কলেজে মিলেমিশে ভাঙচুর ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২২, ১৩: ৪৮

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সরকারি কলেজের বার্ষিক মিলাদে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ভাঙচুর করেছেন। এ সময় বাধা দেওয়ায় দুই শিক্ষককেও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গতকাল দুপুরে কলেজের মিলনায়তনে বার্ষিক মিলাদের অনুষ্ঠান হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুর রহমান খোন্দকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আ স ম কামরুল ইসলাম, থানার ওসি মো. আবদুছ ছালেক প্রমুখ।

কলেজের শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠানের শুরুতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের কলেজ কমিটির পক্ষ থেকে তিনজন করে মোট ছয়জনকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে প্রস্তাব দেন। শিক্ষকেরা দুই সংগঠনের একজন করে দুজনকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে পারবেন বলে জানান। অনুষ্ঠান শুরু হলে শিক্ষকেরা দুই সংগঠনের একজন করে নেতাকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য মাইকে আহ্বান করেন। কিন্তু তাঁরা বক্তব্য দেননি। অনুষ্ঠান শেষে খাবার বিতরণের সময় দুই ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল, তোরণ ও চেয়ার ভাঙচুর শুরু করে দেন। এ সময় বাধা দিলে বদরুল ইসলাম ও জুনেল আহমদ নামের দুই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বক্তব্যের বিষয়ে তাঁদের প্রস্তাব না মানায় ভাঙচুর চালান। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেব।’ কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুছ ছালেক সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মোবাইল ফোনে বলেন, মিলাদ মাহফিলে বক্তব্য না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কিছু ছাত্র বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি করেন। এ সময় তাঁরা ভাঙচুরও চালান। পুলিশ যাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, ‘আমি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মামলা দিতে বলেছি। মামলা দিলেই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বের করা যাবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত