জাফলংয়ের শিল পাটার কদর কমেনি আজও

মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ১০
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ১৩

আধুনিক যুগেও কমেনি জাফলংয়ের শিল পাটার কদর। এখনো প্রায় প্রতিটি ঘরে মসলা বাঁটতে ব্যবহার হচ্ছে শিল পাটা। পাথরের রাজ্যের শিল পাটার কারিগরেরাও তৈরি করে চলেছেন নানা ধরনের নকশা করা এসব শিলপাটা।

সিলেটের অন্যতম পাথর রাজ্য গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং। পিয়াইন নদীর তীরে সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় রয়েছে শিল পাটার কারখানা। এসব কারখানায় কারিগরদের নিপুণ হাতে তৈরি হয় মসলা বাঁটার কাজে আদি যুগ থেকে ব্যবহৃত শিল পাটা।

একটা সময় মসলা বাটার অন্যতম উপায় ছিল শিল পাটা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকতা যুগে মসলা বাঁটতে চলে এসেছে বিভিন্ন যন্ত্র। কিন্তু তবু কমেনি এই শিলপাটার কদর। প্রকৃত রন্ধনশিল্পীরা মসলা বাঁটায় এখনো ভরসা করেন শিলপাটায়।

জাফলং এলাকা ঘুরে কথা হয় শিল পাটার কারিগর কুকিল মিয়া, জয়নাল আবেদীনসহ ১০-১২ জনের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, আধুনিক যন্ত্রের প্রভাবে আমাদের পেশাটি বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছিল। তবে শিল পাটার ব্যবসা আগের তুলনায় বেড়েছে। যে হারে শিল পাটার কদর বাড়ছে তাতে আমরাও স্বচ্ছন্দে চলতে পারব।

দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, আকারভেদে শিল পাটার দাম ২০০-৮০০ টাকা। পাথর সংকটের কারণে দাম কিছুটা বেশি। তারপরও শিল পাটার দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালেই রয়েছে বলে জানান কারিগরেরা।

সিলেটের বাসিন্দা সামির মাহমুদ বলেন, যন্ত্রের সাহায্যে তৈরি মসলায় প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না। তাই মসলার তাজা স্বাদ গ্রহণের জন্য নিজেই পরিবারের জন্য একটি শিল পাটা ৫০০ টাকায় কিনেছি। জাফলংয়ের শিল পাটার গুণগত মান ভালো। মসলা তৈরিতে পাটা থেকে কোনো বালু উঠে আসে না।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত