উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির (ওএমএস) ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন থেকে ওএমএসের লাইনে দাঁড়িয়ে একই ব্যক্তির বারবার চাল-আটা নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। সপ্তাহে মাত্র একবারই পণ্য নেওয়া যাবে। এমনকি একই পরিবারের স্বামী পণ্য নিলে স্ত্রী নিতে পারবেন না, আর স্ত্রী নিলে স্বামী নিতে পারবেন না। এসব অনিয়ম শনাক্ত করতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) তথ্যভান্ডারের সহায়তা নেবে খাদ্য অধিদপ্তর। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় রাজধানীসহ দেশের ৪০৯টি ওএমএস কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে কার্ডের মাধ্যমে চাল-আটা বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে পর্যায়ক্রমে সব কেন্দ্রে এ পদ্ধতি চালু হবে।
খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে গত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনিয়ম দূর করতে টিসিবির ন্যায় কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল-আটা দেওয়া হবে। বর্তমানে সারা দেশে ৯১২টি কেন্দ্রে ওএমএস দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় পরীক্ষামূলকভাবে ৪০৯টি কেন্দ্রে কার্ড পদ্ধতি চালু হবে। কেন্দ্রগুলোতে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও স্ট্যাম্প সাইজের ছবিও সংগ্রহ করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে একই পরিবারের একজনই এই কার্ড পাবেন। এ-সংক্রান্ত অ্যাপসের কাজ চলছে। এটি কার্ডধারীদের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করবে। ফলে একই পরিবারের স্বামী পণ্য নিলে স্ত্রী নিতে পারবেন না, আর স্ত্রী নিলে স্বামী নিতে পারবেন না।’
খাদ্যসচিব জানান, চলতি মাসের শেষের দিকে বা আগামী মাসের শুরুতেই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস পণ্য দেওয়া হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে যেকোনো ব্যক্তি ওএমএস কেন্দ্রে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারেন। বাজারে একই পরিমাণ চালের দাম ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা। তার চেয়েও বেশি সাশ্রয় হচ্ছে আটায়। ওএমএসে প্রতি কেজি আটার দাম ২৪ টাকা, যা বাজারে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। অভিযোগ আছে, এই সুযোগে অনেক পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার লাইনে দাঁড়িয়ে চাল-আটা নিয়ে বাইরে বিক্রি করছেন। এর সত্যতাও মিলেছে একাধিক সরকারি তদন্তে। বিষয়টি সরকারের শীর্ষ মহলের নজরে আনে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে যেভাবে সহযোগিতা করা হয়, ওএমএসটাও সেভাবে কার্ডের মাধ্যমে দিতে হবে। এরপরই মূলত কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস পণ্য দেওয়ার উদ্যোগ নেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।
খাদ্য অধিদপ্তরের ঢাকা রেশনিংয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক সুরাইয়া খাতুন বলেন, যাঁরা ওএমএসের নিয়মিত ক্রেতা, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ডিলারদের কাছ থেকে কার্ড নিতে হবে। এই কার্ড বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। প্রতিদিন একই ক্রেতা চাল বা আটা কিনতে পারবেন না। একটি কার্ডের বিপরীতে একটি পরিবার সপ্তাহে এক দিন ওএমএস থেকে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা কিনতে পারবেন। পরে পর্যায়ক্রমে যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদের সবাইকে কার্ড দেওয়া হবে। যাঁর নামে কার্ড, তাঁকেই পণ্য নিতে হবে। অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করা যাবে না। তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে কার্ড বাতিল করা হবে। কার্ডে পণ্য উত্তোলনের সময় ‘বিতরণ’ চিহ্নের ঘরে পাঞ্চ মেশিনে ছিদ্র করে দেওয়া হবে। সব ঘর শেষ হয়ে গেলে কার্ড জমা দিয়ে নতুন কার্ড নিতে হবে। কার্ডটি হারিয়ে গেলে নিকটস্থ থানার খাদ্য অফিসে অবহিত করতে হবে।
খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির (ওএমএস) ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন থেকে ওএমএসের লাইনে দাঁড়িয়ে একই ব্যক্তির বারবার চাল-আটা নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। সপ্তাহে মাত্র একবারই পণ্য নেওয়া যাবে। এমনকি একই পরিবারের স্বামী পণ্য নিলে স্ত্রী নিতে পারবেন না, আর স্ত্রী নিলে স্বামী নিতে পারবেন না। এসব অনিয়ম শনাক্ত করতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) তথ্যভান্ডারের সহায়তা নেবে খাদ্য অধিদপ্তর। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় রাজধানীসহ দেশের ৪০৯টি ওএমএস কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে কার্ডের মাধ্যমে চাল-আটা বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে পর্যায়ক্রমে সব কেন্দ্রে এ পদ্ধতি চালু হবে।
খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে গত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনিয়ম দূর করতে টিসিবির ন্যায় কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল-আটা দেওয়া হবে। বর্তমানে সারা দেশে ৯১২টি কেন্দ্রে ওএমএস দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় পরীক্ষামূলকভাবে ৪০৯টি কেন্দ্রে কার্ড পদ্ধতি চালু হবে। কেন্দ্রগুলোতে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও স্ট্যাম্প সাইজের ছবিও সংগ্রহ করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে একই পরিবারের একজনই এই কার্ড পাবেন। এ-সংক্রান্ত অ্যাপসের কাজ চলছে। এটি কার্ডধারীদের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করবে। ফলে একই পরিবারের স্বামী পণ্য নিলে স্ত্রী নিতে পারবেন না, আর স্ত্রী নিলে স্বামী নিতে পারবেন না।’
খাদ্যসচিব জানান, চলতি মাসের শেষের দিকে বা আগামী মাসের শুরুতেই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস পণ্য দেওয়া হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে যেকোনো ব্যক্তি ওএমএস কেন্দ্রে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারেন। বাজারে একই পরিমাণ চালের দাম ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা। তার চেয়েও বেশি সাশ্রয় হচ্ছে আটায়। ওএমএসে প্রতি কেজি আটার দাম ২৪ টাকা, যা বাজারে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। অভিযোগ আছে, এই সুযোগে অনেক পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার লাইনে দাঁড়িয়ে চাল-আটা নিয়ে বাইরে বিক্রি করছেন। এর সত্যতাও মিলেছে একাধিক সরকারি তদন্তে। বিষয়টি সরকারের শীর্ষ মহলের নজরে আনে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে যেভাবে সহযোগিতা করা হয়, ওএমএসটাও সেভাবে কার্ডের মাধ্যমে দিতে হবে। এরপরই মূলত কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস পণ্য দেওয়ার উদ্যোগ নেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।
খাদ্য অধিদপ্তরের ঢাকা রেশনিংয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক সুরাইয়া খাতুন বলেন, যাঁরা ওএমএসের নিয়মিত ক্রেতা, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ডিলারদের কাছ থেকে কার্ড নিতে হবে। এই কার্ড বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। প্রতিদিন একই ক্রেতা চাল বা আটা কিনতে পারবেন না। একটি কার্ডের বিপরীতে একটি পরিবার সপ্তাহে এক দিন ওএমএস থেকে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা কিনতে পারবেন। পরে পর্যায়ক্রমে যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদের সবাইকে কার্ড দেওয়া হবে। যাঁর নামে কার্ড, তাঁকেই পণ্য নিতে হবে। অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করা যাবে না। তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে কার্ড বাতিল করা হবে। কার্ডে পণ্য উত্তোলনের সময় ‘বিতরণ’ চিহ্নের ঘরে পাঞ্চ মেশিনে ছিদ্র করে দেওয়া হবে। সব ঘর শেষ হয়ে গেলে কার্ড জমা দিয়ে নতুন কার্ড নিতে হবে। কার্ডটি হারিয়ে গেলে নিকটস্থ থানার খাদ্য অফিসে অবহিত করতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে