জয়পুরহাট প্রতিনিধি
শ্রাবণেও দেখা নেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির। এরই মধ্যে আমনের চারার বয়স পেরিয়ে গেছে। দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে আমনের জমি শুকিয়ে গেছে। পানি না থাকায় কৃষকেরা সেচযন্ত্র দিয়ে জমি তৈরি করছেন। কেউবা সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা করেছেন। এতে আমন চাষে খরচ বাড়বে বলে মনে করছে জয়পুরহাটের কৃষক ও কৃষি বিভাগ। জেলার কৃষকেরা মোট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ জমিতে আমন রোপণ করেছেন বলে জানা গেছে।
সদর উপজেলার কড়ই গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘খরায় পুড়ছে মাঠ। পুড়ছে আমনের বীজতলা। কারণ পুকুর থেকে পানি তুলতে দিচ্ছে না মাছচাষিরা। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি না হলে অন্য দশজন কৃষক যা করবেন, আমিও তা-ই করব।’
সদর উপজেলার কোমরগ্রাম পশ্চিমপাড়ার কৃষক আব্দুল ওয়াজেদ বলেন, ধানের চারা রোপণের বয়স পেরিয়ে গেছে। বয়স হয়েছে ৩০-৩৫ দিন। অথচ ২০-২৫ দিন বয়সের চারা লাগানোই উত্তম। বৃষ্টি হলে এত দিনে জমি লাগানো প্রায় শেষ হয়ে যেত। ধানের গাছ শ্যামল বর্ণ ধারণ করত।
একই গ্রামের কৃষক আব্দুল বাসার বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে ধানের চারা এবং গছি মরতে বসেছে। চারা গাছ বাদামি বর্ণ ধারণ করেছে। এ অবস্থায় ২০ টাকা শতক হারে প্রতি শতক ধানের বীজতলা সেচ দিয়ে কোনো রকমে সেগুলো বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। মনে হচ্ছে ধানের চারা লাগানোর জন্য বিঘাপ্রতি ৩০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ করে জমিতে সেচ দিতে হবে।’
সদর উপজেলার রাংতাগুয়াবাড়ি গ্রামের কৃষক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি নিজের সেচযন্ত্র চালু করে ছয় বিঘা জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধানের চারা রোপণ করেছি। অনেক কৃষক ৪০০ টাকা শতক হারে আমার কাছ থেকে পানি কিনে নিয়ে জমি চাষ ও ধানের চারা রোপণ করেছেন।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল রানা জানান, জয়পুরহাট জেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে হাইব্রিড, উফশী এবং স্থানীয় জাতের ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০ হেক্টর আমনের চারা লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার কৃষকেরা মোট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ জমিতে রোপণ করতে পেরেছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহে এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদাহে আমনের জমি শুকিয়ে গেছে। ফলে আমন আবাদ তেমন শুরু হয়নি। যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে সম্পূরক সেচব্যবস্থায় জমিতে পানি দিতে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে জেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। প্রকৃতিতে যে অবস্থা বিরাজ করছে, তাতে এ মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও কম। তাই বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত কৃষক ভাইদের সম্পূরক সেচের মাধ্যম আমনের চারা লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
শ্রাবণেও দেখা নেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির। এরই মধ্যে আমনের চারার বয়স পেরিয়ে গেছে। দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে আমনের জমি শুকিয়ে গেছে। পানি না থাকায় কৃষকেরা সেচযন্ত্র দিয়ে জমি তৈরি করছেন। কেউবা সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা করেছেন। এতে আমন চাষে খরচ বাড়বে বলে মনে করছে জয়পুরহাটের কৃষক ও কৃষি বিভাগ। জেলার কৃষকেরা মোট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ জমিতে আমন রোপণ করেছেন বলে জানা গেছে।
সদর উপজেলার কড়ই গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘খরায় পুড়ছে মাঠ। পুড়ছে আমনের বীজতলা। কারণ পুকুর থেকে পানি তুলতে দিচ্ছে না মাছচাষিরা। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি না হলে অন্য দশজন কৃষক যা করবেন, আমিও তা-ই করব।’
সদর উপজেলার কোমরগ্রাম পশ্চিমপাড়ার কৃষক আব্দুল ওয়াজেদ বলেন, ধানের চারা রোপণের বয়স পেরিয়ে গেছে। বয়স হয়েছে ৩০-৩৫ দিন। অথচ ২০-২৫ দিন বয়সের চারা লাগানোই উত্তম। বৃষ্টি হলে এত দিনে জমি লাগানো প্রায় শেষ হয়ে যেত। ধানের গাছ শ্যামল বর্ণ ধারণ করত।
একই গ্রামের কৃষক আব্দুল বাসার বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে ধানের চারা এবং গছি মরতে বসেছে। চারা গাছ বাদামি বর্ণ ধারণ করেছে। এ অবস্থায় ২০ টাকা শতক হারে প্রতি শতক ধানের বীজতলা সেচ দিয়ে কোনো রকমে সেগুলো বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। মনে হচ্ছে ধানের চারা লাগানোর জন্য বিঘাপ্রতি ৩০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ করে জমিতে সেচ দিতে হবে।’
সদর উপজেলার রাংতাগুয়াবাড়ি গ্রামের কৃষক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি নিজের সেচযন্ত্র চালু করে ছয় বিঘা জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধানের চারা রোপণ করেছি। অনেক কৃষক ৪০০ টাকা শতক হারে আমার কাছ থেকে পানি কিনে নিয়ে জমি চাষ ও ধানের চারা রোপণ করেছেন।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল রানা জানান, জয়পুরহাট জেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে হাইব্রিড, উফশী এবং স্থানীয় জাতের ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০ হেক্টর আমনের চারা লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার কৃষকেরা মোট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ জমিতে রোপণ করতে পেরেছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহে এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদাহে আমনের জমি শুকিয়ে গেছে। ফলে আমন আবাদ তেমন শুরু হয়নি। যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে সম্পূরক সেচব্যবস্থায় জমিতে পানি দিতে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে জেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। প্রকৃতিতে যে অবস্থা বিরাজ করছে, তাতে এ মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও কম। তাই বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত কৃষক ভাইদের সম্পূরক সেচের মাধ্যম আমনের চারা লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪