পাঠাগারে ফের প্রাণচাঞ্চল্য

ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮: ৫৩

হঠাৎ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার তিন বছর পর পুনরায় চালু হয়েছে মুক্তাগাছা পৌর পাঠাগার। এতে খুশি স্থানীয় পাঠকেরা। এ ছাড়া বিভিন্ন বয়সী মানুষের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার।

মুক্তাগাছা পৌর পাঠাগারটি তত্ত্বাবধানের অভাবে ২০২১ সালে বন্ধ হয়ে গেলে বিপাকে পড়েন লেখক, পাঠকসহ শিক্ষার্থীরা। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে গত মাসে আবার তা চালু হয়। এখন স্থানীয় কবি-লেখকসহ সাধারণ মানুষ এতে আসতে শুরু করেছেন।
মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ ঘোষ জানান, ২০২১ সালে পাঠাগারটি বন্ধ করে দিয়ে একে গুদামে পরিণত করা হয়। নজরুল ইসলাম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে গণসংবর্ধনা দেন মুক্তাগাছার মানুষ। সেখানে তাঁর দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি পৌর পাঠাগারটি চালু করা হয়।

স্থানীয় সাংবাদিক ও লেখক এম ইদ্রিস আলী বলেন, পাঠাগারটি ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে বই পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। এতে ৮ হাজারের বেশি বই ও পুরোনো সাময়িকী রয়েছে। একে কেন্দ্র করে একসময় মুক্তাগাছায় শিল্প-সাহিত্যের আড্ডা হতো। পাঠাগারটি আবারও চালু হওয়ায় পড়াশোনার পাশাপাশি একটু ভালো সময় কাটানো যাচ্ছে। পাঠাগারের কার্যক্রম বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে।

অপরদিকে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হলে অবস্থিত বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। দৈনিক ১০০ থেকে ১২০ জন পাঠক হাজির হন। সম্প্রতি পাঠাগারটিতে গিয়ে কথা হয় ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করা আতাউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে এসে বই এবং পত্রিকা পড়ি। পুরোনো পত্রিকাগুলো সংরক্ষণ করে রাখা হলে ভালো হতো। এ ছাড়া আমাদের মতো বেশির ভাগ মানুষের কাজের ব্যস্ততা রয়েছে। তাই পাঠাগারটি যদি রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকত, তাহলে মনে হয় ভালো হতো।’

আনন্দ মোহন সরকারি কলেজ থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ওমর ফারুক চাকরির জন্য চেষ্টা করছেন। তিনি তিন বছর ধরে বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক। ওমর বলেন, ‘এখানে এসে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে পারি। প্রয়োজনীয় বই পাওয়া যায়।’

মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী কাউসার জাহান স্মৃতি বলেন, ‘এখানে এসে বেশি পড়া হয় গল্প-উপন্যাস। আমাদের অনেকের বই কিনে পড়ার সুযোগ হয় না। তাই পড়ার জন্য মন চাইলেই এখানে চলে আসি।’

কথা হলে গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক আব্বাছ আলী বলেন, ‘সরকারের নিয়ম অনুযায়ী লাইব্রেরি চলে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে। তারপরও চেষ্টা করি পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য। ময়মনসিংহে ৩৫টির মতো নিবন্ধনকৃত পাঠাগার আছে, সেগুলোও আমাদের খেয়াল রাখতে হয়। আমাদের ২১টি পদ থাকলেও স্টাফ রয়েছেন ১১ জন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণে ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত