Ajker Patrika

৫ নম্বর ঘাটে ১০০ মিটার বিলীন, ৭ নম্বরে ভাঙন

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
৫ নম্বর ঘাটে ১০০ মিটার বিলীন, ৭ নম্বরে ভাঙন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া এ ভাঙনে ঘাট এলাকার নদীপাড়ের প্রায় ১০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙনের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৫ নম্বর ফেরিঘাট। এই ঘাট কবে চালু হবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এ ছাড়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে ৩, ৪ ও ৬ নম্বর ফেরিঘাট। ভাঙন ঠেকাতে ঘাট এলাকায় ফেলা হচ্ছে বালুভর্তি জিওব্যাগ।

গতকাল সোমবার সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভাঙনকবলিত ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের র‍্যাম ক্রেন দিয়ে তুলে পাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে পন্টুনটি যাতে ভেসে যেতে না পারে সে জন্য একটি জাহাজ দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।

এ ঘাটের নদীর পাড়ের প্রায় ১০০ মিটার এলাকা আড়াআড়িভাবে ভেঙে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘাটের সংযোগ সড়ক। ভাঙন ঠেকাতে ফেলা হয়েছে বালুভর্তি জিও ব্যাগ। ভাঙনের কারণে ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অন্তত ১০টি দোকান ও হোটেল সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর মোল্লা বলেন, আমাদের বাড়ি ছিল লঞ্চঘাটের পশ্চিমে ঢল্লাপাড়ায়। ৪ বছর আগে ভিটেমাটি ভেঙে ৪ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় আশ্রয় নিয়েছি। এখানে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভাঙন দেখা দেয়। গত ৪ বছর ধরে শুনে আসছি নদী শাসন করা হবে; কিন্তু সে কাজের কোনো অগ্রগতি দেখছি না।’

আলমগীর মোল্লা আরও বলেন, ‘আমাদের রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য নদীশাসনের জন্য কার্যকর কোনো ভূমিকা পালন করছেন না। যখন ভাঙন শুরু হয় তখন আশ্বাস পাই নদীশাসন করা হবে; কিন্তু পরে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। ১০-১৫ কেজি চাল দিয়েই তারা দায়িত্ব শেষ করে দেন।’

আলমগীর মোল্লা আরও বলেন, ‘তাই আমি দ্রুত নদীশাসনসহ ঘাট এলাকার বেকার হয়ে পড়া মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার খাবার হোটেল ব্যবসায়ী মো. আক্কাস মণ্ডল বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন এই ঘাটে হোটেল ব্যবসা করে আসছি। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে হঠাৎ ভাঙন চোখে পড়ে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাঙনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে তার হোটেলসহ আরও অন্তত ১০টি দোকান নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম জানান, তীব্র স্রোত থাকায় সবকটি ঘাট ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে। ৫ নম্বর ফেরিঘাট গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। পানি না কমা পর্যন্ত ৫ নম্বর ফেরিঘাট চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব ব্যস্ততম এই ঘাটটি চালু করতে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত