Ajker Patrika

অনাবৃষ্টি বাড়াবে আমন চাষে খরচ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২২, ১২: ১০
অনাবৃষ্টি বাড়াবে আমন চাষে খরচ

শ্রাবণেও দেখা নেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির। এরই মধ্যে আমনের চারার বয়স পেরিয়ে গেছে। দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে আমনের জমি শুকিয়ে গেছে। পানি না থাকায় কৃষকেরা সেচযন্ত্র দিয়ে জমি তৈরি করছেন। কেউবা সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা করেছেন। এতে আমন চাষে খরচ বাড়বে বলে মনে করছে জয়পুরহাটের কৃষক ও কৃষি বিভাগ। জেলার কৃষকেরা মোট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ জমিতে আমন রোপণ করেছেন বলে জানা গেছে।

সদর উপজেলার কড়ই গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘খরায় পুড়ছে মাঠ। পুড়ছে আমনের বীজতলা। কারণ পুকুর থেকে পানি তুলতে দিচ্ছে না মাছচাষিরা। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি না হলে অন্য দশজন কৃষক যা করবেন, আমিও তা-ই করব।’

সদর উপজেলার কোমরগ্রাম পশ্চিমপাড়ার কৃষক আব্দুল ওয়াজেদ বলেন, ধানের চারা রোপণের বয়স পেরিয়ে গেছে। বয়স হয়েছে ৩০-৩৫ দিন। অথচ ২০-২৫ দিন বয়সের চারা লাগানোই উত্তম। বৃষ্টি হলে এত দিনে জমি লাগানো প্রায় শেষ হয়ে যেত। ধানের গাছ শ্যামল বর্ণ ধারণ করত।

একই গ্রামের কৃষক আব্দুল বাসার বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে ধানের চারা এবং গছি মরতে বসেছে। চারা গাছ বাদামি বর্ণ ধারণ করেছে। এ অবস্থায় ২০ টাকা শতক হারে প্রতি শতক ধানের বীজতলা সেচ দিয়ে কোনো রকমে সেগুলো বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। মনে হচ্ছে ধানের চারা লাগানোর জন্য বিঘাপ্রতি ৩০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ করে জমিতে সেচ দিতে হবে।’

সদর উপজেলার রাংতাগুয়াবাড়ি গ্রামের কৃষক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি নিজের সেচযন্ত্র চালু করে ছয় বিঘা জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধানের চারা রোপণ করেছি। অনেক কৃষক ৪০০ টাকা শতক হারে আমার কাছ থেকে পানি কিনে নিয়ে জমি চাষ ও ধানের চারা রোপণ করেছেন।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল রানা জানান, জয়পুরহাট জেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে হাইব্রিড, উফশী এবং স্থানীয় জাতের ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০ হেক্টর আমনের চারা লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার কৃষকেরা মোট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ জমিতে রোপণ করতে পেরেছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহে এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদাহে আমনের জমি শুকিয়ে গেছে। ফলে আমন আবাদ তেমন শুরু হয়নি। যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে সম্পূরক সেচব্যবস্থায় জমিতে পানি দিতে হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে জেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। প্রকৃতিতে যে অবস্থা বিরাজ করছে, তাতে এ মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও কম। তাই বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত কৃষক ভাইদের সম্পূরক সেচের মাধ্যম আমনের চারা লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান হওয়া ইরানি নারী এখন পানামার জঙ্গলে

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত