুত পাকবে—এমন ধান চাষাবাদের ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, হাওরের ফসল ঝুঁকিমুক্ত করতে নদী খনন, ডিসেম্বরের আগে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরুসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এসব উদ্যোগের সুফল যেন কৃষকেরা পান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে