Ajker Patrika

যানজট-জলজটে দুর্ভোগ

সম্পাদকীয়
যানজট-জলজটে দুর্ভোগ

শনিবার উদ্বোধন হলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। বছরে ১ কোটি ৬০ লাখ বাড়তি যাত্রীসেবার লক্ষ্য নিয়ে এই টার্মিনাল চালু হচ্ছে। পুরো বিমানবন্দর এলাকা বদলে যাবে। সামনের রাস্তাও হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন। এর আগেই চালু হয়েছে উড়ালসড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল। চোখধাঁধানো সব উন্নয়ন প্রকল্প। নতুন এক গতিশীল বাংলাদেশের ছবি যেমন একদিকে দেখা যাচ্ছে, অন্য দিকে তেমনি এক স্থবির, অচল বাংলাদেশের ছবিও চোখের আড়ালে যাচ্ছে না।

বুধবার সকাল থেকে মৌসুমি বায়ু ও লঘুচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে থেমে থেমে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাতের কারণে ঢাকা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ শহরের অনেক জায়গা পানিতে ডুবে যাওয়ায় মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে, কর্মস্থলে আসা-যাওয়ায় ভোগান্তির শেষ ছিল না অসংখ্য কর্মজীবী মানুষের।

রাজধানীতে যানজট এখন নিয়মিত ঘটনা। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা। অলিগলিতে পানি জমায় পথচারীরা পড়েন ভোগান্তিতে। টানা বৃষ্টিতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বের হন কাজের সন্ধানে। কিন্তু কাজ কি আর সবাই পান?

আজকের পত্রিকায় শনিবার প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, শুধু রাজধানীতে নয়, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল-জামগড়ায় হাঁটুপানি জমে যাওয়ায় সেই পানি মাড়িয়েই জরুরি কাজ সারতে মারাত্মক দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের। বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে জামগড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ডুবে যাওয়ায় আশপাশের বেশির ভাগ আড়ত-দোকান বন্ধ থাকায় স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও পরিবার-পরিজন নিয়ে সংকটে আছেন।  

স্থানীয় মানুষজন বলছেন, ‘কয়েক বছর ধরে একটু ভারী বৃষ্টি হলেই বাইপাইল ডুবে যায়।’ এই যে বৃষ্টি হলেই সড়ক ডুবে যায়, এর কি 
কোনো প্রতিকার নেই? কর্তৃপক্ষের নাকে-কানে পানি ঢোকানোর কি কোনো উপায় নেই?

এত দিন আমরা শুনে এসেছি দেশে বসবাসের সেরা শহর হিসেবে রাজশাহীর নাম। রাজশাহী অনেক গোছানো শহর, দূষণমুক্ত, পরিচ্ছন্ন শহর। কিন্তু কয় দিনের টানা বৃষ্টিতে রাজশাহী শহরেও পানি জমে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে শহরটির পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিয়ে।

নগরজুড়ে পানি জমে যাওয়ার কারণ হিসেবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেছেন, রাস্তাঘাটে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখার কারণে পানি স্বাভাবিকভাবে নালায় নেমে যেতে পারেনি। এ ছাড়া পদ্মা নদীর সঙ্গে বড় বড় যে নালা সংযুক্ত আছে, সেগুলোর স্লুইসগেট বন্ধ ছিল। শহরের বর্জ্যপানি যেন নদীতে না নামে, সে জন্যই এগুলো বন্ধ রাখা ছিল। ফলে সেদিক দিয়ে বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি নামতে পারেনি। এ ছাড়া বড় বড় ৮টি নালা যে খালে মিশে বারনই নদে নেমে যায়, সেই খালেও পাট জাগ দেওয়া। ফলে পানির স্বাভাবিক গতি হ্রাস পেয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

জলাবদ্ধতার কারণ যেহেতু জানা, সেহেতু সেগুলো দূর করতে কর্তৃপক্ষ জরুরিভাবে উদ্যোগী হবে বলে আশা করা কি অন্যায়?

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত