গনেশ দাস, বগুড়া
বগুড়ায় ‘বাবা হুজুর’ নামে পরিচিত মোজাফ্ফর হোসেন (৬০) হত্যা মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই দেড় বছরেও। তদন্তভার শাজাহানপুর থানা-পুলিশের হাত ঘুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে গেলেও তদন্ত ঘুরপাক খাচ্ছে ১৬ বছর আগের একটি হত্যা মামলা ঘিরে। ওই মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই বগুড়ার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মালেক বলেন, মোজাফ্ফর হোসেনের খুনিদের শনাক্ত করতে না পারায় তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সুকাশ (নওদাপাড়া) গ্রামের মৃত সায়েদ আলী মণ্ডলের ছেলে মোজাফ্ফর হোসেন ওরফে বাবা হুজুর। ২০১২ সাল থেকে বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে বাস করতেন। সেখানে একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। মাদ্রাসা ছিল তাঁর আধ্যাত্মিক সাধনার আস্তানা। এর আগে তিনি বিভিন্ন মাদ্রাসায় চাকরি করেছেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী থাকতেন সুকাশ গ্রামে।
গত বছরের ৪ মে সুকাশ গ্রাম থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বগুড়া শহরের উদ্দেশে বের হন বাবা হুজুর। অটোরিকশায় তিনিসহ ছিলেন পাঁচজন যাত্রী। শাজাহানপুর উপজেলার জোড়া কৃষি কলেজের সামনে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত অটোরিকশাটির পথরোধ করে। ‘বাবা হুজুরকে লক্ষ্য করে একজন রিভলবার দিয়ে ৫ রাউন্ড গুলি করে দ্রুত নন্দীগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর অটোরিকশাচালক ও দুজন যাত্রী তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
‘বাবা হুজুর’ খুনের ঘটনায় তাঁর ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন। থানা-পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় সহকারী হাফেজ মাহবুব ও সুকাশ গ্রামের আল আমিন নামের এক যুবককে। পরে হাফেজ মাহবুবকে ছেড়ে দেওয়া হলেও আল আমিনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আল আমিন তিন মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে গ্রাম থেকে অন্যত্র চলে যান। এরপর থানার পুলিশ কোনো ক্লু না পাওয়ায় বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি পিবিআই বগুড়াকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
বাবা হুজুরের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রামের বাড়িতে মসজিদের ১৩ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই জমি দখলকে কেন্দ্র করে ২০০৬ সালে তাঁদের ভগ্নিপতি হবিবর রহমান প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। বাবা হুজুর ছিলেন ওই হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী। সেই মামলা বর্তমানে নাটোর জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন। ওই মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার ১৫ দিন আগে বাবা হুজুর খুন হন। তিনি দাবি করেন, ভগ্নিপতি খুনের মামলার জেরেই তাঁর ভাইকেও খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
মামলাটির বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মালেক বলেন, বাবা হুজুরের গ্রামে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু খুনের কোনো কারণ পাওয়া যাচ্ছে না। আল আমিন বর্তমানে জামিনে আছেন। আর এসব কারণে মামলাটির তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।
বগুড়ায় ‘বাবা হুজুর’ নামে পরিচিত মোজাফ্ফর হোসেন (৬০) হত্যা মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই দেড় বছরেও। তদন্তভার শাজাহানপুর থানা-পুলিশের হাত ঘুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে গেলেও তদন্ত ঘুরপাক খাচ্ছে ১৬ বছর আগের একটি হত্যা মামলা ঘিরে। ওই মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই বগুড়ার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মালেক বলেন, মোজাফ্ফর হোসেনের খুনিদের শনাক্ত করতে না পারায় তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সুকাশ (নওদাপাড়া) গ্রামের মৃত সায়েদ আলী মণ্ডলের ছেলে মোজাফ্ফর হোসেন ওরফে বাবা হুজুর। ২০১২ সাল থেকে বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে বাস করতেন। সেখানে একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। মাদ্রাসা ছিল তাঁর আধ্যাত্মিক সাধনার আস্তানা। এর আগে তিনি বিভিন্ন মাদ্রাসায় চাকরি করেছেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী থাকতেন সুকাশ গ্রামে।
গত বছরের ৪ মে সুকাশ গ্রাম থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বগুড়া শহরের উদ্দেশে বের হন বাবা হুজুর। অটোরিকশায় তিনিসহ ছিলেন পাঁচজন যাত্রী। শাজাহানপুর উপজেলার জোড়া কৃষি কলেজের সামনে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত অটোরিকশাটির পথরোধ করে। ‘বাবা হুজুরকে লক্ষ্য করে একজন রিভলবার দিয়ে ৫ রাউন্ড গুলি করে দ্রুত নন্দীগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর অটোরিকশাচালক ও দুজন যাত্রী তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
‘বাবা হুজুর’ খুনের ঘটনায় তাঁর ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন। থানা-পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় সহকারী হাফেজ মাহবুব ও সুকাশ গ্রামের আল আমিন নামের এক যুবককে। পরে হাফেজ মাহবুবকে ছেড়ে দেওয়া হলেও আল আমিনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আল আমিন তিন মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে গ্রাম থেকে অন্যত্র চলে যান। এরপর থানার পুলিশ কোনো ক্লু না পাওয়ায় বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি পিবিআই বগুড়াকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
বাবা হুজুরের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রামের বাড়িতে মসজিদের ১৩ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই জমি দখলকে কেন্দ্র করে ২০০৬ সালে তাঁদের ভগ্নিপতি হবিবর রহমান প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। বাবা হুজুর ছিলেন ওই হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী। সেই মামলা বর্তমানে নাটোর জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন। ওই মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার ১৫ দিন আগে বাবা হুজুর খুন হন। তিনি দাবি করেন, ভগ্নিপতি খুনের মামলার জেরেই তাঁর ভাইকেও খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
মামলাটির বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মালেক বলেন, বাবা হুজুরের গ্রামে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু খুনের কোনো কারণ পাওয়া যাচ্ছে না। আল আমিন বর্তমানে জামিনে আছেন। আর এসব কারণে মামলাটির তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে