ফিরোজ আহম্মেদ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর দিয়ে গেছে রেললাইন। এটি গোয়ালন্দ রেলগেট নামে পরিচিত। প্রতিনিয়তই এই রেললাইনের ওপর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকামুখী যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রেলগেট থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) ট্রাকের ওজন মাপার যন্ত্র অবস্থিত। ঢাকামুখী পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ফেরি পারাপার হতে ওয়ে স্কেল থেকে ওজন দিয়ে স্লিপ নিয়ে ঘাটে ঢুকতে হয়। ওয়ে স্কেলে পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ওজন দিতে লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মাঝেমধ্যে এই সারি প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা হয়। এ সময় রেললাইনের ওপর ট্রাকগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
গত শনিবার সকালে দেখা যায়, মহাসড়ক ঘেঁষে বসানো বিআইডব্লিউটিসির ওজন পরিমাপক যন্ত্রের সামনে পণ্যবাহী গাড়ির লম্বা সারি। দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ফেরিতে নদী পার হতে ভাড়ার জন্য এখান থেকে পণ্যের ওজনের স্লিপ সংগ্রহ করতে হয়। গাড়ির লাইন ওজন স্কেল থেকে পেছনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পার হয়ে গোয়ালন্দ রেলগেট ছাড়িয়ে গেছে। প্রায় ৫০০ মিটার লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে শতাধিক ট্রাক। আর যথারীতি পেছনের সারির গাড়িগুলো রেললাইনের ওপর থাকছে।
রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা যশোর থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চালক আলামিন হোসেন বলেন, ‘সামনের গাড়ি লক্ষ করে আমরা এগোচ্ছি। সামনের গাড়ি ধীরে ধীরে আগাচ্ছে, আমিও পিছু পিছু যাচ্ছি। ক্ষেত্রে আমাদের কী করার আছে? সামনের গাড়ি ব্রেক করলে আমাকেও করতে হয়। এ সময় যেখানে থাকি, সেখান থেকে সামনেও আগানো যায় না, আবার পেছনেও যাওয়া যায় না। তাই মাঝেমধ্যে রেললাইনের ওপরেই দাঁড়িয়ে পড়তে হয়।’
এ সময় রেলগেটে কর্তব্যরত কাউকেই পাওয়া যায় না। তাঁরা দাঁড়িয়ে থেকে গাড়িগুলোকে নির্দেশ দিলে হয়তো রেললাইনের ওপর কোনো গাড়ি থাকতে পারত না।’
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওয়ে স্কেল থেকে প্রতিদিন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের লম্বা সারি রেলগেট পার হয়ে যায়। কিছুদিন আগে এক মোটরসাইকেল আরোহী লাইন পার হতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। এর কিছুদিন আগে ট্রেন আসায় ব্যারিকেড ফেলেন গেটকিপার। সেখানে এসে ব্যারিকেডে ধাক্কা দেয় এক বাস। এতে ব্যারিকেডটি বাঁকা হয়ে যায়। এমন ছোটখাটো দুর্ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। তবে যেভাবে ট্রাকগুলো রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, তাতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রেলগেট এলাকার মুদিদোকানি ওমর ফারুক বলেন, ওয়ে স্কেল থেকে গাড়ির সারি রেলগেট ছাড়িয়ে এক কিলোমিটারের বেশি লম্বা হয়। দিনে অন্তত তিন-চারবার এমন লম্বা সারি তৈরি হয়। গাড়ির সারি যখন মহাসড়কে থাকে, তখন ফেরি থেকে আসা দক্ষিণাঞ্চলগামী গাড়ি এবং দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী গাড়ির তিন সারির দীর্ঘ জট তৈরি হয়। এ সময় পথচারীদের চলাচলও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। রেললাইনের ওপর অনেক গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলওয়ের গেটকিপার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দিনের বেলায় কয়েকবার করে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়। ট্রেন আসার সময় তাঁদের হুঁশ থাকে না। তাঁরা দ্রুত রেললাইনের উভয় পাশে লাল কাপড় টানিয়ে ট্রেনকে সতর্ক করে দেন। রেললাইনের ওপর থেকে গাড়িগুলোকে দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করতে হয়। তাঁরা উভয় দিক থেকে ব্যারিকেড ফেলে দেন। যখন ট্রেন থাকে না, তখন নিষেধ করার পরেও রেললাইনের ওপর ট্রাকগুলো রাখা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ওয়ে স্কেলটি অন্য জায়গায় স্থানান্তর করার জন্য জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। তবে রেললাইনের ওপর গাড়ি উঠে গেলে তা হাইওয়ে পুলিশ বা ট্রাফিক পুলিশের দেখার দায়িত্ব।
হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গাড়ির চাপ থাকলে গোয়ালন্দ মোড় গাড়ি থেকে ছেড়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। একবারে অনেক গাড়ি ছেড়ে দেওয়ায় স্কেলে গিয়ে সিরিয়াল পড়ে যায়। মাঝেমধ্যে সিরিয়াল রেলগেট পার হয়ে যায়। প্রতিটা গাড়ি সামনের গাড়ি ফলো করে। সামনের গাড়ি দাঁড়িয়ে গেলে অনেক সময় পেছনের গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। সেসময় গাড়ি রেললাইনের ওপরে চলে আসে। সব সময় এমনটা হয় না, মাঝেমধ্যে হয়।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর দিয়ে গেছে রেললাইন। এটি গোয়ালন্দ রেলগেট নামে পরিচিত। প্রতিনিয়তই এই রেললাইনের ওপর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকামুখী যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রেলগেট থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) ট্রাকের ওজন মাপার যন্ত্র অবস্থিত। ঢাকামুখী পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ফেরি পারাপার হতে ওয়ে স্কেল থেকে ওজন দিয়ে স্লিপ নিয়ে ঘাটে ঢুকতে হয়। ওয়ে স্কেলে পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ওজন দিতে লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মাঝেমধ্যে এই সারি প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা হয়। এ সময় রেললাইনের ওপর ট্রাকগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
গত শনিবার সকালে দেখা যায়, মহাসড়ক ঘেঁষে বসানো বিআইডব্লিউটিসির ওজন পরিমাপক যন্ত্রের সামনে পণ্যবাহী গাড়ির লম্বা সারি। দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ফেরিতে নদী পার হতে ভাড়ার জন্য এখান থেকে পণ্যের ওজনের স্লিপ সংগ্রহ করতে হয়। গাড়ির লাইন ওজন স্কেল থেকে পেছনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পার হয়ে গোয়ালন্দ রেলগেট ছাড়িয়ে গেছে। প্রায় ৫০০ মিটার লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে শতাধিক ট্রাক। আর যথারীতি পেছনের সারির গাড়িগুলো রেললাইনের ওপর থাকছে।
রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা যশোর থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চালক আলামিন হোসেন বলেন, ‘সামনের গাড়ি লক্ষ করে আমরা এগোচ্ছি। সামনের গাড়ি ধীরে ধীরে আগাচ্ছে, আমিও পিছু পিছু যাচ্ছি। ক্ষেত্রে আমাদের কী করার আছে? সামনের গাড়ি ব্রেক করলে আমাকেও করতে হয়। এ সময় যেখানে থাকি, সেখান থেকে সামনেও আগানো যায় না, আবার পেছনেও যাওয়া যায় না। তাই মাঝেমধ্যে রেললাইনের ওপরেই দাঁড়িয়ে পড়তে হয়।’
এ সময় রেলগেটে কর্তব্যরত কাউকেই পাওয়া যায় না। তাঁরা দাঁড়িয়ে থেকে গাড়িগুলোকে নির্দেশ দিলে হয়তো রেললাইনের ওপর কোনো গাড়ি থাকতে পারত না।’
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওয়ে স্কেল থেকে প্রতিদিন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের লম্বা সারি রেলগেট পার হয়ে যায়। কিছুদিন আগে এক মোটরসাইকেল আরোহী লাইন পার হতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। এর কিছুদিন আগে ট্রেন আসায় ব্যারিকেড ফেলেন গেটকিপার। সেখানে এসে ব্যারিকেডে ধাক্কা দেয় এক বাস। এতে ব্যারিকেডটি বাঁকা হয়ে যায়। এমন ছোটখাটো দুর্ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। তবে যেভাবে ট্রাকগুলো রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, তাতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রেলগেট এলাকার মুদিদোকানি ওমর ফারুক বলেন, ওয়ে স্কেল থেকে গাড়ির সারি রেলগেট ছাড়িয়ে এক কিলোমিটারের বেশি লম্বা হয়। দিনে অন্তত তিন-চারবার এমন লম্বা সারি তৈরি হয়। গাড়ির সারি যখন মহাসড়কে থাকে, তখন ফেরি থেকে আসা দক্ষিণাঞ্চলগামী গাড়ি এবং দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী গাড়ির তিন সারির দীর্ঘ জট তৈরি হয়। এ সময় পথচারীদের চলাচলও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। রেললাইনের ওপর অনেক গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলওয়ের গেটকিপার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দিনের বেলায় কয়েকবার করে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়। ট্রেন আসার সময় তাঁদের হুঁশ থাকে না। তাঁরা দ্রুত রেললাইনের উভয় পাশে লাল কাপড় টানিয়ে ট্রেনকে সতর্ক করে দেন। রেললাইনের ওপর থেকে গাড়িগুলোকে দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করতে হয়। তাঁরা উভয় দিক থেকে ব্যারিকেড ফেলে দেন। যখন ট্রেন থাকে না, তখন নিষেধ করার পরেও রেললাইনের ওপর ট্রাকগুলো রাখা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ওয়ে স্কেলটি অন্য জায়গায় স্থানান্তর করার জন্য জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। তবে রেললাইনের ওপর গাড়ি উঠে গেলে তা হাইওয়ে পুলিশ বা ট্রাফিক পুলিশের দেখার দায়িত্ব।
হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গাড়ির চাপ থাকলে গোয়ালন্দ মোড় গাড়ি থেকে ছেড়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। একবারে অনেক গাড়ি ছেড়ে দেওয়ায় স্কেলে গিয়ে সিরিয়াল পড়ে যায়। মাঝেমধ্যে সিরিয়াল রেলগেট পার হয়ে যায়। প্রতিটা গাড়ি সামনের গাড়ি ফলো করে। সামনের গাড়ি দাঁড়িয়ে গেলে অনেক সময় পেছনের গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। সেসময় গাড়ি রেললাইনের ওপরে চলে আসে। সব সময় এমনটা হয় না, মাঝেমধ্যে হয়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪