চট্টগ্রামের পটিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। জানা যায়, গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের জলুয়ারদিঘীর পাড় এলাকায় প্রাইভেট কারের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে আহমদ উল্লাহ (৩০) নামের একজন মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছেন।

আহমদ উল্লাহ চন্দনাইশ উপজেলার সাতগাছিয়া এলাকার মাওলানা হাফেজ আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি খরনা ফোরকানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখী একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে আহমদ উল্লাহ নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ না করায় এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সানজানা খানম বলেন, সকালে আহমদ উল্লাহ নামের একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের আমজুর হাট এলাকার একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়।

আহতরা হলেন মোজাফফর (৫৫), কাজল (৫০), মাসুম (২৬) ও ফারুক (২৪)।

এ ব্যাপারে ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মো. আলী বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখী নোহা গাড়ির সঙ্গে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়ে চারজন আহত হন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের কাউকে পায়নি। গাড়ি দুটি উদ্ধার করে ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।’

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাঈম উদ্দীন বলেন, ‘আহত চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ফারুক ও কাজলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।