নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর
যশোর শহরের ঘোপ জেল সড়কের আলোচিত মাতৃসেবা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তৃতীয়বারের মতো বন্ধ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ছাড়া বন্ধন হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত রোববার সন্ধ্যায় যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসের নেতৃত্বে মাতৃসেবা ক্লিনিক ও বন্ধন হাসপাতালে এ অভিযান চালানো হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর সত্যতা পাওয়ার পর নিবন্ধন বাতিল করা হয় যশোর শহরের ঘোপ জেল সড়কের নূরমহল ক্লিনিকের। একই সঙ্গে সব ক্লিনিকটির সব কার্যক্রমও বন্ধের নির্দেশ দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, কিন্তু চিকিৎসক সংকটসহ সব ধরনের ত্রুটি রেখেই নাম বদলে ফেলা হয় নূরমহল ক্লিনিকের। এরপর ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে মাতৃসেবা ক্লিনিক নামে চলছিল ব্যক্তি মালিকানাধীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।
রোববার অভিযানের সময় সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল, চিকিৎসা কর্মকর্তা নাসিম ফেরদাউস, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
যশোর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাতৃসেবা ক্লিনিক স্থাপন করে অনুমোদন পাওয়ার পর মালিকপক্ষ স্বাস্থ্য নীতিমালা উপেক্ষা করে আসছিল। সেখানে রোগীর অস্ত্রোপচার, অজ্ঞান করা, নানা রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা সব কাজই একা করতেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোজাম্মেল হক। সম্প্রতি ডা. মোজাম্মেল হকের ভুল অস্ত্রোপচারে ঝিকরগাছার পানিসারা ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামের এক নারী মারা যান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ছাড়া গত ৪ জুন বাঘারপাড়া উপজেলার ভদ্রডাংগা গ্রামের এক কিশোরকে অপচিকিৎসার অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তার মা। এতে মাতৃসেবার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোজাম্মেল ও সেলিম হোসেনকে আসামি করা হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি মাতৃসেবা ক্লিনিক সিলগালা করেন সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস। আলোচিত মাতৃসেবা ক্লিনিকের আগে নাম ছিলো নূরমহল ক্লিনিক। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ডা. মোজাম্মেল হকের ভুল অস্ত্রোপচারে এক নারী মারা যান। সে ঘটনায় তৎকালীন সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার রায়ের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়। কমিটির প্রধান ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এমদাদুল হক রাজু।
তদন্ত কমিটি ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু ও সেখানে নানা অনিয়মের সত্যতা পান। তদন্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠিয়ে দেন সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার রায়। তদন্ত প্রতিবেদনে নূর মহল ক্লিনিকের নিবন্ধন বাতিল ও রোগী মৃত্যুর ঘটনায় ডা. মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। ২ নভেম্বর নূর মহলের নিবন্ধন বাতিলের চিঠি আসে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে। পরে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর সাইনবোর্ড পাল্টে নূরমহলের নাম দেওয়া হয় মাতৃসেবা ক্লিনিক।
যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘১০ শয্যার প্রতিটি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে রোগী প্রতি মেজের জায়গা থাকতে হবে ন্যূনতম ৮০ বর্গফুট। জরুরি বিভাগ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঝুঁকিমুক্ত অপারেশন থিয়েটার, চিকিৎসার জন্য যন্ত্রপাতি, ওষুধ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি থাকতে হবে। শর্তানুযায়ী তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ডিপ্লোমাধারী দুজন সেবিকা, তিনজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও হাসপাতালের জন্য ৮০০ বর্গফুট জায়গা থাকা বাধ্যতামূলক।’
ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘মাতৃসেবা ক্লিনিকে সর্বশেষ রোগী মৃত্যুর ঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। তখন অপারেশন থিয়েটার এবং প্যাথলজি বিভাগে নানা অনিয়ম চোখে পড়ে। এ ছাড়া ক্লিনিকটির হালনাগাদ নিবন্ধন নেই। পরদিন ক্লিনিকটি বন্ধের আদেশের চিঠি প্রতিষ্ঠান মালিকের কাছে পাঠানো হয়। এরপরও সেখানে কার্যক্রম চলছিল। এসবের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে মাতৃসেবা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।’
যশোরের সিভিল সার্জন আরও বলেন, ‘বন্ধন হাসপাতালে গত ২৮ মে যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকার এক নারীর টনসিলের অস্ত্রোপচারের সময় মারা যান। রোগীর অস্ত্রোপচার করেন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ শাহিন রেজা। অজ্ঞানের চিকিৎসক ছিলেন ডা. তন্ময় কুমার বিশ্বাস। মৃত্যু নিয়ে নাজনিনের পরিবারের অভিযোগ ছিল। যে কারণে বন্ধন হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে কাইকে পাওয়া যায়নি। এ জন্য সেখানকার অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।’
যশোর শহরের ঘোপ জেল সড়কের আলোচিত মাতৃসেবা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তৃতীয়বারের মতো বন্ধ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ছাড়া বন্ধন হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত রোববার সন্ধ্যায় যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসের নেতৃত্বে মাতৃসেবা ক্লিনিক ও বন্ধন হাসপাতালে এ অভিযান চালানো হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর সত্যতা পাওয়ার পর নিবন্ধন বাতিল করা হয় যশোর শহরের ঘোপ জেল সড়কের নূরমহল ক্লিনিকের। একই সঙ্গে সব ক্লিনিকটির সব কার্যক্রমও বন্ধের নির্দেশ দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, কিন্তু চিকিৎসক সংকটসহ সব ধরনের ত্রুটি রেখেই নাম বদলে ফেলা হয় নূরমহল ক্লিনিকের। এরপর ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে মাতৃসেবা ক্লিনিক নামে চলছিল ব্যক্তি মালিকানাধীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।
রোববার অভিযানের সময় সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল, চিকিৎসা কর্মকর্তা নাসিম ফেরদাউস, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
যশোর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাতৃসেবা ক্লিনিক স্থাপন করে অনুমোদন পাওয়ার পর মালিকপক্ষ স্বাস্থ্য নীতিমালা উপেক্ষা করে আসছিল। সেখানে রোগীর অস্ত্রোপচার, অজ্ঞান করা, নানা রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা সব কাজই একা করতেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোজাম্মেল হক। সম্প্রতি ডা. মোজাম্মেল হকের ভুল অস্ত্রোপচারে ঝিকরগাছার পানিসারা ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামের এক নারী মারা যান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ছাড়া গত ৪ জুন বাঘারপাড়া উপজেলার ভদ্রডাংগা গ্রামের এক কিশোরকে অপচিকিৎসার অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তার মা। এতে মাতৃসেবার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোজাম্মেল ও সেলিম হোসেনকে আসামি করা হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি মাতৃসেবা ক্লিনিক সিলগালা করেন সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস। আলোচিত মাতৃসেবা ক্লিনিকের আগে নাম ছিলো নূরমহল ক্লিনিক। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ডা. মোজাম্মেল হকের ভুল অস্ত্রোপচারে এক নারী মারা যান। সে ঘটনায় তৎকালীন সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার রায়ের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়। কমিটির প্রধান ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এমদাদুল হক রাজু।
তদন্ত কমিটি ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু ও সেখানে নানা অনিয়মের সত্যতা পান। তদন্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠিয়ে দেন সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার রায়। তদন্ত প্রতিবেদনে নূর মহল ক্লিনিকের নিবন্ধন বাতিল ও রোগী মৃত্যুর ঘটনায় ডা. মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। ২ নভেম্বর নূর মহলের নিবন্ধন বাতিলের চিঠি আসে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে। পরে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর সাইনবোর্ড পাল্টে নূরমহলের নাম দেওয়া হয় মাতৃসেবা ক্লিনিক।
যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘১০ শয্যার প্রতিটি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে রোগী প্রতি মেজের জায়গা থাকতে হবে ন্যূনতম ৮০ বর্গফুট। জরুরি বিভাগ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঝুঁকিমুক্ত অপারেশন থিয়েটার, চিকিৎসার জন্য যন্ত্রপাতি, ওষুধ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি থাকতে হবে। শর্তানুযায়ী তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ডিপ্লোমাধারী দুজন সেবিকা, তিনজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও হাসপাতালের জন্য ৮০০ বর্গফুট জায়গা থাকা বাধ্যতামূলক।’
ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘মাতৃসেবা ক্লিনিকে সর্বশেষ রোগী মৃত্যুর ঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। তখন অপারেশন থিয়েটার এবং প্যাথলজি বিভাগে নানা অনিয়ম চোখে পড়ে। এ ছাড়া ক্লিনিকটির হালনাগাদ নিবন্ধন নেই। পরদিন ক্লিনিকটি বন্ধের আদেশের চিঠি প্রতিষ্ঠান মালিকের কাছে পাঠানো হয়। এরপরও সেখানে কার্যক্রম চলছিল। এসবের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে মাতৃসেবা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।’
যশোরের সিভিল সার্জন আরও বলেন, ‘বন্ধন হাসপাতালে গত ২৮ মে যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকার এক নারীর টনসিলের অস্ত্রোপচারের সময় মারা যান। রোগীর অস্ত্রোপচার করেন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ শাহিন রেজা। অজ্ঞানের চিকিৎসক ছিলেন ডা. তন্ময় কুমার বিশ্বাস। মৃত্যু নিয়ে নাজনিনের পরিবারের অভিযোগ ছিল। যে কারণে বন্ধন হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে কাইকে পাওয়া যায়নি। এ জন্য সেখানকার অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪