কোরআনে চিন্তা ও গবেষণার তাগিদ

ড. মো. শাহজাহান কবীর
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১১: ২০

বিবেক-বুদ্ধি, ন্যায়-অন্যায় ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বোঝার ক্ষমতা ‍দিয়েই আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তাই মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের সর্বোত্তম কাজ হলো আল্লাহ ও তাঁর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করা। কেননা এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর পরিচয় লাভ করতে পারে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি কি দেখো না, আল্লাহ রাতকে দিনে এবং দিনকে রাতে পরিণত করেন? তিনি চন্দ্র-সূর্যকে করেছেন নিয়মাধীন। প্রতিটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত বিচরণ করে। তোমরা যা করো, আল্লাহ সে সম্পর্কে অবগত।’ (সুরা লুকমান: ২৯)

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি নিজেরা হৃদয় দিয়ে ভেবে দেখে না? আল্লাহ আকাশসমূহ, পৃথিবী ও এ দুইয়ের মধ্যখানের সবকিছু সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে এবং এক নির্দিষ্ট কালের জন্য।’ (সুরা রুম: ৮)

চিন্তা-গবেষণাকে সাফল্যের মানদণ্ড আখ্যা দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তারাই সফল, যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহর স্মরণ করে এবং আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে এবং বলে—হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি এসব অনর্থক সৃষ্টি করেননি। আপনি পবিত্র, আপনি আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৯১)

জীবজন্তুর জীবনপ্রণালি নিয়ে গবেষণার তাগিদ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তবে কি তারা উটের দিকে দৃষ্টিপাত করে না, কীভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? এবং আকাশের দিকে, কীভাবে তাকে ঊর্ধ্বে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে? এবং পর্বতমালার দিকে, কীভাবে তাকে স্থাপন করা হয়েছে? এবং ভূতলের দিকে, কীভাবে তাকে বিস্তৃত করা হয়েছে? (সুরা গাশিয়া: ১৭-২০)

অভ্যস্ত হওয়ার পরও আল্লাহ এসব বিষয়ে দৃষ্টিপাত করতে বলার উদ্দেশ্য হলো, তারা যেন এসব বিষয় নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা ও গবেষণা করে।

লেখক: বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত